খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

শিক্ষক-সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় চবির ১০ ছাত্রী বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৭ এএম
শিক্ষক-সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় চবির ১০ ছাত্রী বহিষ্কার

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক ও সাংবাদিকরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীদের হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার ঘটনায় ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় চবি উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

বহিষ্কৃতরা হলেন: ২০১৮-১৯ সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি স্থায়ী বহিষ্কার ও সনদ বাতিল। দুই বছর বহিষ্কার হন- ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মেরিন সায়েন্সেস ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এলিসা স্বর্ণা চৌধুরী, একই সেশনের ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্সস বিভাগের শিক্ষার্থী রওজাতুল জান্নাত নিশা, ২০১৮-১৯ সেশনের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফৌজিয়া আহমেদ পল্লী মজুমদার, একই সেশনের ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্সস বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বৃষ্টি।

২০১৯-২০ সেশনের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন পুতুল, ২০২০-২১ সেশনের ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্সস বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা, ২০২১-২২ সেশনের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোসা. সুমাইয়া (সুমাইয়া সিকদার), ২০২২-২৩ সেশনের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ আশফিয়া নাহার এশা এবং একই সেশনের ওশানোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী মাইসারা জাহান ইশা।

 

এছাড়া ধর্ম অবমাননায় বহিষ্কার হন  ২০২৩-২৪ সেশনের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এসএম সানবিম সিফাতকে দুই বছর এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী জাফরীন সুলতানা জয়ীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চবির শেখ হাসিনা হলে ছাত্র-ছাত্রীদের বিবাদে জড়ানোর খবর পেয়ে দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া সিনিয়র সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীর গায়ে হাত তোলার অপরাধে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া একই সময় অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় আরও ৯ জনকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ম অবমাননা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে একজন ছাত্রকে ২ বছরের জন্য এবং এক ছাত্রীকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চবির শেখ হাসিনা হলের ‘নৌকা প্রতীক’ ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙতে গেলে হলটির নারী শিক্ষার্থীদের বাধার সম্মুখীন হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় হলের নারী শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলীর গায়ে হাত তোলেন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হেলেনা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগকৃত কর্মচারী না হয়েও রোগীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন হেলেনা আক্তার। হাসপাতালের আইডি কার্ড ব্যবহার করে রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা হেলেনা আক্তারকে হাতে নাতে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ কান্তি বিশ্বাস জানান, হাসপাতালের কর্মচারী না হয়েও দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিল হেলেনা আক্তার। এমন অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ওই নারীকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হেলেনা আক্তারের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও
ফরিদপুরের সদরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে ৫টি দোকান ঘর ভাঙ্গা ছাড়াও সদর বাজারের একটি শেড ঘর দখলমুক্ত করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও জাকিয়া সুলতানা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধবাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছিল কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে দোকানঘর সরিয়ে নিতে বার বার নোটিশ দেওয়া হলেও ওই ব্যবসায়ীরা তা কর্নপাত করেনি। এ সময় ৫টি দোকানঘর উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করে আসছিল কতিপয় ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে এর আগে দোকান সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা ভেঙ্গে না নেওয়ায় অভিযান চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাজারের একটি শেড ঘরও দখলমুক্ত করা হয়। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বদিউজ্জামান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ এলাকায় ঘারুয়া টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। বদিউজ্জামান আব্দুল হক ব্যপারীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া বাজার টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কের শরীবাদ স্কুল মোড় ব্রিজের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশ দখল করে বাড়ির ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বড় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনা, ব্যঘাত সৃষ্টিসহ ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণেও নানা ব্যাঘাত পোহাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি রাস্তা ঘেঁষে বিশাল দেয়াল নির্মাণ করার কারণে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। রাস্তা প্রশস্ত করার পথও বন্ধ করে দিচ্ছে বদিউজ্জামান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিষয়ে বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের প্রশ্নই আসে না। আমার জায়গায় রাস্তা। আমি জায়গা না দিলে রাস্তা হতো না। আমার জায়গায় আমি বাড়ির দেয়াল নির্মাণ করছি। আমাকে আপনাদের চেয়ে বড় এসিল্যান্ড ইউএনও জায়গা বুঝিয়ে দিছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।