ফরিদপুরে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আ.লীগ নেত্রীর মেয়ে, কমিটি নিয়ে ক্ষোভ
১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১০৬ রান করে ফেলেছিল কম্বোডিয়া।
ওভারের প্রথম তিন বলেই তিন ব্যাটারকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ফেরান শাহ আব্রার হুসেইন, নির্মলজিৎ সিং ও চানথোউন রাথানাককে।
এই কীর্তির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে পাঁচ উইকেট নেওয়া প্রথম খেলোয়াড় হলেন গেদে প্রিয়ানদান। নারী কিংবা পুরুষ ক্রিকেট মিলিয়েই এই রেকর্ড প্রথমবার দেখা গেল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।
এর আগে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে পাঁচ উইকেট নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল দুবার, তবে সেগুলো ছিল ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ভিক্টরি ডে টি-টোয়েন্টি কাপে ইউসিবি বিসিবি একাদশের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন আল আমিন হোসেন। পরে ২০১৯-২০ মৌসুমে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির সেমিফাইনালে কর্নাটকের হয়ে একই কীর্তি গড়েন অভিমন্যু মিথুন।
এই ম্যাচে ব্যাট হাতেও অবদান রাখেন প্রিয়ানদান। ইনিংসের শুরুতে উইকেটকিপার ব্যাটার ধর্মা কেসুমার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১১ বলে ৬ রান করেন তিনি। কেসুমা অবশ্য ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা। ৬৮ বলে অপরাজিত ১১০ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা।
উল্লেখ্য, এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে চার উইকেট নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৪ বার। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার কীর্তি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ওভারে টানা চার বলে চার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
তবে পাঁচ উইকেটের এই অনন্য রেকর্ড এবার গড়ে দিলেন ইন্দোনেশিয়ার গেদে প্রিয়ানদান, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক নতুন ইতিহাস হয়ে থাকল।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃতি যেন নতুন দিনের বার্তা নিয়ে হাজির হয়। রাতের নীরবতা ভেঙে পাখির কিচিরমিচির, হালকা কুয়াশার আড়ালে সূর্যের প্রথম আলো আর শিশিরভেজা ঘাস—সব মিলিয়ে সকাল মানেই এক অনাবিল প্রশান্তির সময়।
সকালের এই সময়টায় প্রকৃতি তার সবচেয়ে শান্ত ও নির্মল রূপে ধরা দেয়। মাঠের আল ধরে হাঁটলে পায়ের নিচে নরম শিশিরের ছোঁয়া অনুভূত হয়। গাছের পাতায় জমে থাকা পানির ফোঁটাগুলো সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করে ওঠে। পুকুরের স্থির জলে আকাশের প্রতিবিম্ব আর দূরের গ্রামের পথ ধরে ধীরে চলা মানুষের ছায়া—সবকিছু মিলিয়ে এক অপূর্ব দৃশ্যের জন্ম নেয়।
স্থানীয় পরিবেশবিদদের মতে, ভোরের প্রকৃতি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালের নির্মল বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকায় এই সময়টায় হাঁটাহাঁটি করলে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকে। নিয়মিত ভোরের আলোয় প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকলে মানসিক চাপ কমে এবং দিনের কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে।
গ্রামীণ জীবনে ভোরের প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরও গভীর। কৃষক মাঠে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন, জেলে জাল গুছিয়ে নদীর দিকে রওনা দেন, আবার কেউ কেউ ফজরের নামাজ শেষে দাঁড়িয়ে পড়েন খোলা আকাশের নিচে। এই সময় প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যে এক নীরব যোগাযোগ তৈরি হয়।
তবে আধুনিক ও যান্ত্রিক জীবনে ভোরের এই সৌন্দর্য অনেকটাই আড়ালে চলে যাচ্ছে। দেরিতে ঘুমানো, ব্যস্ত সকাল আর মোবাইল ফোনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতায় প্রকৃতির এই সময়টাকে অনেকেই আর অনুভব করতে পারছেন না। অথচ প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট ভোরের প্রকৃতির দিকে তাকানোই পারে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে।
প্রকৃতি প্রতিটি সকালে আমাদের নতুন করে শুরু করার শিক্ষা দেয়। গত রাত যেমন শেষ হয়ে যায়, তেমনি প্রতিটি ভোর নিয়ে আসে নতুন আলো, নতুন আশা। ভোরের এই নীরব বার্তাই মনে করিয়ে দেয়—জীবন এখনো সুন্দর, এখনো এগিয়ে যাওয়ার মতো।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রায় ১৮ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো ফরিদপুর থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জেলার সব ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে অন্তত ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবে।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যাত্রা শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মাঠ থেকে। পদ্মা সেতু পার হয়ে নেতাকর্মীরা সরাসরি রাজধানীর ৩০০ ফিট (পূর্বাচল রোড) এলাকায় নির্মিত বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। মঞ্চটি ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুট আয়তনের এবং চারপাশে আলোকসজ্জা, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে পরিবেশ উৎসবমুখর করা হয়েছে।
ফরিদপুর থেকে অন্তত ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০০টি বড় বাস এবং ২৫০টি বড় মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলা থেকে আরও শতাধিক বাস ও মাইক্রোবাস ঢাকায় যাবে। এছাড়া অনেক নেতাকর্মী ব্যক্তিগতভাবে ট্রেনের মাধ্যমে রাজধানীতে পৌঁছাবেন। ফরিদপুর জেলা বিএনপি এ ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন বলেন, বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি। তবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোনো সহায়তা আমাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল এবং দীর্ঘ সময় পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এটি আমাদের দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে সংবর্ধনা ও স্বাগত আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। ফরিদপুর থেকে ঢাকায় নেতাদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো হবে।
– তথ্য সূত্র : ঢাকা পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন
Array