খুঁজুন
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে অপহ্নত ব্যক্তিকে উদ্ধার, অপহরণকারী আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ৩:১২ পিএম
ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে অপহ্নত ব্যক্তিকে উদ্ধার, অপহরণকারী আটক
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অপহরণের শিকার শেখ জামাল উদ্দিন (৩৬) নামে এক এজেন্সী (বিদেশগামী অফিস) কর্মচারীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি আভিযানিক দল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত অপহরণকারী সাবেক প্রবাসী শফিকুল ইসলাম মাতুব্বরকে (৩৫) আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) ভোররাতে যৌথবাহিনীর টহল দল জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম আলগি এলাকার একটি পরিত্যক্ত খড়ের ঘরে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শেখ জামালকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
অপহরণকারী শফিকুল ইসলাম মাতুব্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম আলগী গ্রামের মনতাজ মাতুব্বরের ছেলে এবং অপহৃত শেখ জামাল শেরপুর জেলার নলিতাবাড়ী উপজেলার বাগকুচি গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুইজনই এক সময় বিদেশে থাকতেন। বিদেশ থেকে ফিরে শেখ জামাল ঢাকার একটি বিদেশ যাওয়া এজেন্সীতে চাকরি শুরু করেন।
সেনা সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে শেখ জামাল নামে একজনকে অপহরণ করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় অজ্ঞাত এক স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণের শিকার শেখ জামালকে মারধর করা হচ্ছে। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এমন একটি বিষয় নিয়ে ফরিদপুর আর্মি ক্যাম্পে অপহ্নতের স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৩২) অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সোমবার সকালে ১৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের ফরিদপুর আর্মি ক্যাম্প ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য ও স্থানীয় সূত্রের ভিত্তিতে ভাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম আলগি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত খড়ের ঘর থেকে অপহৃত শেখ জামালকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একই সাথে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। আটককৃত শফিকুল ইসলামকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, শেখ জামাল বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যান। প্রতারিত হয়ে শফিকুল ইসলাম আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে অপহরণের পরিকল্পনা করেন এবং ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে জামালকে অপহরণ করে ভাঙ্গার আলগী এলাকায় আটকিয়ে রেখে শেখ জামালের পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে শেখ জামালের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সেনা বাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জামালকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে অপহরণকারী শফিকুল ইসলামকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় শেখ জামাল বাদি হয়ে শফিকুলের নামে মামলা করেছেন। আটককৃত আসামীকে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দুজিৎ মল্লিক জানান, অপহরণকারী শফিকুল ও অপহরণের শিকার জামালউদ্দিনের মধ্যে বিদেশ যাওয়ার টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এক পর্যায়ে বিদেশ যাওয়া টাকা নিয়ে জামালকে অপহরণ করে আটকিয়ে রেখে মুক্তিপন দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। আটককৃত আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সেনা ক্যাম্প জানিয়েছেন, এলাকায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে সেনাবাহিনী। অপরাধ দমনে সেনা ক্যাম্পসমূহকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের সকলকে অনুরোধ করেছেন।

ফরিদপুরে ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:৪৯ পিএম
ফরিদপুরে ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা

ফরিদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজ শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শরীফ ওসমান হাদীর এ গায়েবানা জানাজার নামাজে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে এক ‌সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শরীফ ওসমান হাদীর ‌জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় ওসমান হাদীর খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয় এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

সদরপুরের রাস্তার ঢালে পড়েছিল নারীর হাত বাঁধা মরদেহ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:২৫ পিএম
সদরপুরের রাস্তার ঢালে পড়েছিল নারীর হাত বাঁধা মরদেহ

ফরিদপুরের সদরপুরে রাস্তার পাশে থেকে ২৪ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারীর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পাশের একটি রাস্তার ঢাল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নারীর মরদেহের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে এক নারী রাস্তার পাশে ওই অজ্ঞাত নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে সদরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের মুখে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আল মামুন শাহ বলেন, ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

হাদি হত্যার বিচার চেয়ে ফরিদপুরের এসপি অফিসের সামনে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:১৮ পিএম
হাদি হত্যার বিচার চেয়ে ফরিদপুরের এসপি অফিসের সামনে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার বিচারের দাবিতে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও এখনো প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। এতে করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও উৎসাহিত হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন। দ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন। “ওসমান হাদির হত্যার বিচার চাই”, “খুনিদের গ্রেপ্তার কর”, “বিচারহীনতা মানি না”—এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুলিশ সুপার কার্যালয় এলাকা।

এ সময় তারা বলেন, ‘অবিলম্বে ওসমান হাদীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তা-না হলে ‌ আরো ব্যাপক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে ‌ কর্মসূচি থেকে জানানো হয়। এর পূর্বে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতেও ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অনুরূপ কর্মসূচি ‌ পালন করে তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির ‌ (এনসিপি) ফরিদপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব ‌ সাইফ খান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‌ আহ্বায়ক ‌কাজী রিয়াজ, সদস্য সচিব সোহেল রানা, জুলাই যোদ্ধা ‌জনি বিশ্বাস, শাহ মো. আরাফাত, আবরার নাদিম ইতু, নিরব ইমতিয়াজ শান্ত ‌সহ সামাজিক সংগঠনের কর্মী ও ‌বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‌শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে এবং তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ছাত্র-জনতা স্পষ্ট করে জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।