খুঁজুন
সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুরে ধান-সবজির জমি এখন তামাকের দখলে!

বি কে সিকদার সজল, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে ধান-সবজির জমি এখন তামাকের দখলে!

ফরিদপুরে গত পাঁচ বছরে তামাকের চাষি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। কৃষকরা বলছেন, ঝুঁকি কম, লাভ বেশি হওয়ায় তামাক চাষে ঝুঁকছেন তারা। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, তামাকের হাত থেকে বাঁচাতে অন্য ফসল আবাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে চাষিদের।

যে জমিতে এক সময় ধান-শাক সবজি আবাদ হতো, সেই জমি এখন তামাকের দখলে। বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামসহ ফরিদপুর জেলাজুড়েই দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। কৃষকরা জানান, অন্য ফসল চাষের তুলনায় ঝুঁকি ও খরচ কম, লাভ বেশি; তাই তারা ঝুঁকছেন তামাক চাষে।

 

ক্ষেত থেকে তামাক পাতা কেটে নিজেদের বাড়িতে তৈরি করা চুল্লিতে ৪৮ ঘণ্টা পাতা শুকানোর পর সংরক্ষণ করেন চাষিরা। পরে সিগারেট কোম্পানির প্রতিনিধি এসে তা নিয়ে যান। প্রতিকেজির বর্তমান মূল্য ২৬০ টাকা। চাষাবাদের শুরু থেকেই কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া হয় বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও নগদ অর্থ।
 
তামাক চাষিরা বলছেন, তামাষ চাষে সুযোগ-সুবিধা বেশি মিলছে। এতে স্থানীয় চাষিদের মধ্যে তামাক চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, তামাক চাষের কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, তামাক চাষে উর্বরতা হারাচ্ছে জমি। এছাড়া শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সবাই।
 
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, তামাক চাষে সংশিষ্ট ও আশপাশের মানুষ শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
 
বাস্তবতা আমলে নিয়ে অন্য ফসল আবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে তাদের সঙ্গে নিয়মিত গ্রুপ মিটিং করছেন।
 
কৃষি বিভাগের তথ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলায় তামাক আবাদ হয় ১০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছর জেলায় আবাদ হয়েছে ১৮ হেক্টর জমিতে।

সালথায় ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক কারবারি আটক

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৩:১৪ পিএম
সালথায় ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক কারবারি আটক

ফরিদপুরের সালথায় ইয়াবা সহ ৫ মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ জুলাই) ভোররাতে উপজেলার মাঝারদিয়া এলাকা থেকে ৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪ জন ও রবিবার দিবাগত রাতে কাগদি এলাকা থেকে ৮০পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- মাঝারদিয়া গ্রামের মো. মামুন মোল্যা (২৮), মো. সানি মিয়া (২২), মিয়ার গ্রামের আল আমিন (৩৮), কুমারপুটি গ্রামের ইবাদত হোসেন (৩৬) ও কাগদি গ্রামের ইয়ার আলী মোল্যা (৩৮)।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, সোমবার ভোররাতে মাঝারদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাট মামুন সহ চারজনকে ৪০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। মামুনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া রবিবার রাতে কাগদি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়ার আলী নামে আরেক মাদক কারবারিকে ৮০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। আটককৃদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

অবমাননা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফরিদপুরে জাসাসের মানববন্ধন 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৩:১০ পিএম
অবমাননা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফরিদপুরে জাসাসের মানববন্ধন 

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে ফরিদপুরে মানববন্ধন করেছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থা-জাসাস।

দেশব্যাপী ‌কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এর আয়োজন করা হয়।

জেলা জাসাসের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ রাশেদুল আলম তুহিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, জেলা তাঁতি দলের সদস্য সচিব শাহেদা বেগম প্রমুখ।

এসময় জেলা জাসাসের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম বকু, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লিটন, মাসুম দেওয়ান, সৈয়দ মাসুদ রানা, নাইমুল হাসান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শাহিনুল হক শাহীন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তাগণ বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশকে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন করে আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি মহল রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের জন্য এখন জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা করা হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বক্তাগণ ‌শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‌ এবং তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

তারা বলেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এরপর গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পথ ধরে বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। আর তাদের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলিষ্ঠভাবে দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন-গুম হয়েছে। হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। আমরা কোনভাবেই তাদের এই আত্মদানকে বৃথা যেতে দিতে পারিনা।

যেসব লক্ষণ জানান দেয় মানসিক চাপের কথা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ২:৫৮ পিএম
যেসব লক্ষণ জানান দেয় মানসিক চাপের কথা

মানসিক চাপ বাড়লে তা চোখে, মুখে স্পষ্ট ফুটে ওঠে। কথায় রয়েছে, মনের ছাপ মুখে পড়ে।

 

সুতরাং আপনি যদি নিজের সমস্যা সম্পর্কে কিছু না বলেন, তবুও আপনার শরীরই জানান দেবে অনেক কিছুই। মানসিক চাপ বাড়লে শরীরে তার লক্ষণ দেখা দেয়।
রাতে ঠিক করে ঘুম হয় না। বাড়ছে অনিদ্রার সমস্যা। ক্লান্ত থাকার সত্ত্বেও মাঝরাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়। এ লক্ষণকে অবহেলা করবেন না। এর কারণে ওজনও বেড়ে যায়। এগুলোর পেছনে দায়ী মানসিক চাপ।

প্রচণ্ড পরিমাণে মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে? টানা ঘুম দিয়েও মাথার যন্ত্রণা কমাতে পারছেন না? এ ঘন ঘন মাথা ব্যথা আদতে মানসিক চাপের লক্ষণ। এ সমস্যা তখনই দেখা দেয় যখন আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন।

বাড়ির খাবার খেয়েও দেখা দিচ্ছে অ্যাসিডিটির সমস্যা। যদি আপনার পেটের সমস্যা না থাকে তাহলে এটাও কিন্তু মানসিক চাপের জন্যই ঘটে। কারণ পাচনতন্ত্র বিভিন্ন স্নায়ু দ্বারা মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। তাই যখনই মানসিক চাপ বাড়ে তার প্রভাব পড়ে হজমের ওপর। এ সমস্যা ক্রমাগত চলতে থাকলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

একটানা বসে কাজ করলে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠে ব্যথা হতে শুরু হয়। অনেকেই ভাবেন যে শারীরিক পরিশ্রমের কারণে পেশিতে ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু সেটা নয়। মানসিক চাপ বাড়লে অনেক সময় পেশিতে ক্র্যাম্প হয়।

স্ট্রেস বাড়লে শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়। কাজে মন বসে না। কোনো কাজই ঠিক করে করা যায় না। কিছু সময়ের জন্য শরীরও আপনার মনের মতো ‘ফ্লাইট মোড’-এ চলে যায়। এ লক্ষণ সহজেই ধরা পড়ে ঠিকই কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ এটা উপেক্ষা করেন।