কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রদল নেতার নামে মামলা
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৮:২১ পিএম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ্ আল মিলনের (২৬) বিরুদ্ধে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (০৭ মার্চ) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) রাতে ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিলনসহ তার দুই সহযোগীকে আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ্ আল মিলন পৌর এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা মো. আরফিন মোল্যার ছেলে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী পৌর এলাকার বাসিন্দা ও আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিবাহের দিন তারিখ ঠিক হওয়ার কার্যক্রম চলছিল। এই বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন ওই ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দিয়ে বিবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে ছাত্রীর প্রেমিকের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় তার। পরে এক সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থী তার প্রেমিককে বিয়ে করবেন না মর্মে প্রেমিকের নিকট থেকে ছাত্রদল নেতা মিলনের মাধ্যমে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ওই তরুণী ছাত্রদল নেতা মিলনের বাড়িতে সেই টাকা আনতে যায়। এসময় মিলন ওই ছাত্রীকে বসতঘরের ভিতর নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। পরে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে (ছাত্রীকে) রক্ষা করেন। এরপর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলন (২৬) ও তার দুই সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৪) এবং সোহেল শেখের (৩৩) নামে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা রুজু হয়।
বিষয়টি নিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মিলনের সাথে গনমাধ্যমেকর্মীদের কথা হলে তিনি বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন অনু বলেন, এই ঘটনার ভিডিও আমার কাছে এসেছে এবং বিষয়টি ফেসবুকেও দেখেছি। এটা ষড়যন্ত্র না সত্য খতিয়ে দেখা হবে। অনেক সময় দলের বিপক্ষে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। তবে ঘটনাটি সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির (স্থগিত) সদস্য সচিব খুশবুর রহমান খোকন বলেন, কলেজ ছাত্রীকে বিবাহ না দিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে এমন ঘটনা ন্যক্কার ও দুঃখজনক ঘটনা। দল থেকে এখনি এদের মত অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর রশীদ বলেন, এক কলেজ ছাত্রীর ধর্ষণের চেষ্টার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহ আল মিলনসহ তার দুই সহযোগীর নামে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন
Array