খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২

‘ডেভিল হান্ট’ : ফরিদপুরে ৯ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:১০ পিএম
‘ডেভিল হান্ট’ : ফরিদপুরে ৯ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ডেভিল হান্টে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এক জনপ্রতিনিধিসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইউপি সদস্য, আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী পল্লীবেড়া গ্রামের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান (৩১), একই উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদ্দারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আয়ুব ভূঁইয়া (৬৪), ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পৌরসদরের কোটপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর আলম (৫০) ও নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাগলদী গ্রামের বাসিন্দা কামরান মাতুব্বর (৩০), একই উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস (৪০) এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল মেম্বার (৫৮), একই উপজেলার বারাংকুলা গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী শেখ সেলিম (৪৫)।
এছাড়া মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা শাকির আহম্মেদ টোকন (৫৮), কামারখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কামারখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. তারেক ওরফে শান্তকে (৪৫)।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলা, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘ডেভিল হান্ট’ অংশ হিসেবে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যহত রয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সালথায় ধর্ষণ মামলা তুলতে চাপ প্রয়োগ, প্রাণ দিল স্কুল শিক্ষার্থী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ১০:২৮ এএম
সালথায় ধর্ষণ মামলা তুলতে চাপ প্রয়োগ, প্রাণ দিল স্কুল শিক্ষার্থী
ফরিদপুরের সালথায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল ইতি ইসলাম (১৩) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ।
পরে বুধবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ইতি উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন সিংহপ্রতাপ গ্রামের মো. সিদ্দিক আলীর মেয়ে ও স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, একটি ধর্ষণ মামলা তুলতে ইতিকে মোবাইল ফোনে বারবার চাপ দেওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে বাড়ির সবাই কাজে গেলে সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুল দেন ইতি। পরে স্থানীয়রা তাকে ঘরের আড়া থেকে নামালে ডাক্তার এসে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, বিয়ের প্রলোভনে ইতিকে কয়েবার ধর্ষণ করে ফরিদপুর সদরের প্রতাবপুর এলাকার সোহেল (২২) নামের এক বখাটে। এ ঘটনায় সম্প্রতি সালথা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা সোহেলের বিরুদ্ধে। অতঃপর গত ১৪ মার্চ র‌্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে সোহেলকে। এ ঘটনার পর থেকে মামলা তুলতে বারবার ইতি ও তার পরিবারকে বারবার চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছিল সোহেলের পরিবার। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে ইতি আত্মহত্যা করেছে।
তবে এব্যাপারে সোহেলের পরিবার পলাতক থাকায় তার পরিবারের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ওই স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ১০:২৬ এএম
ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৭ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত নুর আলম ওরফে হুমায়ুন(৩৪) মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামের মোঃ শহীদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় নুর আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারীর বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে। মেয়ে হত্যার দায়ে তার পিতা কুতুব উদ্দিন মোল্লা গত ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত পৌনে একটার সময় আমার মেয়ের স্বামীর বাড়ি উপজেলার গোপালদী গ্রামে তার পরিবারের লোকজন যোগসাজশে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে তাদের নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর আমার মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। এ বিষয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের কাউকে কিছু জানান না তার স্বামীর বাড়ির লোকজন। পরদিন ২৪ অক্টোবর ভোর ছয়টার সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ফোনে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারে কোন লোকজনকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, মামলাটিতে মোট ১২ জন সাক্ষী দেন। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন।

সালথায় যুবলীগ নেতার ভাইকে গ্রেপ্তার করায় বিএনপি নেতার ভাইকে হাতুড়িপেটা

সালথা (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
সালথায় যুবলীগ নেতার ভাইকে গ্রেপ্তার করায় বিএনপি নেতার ভাইকে হাতুড়িপেটা
ফরিদপুরের সালথায় মো. কবির মোল্যা (৩৮) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের একঘণ্টা পর তার সমর্থকরা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বড় ভাই মো. বাবলু মাতুব্বরকে (৫৫) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (০৭ মে) সকালে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (০৬ মে) বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত বাবলু মাঝারদিয়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা সলেমান মাতুব্বরের ছেলে ও উপজেলা স্বোচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. হারুন মাতুব্বরের বড় ভাই। এর আগে একইদিন বিকাল ৩টার দিকে ইউপি সদস্য কবির মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কবির মাঝারদিয়া গ্রামের আইজদ্দী মোল্যার ছেলে ও  মাঝারদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুরাদ মোল্যার ছোট ভাই।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. হারুন মাতুব্ব বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে যুবলীগ নেতা মুরাদের ভাই মাঝারদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কবির মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ১০-১২ টি মামলা রয়েছে। ওয়ারেন্টও আছে। যে কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। কবিরকে গ্রেপ্তারের বিষয় আমার ভাই বাবলু কিছুই জানে না। অথচ কবিরকে গ্রেপ্তার করায় তার সমর্থকরা আমার নিরহ ভাইকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।  আমি এর সঠিক বিচার চাই।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য কবির মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর হামলার বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।