খুঁজুন
শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৬ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ, যানজট-ভোগান্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ২:১৯ পিএম
ফরিদপুরে বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ, যানজট-ভোগান্তি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ঘন্টাব্যাপী টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (০২ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে টায়ার জালিয়ে অবরোধ করা হয়। এসময় দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কের দুই পাশে দূরপাল্লার শত শত যানবাহন আটকা পড়ে এবং যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন ।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে পরে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, মহাসড়ক অবরোধের কারণে আটকে পড়া বরিশালগামী একটি পরিবহনের যাত্রী আশরাফুল আলম জানান, ঘন্টার পর ঘন্টা বাসের মধ্যে বসে আছি। দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
দলীয় ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ভাঙ্গা পৌর বিএনপি‍‍`র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এম এ ওয়াদুদ ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সহ আরো ১৩ জনকে সদস্য করে মোট ১৫ জনের কমিটি গঠন করে ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই)সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফরিদপুর জেলা বিএনপি‍‍`র আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন স্বাক্ষরিত কমিটি ছড়িয়ে পড়ে। এই কমিটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কমিটি নিয়ে একটি পক্ষ স্বাগত জানালেও আরেকটি পক্ষ পকেট কমিটি ও আওয়ামী লীগের লোকদের নিয়ে কমিটি হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানান।
নেতা কর্মীদের দাবি, ভাঙ্গা পৌর বিএনপির সম্মেলন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে পদ বঞ্চিতদের জায়গা হয় নাই। পকেট কমিটি করেছেন। আমরা অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল চাই। অন্যথায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমিটি প্রত্যাহার করা না হলে পুনরায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মিজানুর রহমান মুন্সি, আলম মুন্সি (ছোট), ছোট্টো শিকদার, বিল্লাল কাজী, লাবলু মুন্সি, সজীব মাতুব্বর, সৈয়দ মেহেদী, মিসান আহসান, সুমন মুন্সি, আরিফ মুন্সি সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ভাঙ্গা পৌর বিএনপি‍‍`র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এম এ ওয়াদুদ জানান, সারাজীবন দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি। শেষ বয়সে দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভাঙ্গা পৌর বিএনপি নেতা, মোঃ আলম মুন্সি জানান, এটি পকেট কমিটি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিগত ১৭টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এ পর্যায়ে এসেছি। আমাদের মতো ত্যাগী কোন নেতাকর্মীদের এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রোকিবুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের অনুরোধ করে মহাসড়ক অবরোধ মুক্ত করা হয়। এ সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এখন কোন যানজট নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কমিটির বিষয়ে যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের লিখিতভাবে জানাতে পারে,কিন্তু সড়ক অবরোধ করে এ ধরনের কর্মকান্ড গ্রহণযোগ্য বা কাম্য নয়।

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

oplus_0

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন।

গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ ভাঙনে ওই এলাকার নদী পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিওব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ত্রিশ মিটার বাঁধ ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন এলাকা হতে প্রায় ৯০ মিটার দূরে রয়েছে এমপি ডাঙ্গী ও জাকেরেরশুরা হয়ে জেলা শহর ফরিদপুরের যাতায়াতের পাকাসড়ক, শতশত বসত বাড়ি ও সরকারী স্কুল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে নদীর তীর রক্ষা স্থায়ী বাঁধের সাথে আপদকালীন সময়ে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা বাঁধের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পাড়ের বসতি শেক মেতালেব (৫৩) ও মো. ইমারত হোসেন (২৫) জানায়, বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু সময় পর পর মাটির বড় বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।

তারা বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি, পাকা সড়ক সহ স্থানীয় শত শত বসত বাড়ি।

ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব।

ভাঙনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “ টিলারচর গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে আপদকালীন ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছিল। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন রোধে চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট মিলে ৩.১৫ কি.মি. জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর শহরের এডুকেশন জোন খ্যাত বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ফরিদপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসলে তার কাছে বাইতুল আমান এলাকাবাসী ও আশেপাশে কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবি তুলে ধরেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় ফরিদপুর কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানো দাবি কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাহিম, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সভাপতি মো. পার্থ আহমেদ, মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান,মোহাম্মদ রোমন চৌধুরী, মো. আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বাইতুল আমান কলেজগেটে বহু আগে থেকেই রেলের একটি স্টেশন রয়েছে, সেখানে আগে ট্রেন এসে থামতো, অজ্ঞাত কারণে এখন আর এখানে ট্রেন থামে না । এলাকাটি ফরিদপুরের মধ্যে এডুকেশন জোন নামে খ্যাত। যেখানে রয়েছে‌ ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের একেক জেলার একেক প্রান্ত থেকে তারা শিক্ষা লাভের জন্য কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অধিক ভাড়া দিয়ে তারা ফরিদপুর থেকে যাতায়াত করেন। অথচ বায়তুল আমান কলেজগেট স্টেশন থেকে কলেজের কোনোটির দূরত্ব ৪০০ মিটার, ৫০০ মিটার, ৬০০ মিটার। বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে যদি ট্রেন থামানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে তাদের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় তারা বাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বাইতুল আমান রেলগেট স্টেশনে পুর্বের মতো ট্রেন থামানো নির্দেশনার মতো একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে রেলের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন এলাকাবাসী ও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর।

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না। সরাসরি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন। কথা বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. মুজাহিদ বেগ।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের উচাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজাহিদ বেগ বলেন, ‘আমি যদি ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি আপনাদেরকে নিয়ে এই আসনটি এমনভাবে সাজাবো যাতে বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে তৈরি হয়।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের একটা যুবক ভাই বেকার থাকবে না। যুবক ভাইয়েরা আমার হৃদয়ে আছে। তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা, খেলাধুলা করার সুযোগ তৈরি করার জন্য সব করব।

হাফেজ কুব্বাত মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাগর বেগের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- হায়দার হোসেন, সোবাহান হোসেন, বাকী মাতুব্বর, সেলিম মাহমুদ, সহিদুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. রাসেল মোল্লা ও সৌরভ বিশ্বাস প্রমূখ।