খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

নব্য ফ্যাসিবাদের শঙ্কা মুক্তির পথ কী

মো. ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
নব্য ফ্যাসিবাদের শঙ্কা মুক্তির পথ কী

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সংবাদ হচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপ যা আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধের যে কোনোদিনে অনুষ্ঠিত হতে পারে। কেঊ কেউ বলছে, দ্রুত সাধারণ নির্বাচন দিয়ে নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এবং দেশি-বিদেশি কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনে করছেন, গত ১৫ বছরের সব জঞ্জাল দূর করতে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’-এ হাত দিক, তাতে যদি ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগে তাতেও সমস্যা নেই।

তারা মনে করেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, যেমন বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে নির্বাহী বিভাগ, ব্যাংকিং বিভাগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিজিবি এবং আনসারসহ দেশের যেসব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে সাধারণ জনগণের কাছে বিতর্কিত করেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করাসহ যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যমান থাকা প্রয়োজন। সেই দাবি পূরণ করতে বর্তমান সরকার বেশকিছু সংস্কার কমিটিও গঠন করেছে, ওইসব সংস্কার কমিটির রিপোর্টও ইতোমধ্যে সরকারের হাতে এসে পৌঁছেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো তারা সব সংস্কার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কারের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে যা জাতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ‘রাষ্ট্র-সংস্কার’ শব্দটি ক্ষুদ্র হলেও এর ব্যাপকতা অনেক বেশি।

তাই দেশের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, লেখক, গবেষক এবং সুশীল সমাজসহ সব পর্যায়ের জ্ঞানী ব্যক্তিদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ রাষ্ট্রের অনেক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আছে, আছে ’৭২-এর সংবিধান, অনেক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এসবের সংস্কারের জন্য প্রয়োজন বুদ্ধিভিত্তিক ইনপুট এবং পর্যাপ্ত সময়। এমন এমন সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার সংস্কার ৬ মাসে সম্ভব, কোনোটা ১ বছর, আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ১ বছরের অধিক সময়ও লাগতে পারে। এসব বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে সর্বাগ্রে দরকার সংস্কারের গুরুত্ব অনুযায়ী একটি প্রায়োরিটি লিস্ট করা। অতঃপর সেই প্রায়োরিটি অনুসারে সংস্কার কার্যক্রমে মনোনিবেশ করা। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, ফ্যাসিবাদের পতনের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এই কাজের জন্য যে যে সংস্কার প্রয়োজন তা দ্রুত শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা। তারা মনে করেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া যা নির্বাচিত সরকার পরবর্তী সময়েও চলমান রাখতে পারবে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারের উচিত একটা রোডম্যাপ প্রস্তুত করে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত করা।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বরাতে জানা যায়, সংস্কারসহ জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে সংঘটিত নৃশংস ও বর্বরিত হত্যাকাণ্ডের ওপর একটি দলিল যাকে ‘জুলাই সনদ ২০২৪’ নামে প্রস্তুত করে তা সব রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপন করা হবে যা ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এসব করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কেবল পুরনো পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে নির্বাচন করলেই কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আসবে না। নির্বাচন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। প্রস্তাব এসেছে, স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সরকার গঠনের একটি নতুন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই কাঠামোর আওতায় গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা হবে, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি ভিন্নধর্মী ভোটিং কাঠামো প্রস্তাব করা যেতে পারে, যেখানে সাধারণ ভোটারের ভোটের ওজন হবে ৭৫% এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের ভোটের ওজন থাকবে ২৫%। এতে জনগণের চাওয়ার প্রতিফলন যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি স্থানীয় নেতৃত্বের অংশগ্রহণও সুনিশ্চিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ ও কাঠামো নিয়ে চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে রাষ্ট্র সংস্কার, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই হতে পারে কার্যকর সমাধান। এর জন্য দরকার সময়সীমা নির্ধারণ, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং আন্তরিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সে পথে হাঁটতে দেখছি না। দেখছি না সেই বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠা সংগ্রামী ছাত্রদের, যাদের প্রতিবাদী কণ্ঠে মানুষ দেখেছিল নতুন এক ভোরের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নে ছিল মুক্তি, ছিল স্বাধীনতা, ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ছিল একটি ন্যায়ের সমাজ গঠনের প্রত্যাশা।

জাতীয় নির্বাচন, যা হওয়া উচিত ছিল জনগণের মতপ্রকাশের প্রধান মাধ্যম, যার জন্য গত ১৫ বছর মানুষ সংগ্রাম করেছে, আজ তার দিন-তারিখ ঠিক করতেই অতিবাহিত হয়েছে ১০ মাস। কবে সেই কাক্সিক্ষত নির্বাচন? আদৌ হবে কী? এরই মধ্যে বিরোধী মতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, প্রশাসনিক পক্ষপাতÑ সব মিলিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়া, অন্যদিকে সম্ভাব্য ক্ষমতাগ্রহী রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার স্বাদ পেতে সব আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কেবল নির্বাচনের তাড়াহুড়া, পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের সাম্রাজ্যের দখল নেওয়ায় ব্যস্ত থাকা ইত্যাদি সব মিলিয়ে বর্তমান তরুণদের অনেকেই এখন রাজনীতিকে দেখছে আজ ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধার এক বিশাল ক্ষেত্র হিসেবে। এতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ক্রমেই কলুষিত হয়ে পড়ছে। দেশ একটি কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকট শুধু রাজনৈতিক নয়Ñ এটি একটি নৈতিক সংকট, একটি চেতনার সংকট। সেজন্য প্রয়োজন আদর্শনিষ্ঠ এবং মূল্যবোধভিত্তিক রাজনীতি, যা হতে পারে ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। ইতিহাস বলে, যে জাতি অধিকার আদায়ে রক্ত দিতে জানে, তারা কখনও চিরকাল নিপীড়িত থাকে না। তাই আমাদের সামনে এখনও পথ আছে। সেই পথ সংগ্রামের, প্রশ্নের, আত্মজিজ্ঞাসার। স্বপ্ন এখনও বেঁচে আছে, তবে তাকে বাস্তব করতে হলে দরকার একটানা চেষ্টা, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং সত্যিকারের সাহস। যদি আমরা সেই পথে হাঁটতে পারি, তবে নিশ্চিতভাবেই একদিন মুক্তি আসবে, গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং মানুষ আবার বিশ্বাস করতে পারবেÑ এই দেশটি সত্যিই আমার এবং আমাদের।

কর্নেল মো. ইলিয়াস হোসেন : প্রকৌশলী ও গবেষক

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।