খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নিউজের ভয় দেখিয়ে নারীকে ব্লাকমেইল,  ভূয়া সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০০ পিএম
নিউজের ভয় দেখিয়ে নারীকে ব্লাকমেইল,  ভূয়া সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
  1. ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় রফিক মোল্যা  (৩৫) নামের এক ভূয়া সাংবাদিককে জরিমানা করেছে  ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ নিউজের ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইলের অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মুচলেকায় তার মুক্তি মিলে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম রায়হানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে  বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় ভূয়া সাংবাদিক রফিকের বাড়িতে গিয়ে  আলফাডাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম রায়হানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন।
 দৈনিক অগ্নীবিনা নামের এক নাম সর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রফিক উপজেলার বানা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে।  সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তার প্রকাশিত কোন সংবাদ এ পর্যন্ত সে দেখাতে পারেনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল এক নারী ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বুড়াইচ ইউনিয়নে শিয়ালদী গ্রামে  বেড়াতে গেলে সেখানে ওই নারীকে এবং  তার চাচাতো দুলাভাইকে নিয়ে মিথ্যা অনৈতিক আপত্তিকর অপবাদ দিয়ে ওই নারীর দুলাভাই এর কাছে একবার  ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে রফিক নামের ওই ভূয়া সাংবাদিক। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে ভুক্তভোগী নারী ও তাদের স্বজনরা জানালে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিক নামধারী প্রতারক রফিকের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে  ঘটনার সত্যতার পেলে  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে  রফিককে জরিমানা করে এবং মুচলেকা নিয়ে রফিককে প্রথমবারের মত ক্ষমা করে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর মা বলেন সাংবাদিক পরিচয় রফিকুল আমার বাড়িতে এসে মেয়ের  নামে মিথ্যা অপবাদ  ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। আমার স্বামী ভ্যান চালায় কোথা থেকে এত টাকা দেব। তারপরে বলে তাহলে  মেয়েকে দিয়ে তোমার জামাইয়ের নামে অপবাদ দিতে হবে,আমরা সালিশ মীমাংসা করে ৫ লক্ষ টাকা এনে তোমাদের দুই লক্ষ দিয়ে বাকি টাকা আমরা নিয়ে যাবো।
সহকারী কমিশনার ভূমি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম রায়হানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে রফিকুলকে তার বাড়িতে গিয়ে আটক করি  সকল তথ্য প্রমান ও কল রেকর্ডিং পর্যালোচনা করে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ও নিজে ভুল স্বীকার করায় প্রথমে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হলে, তার মা ব্রেন স্ট্রোকের রোগী ও ১৯ মাসের ছেলে সহ দুই সন্তান নিয়ে অভাব অনটনের জীবনযাপন করছে এই বলে পা জড়িয়ে ধরায় মানবিক বিবেচনায়  ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কাজ করবে না বলে মুচলেকা দেয়।
তিনি আরো বলেন, রফিকুল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমি আলফাডাঙ্গা  উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও অগ্নিশিখার উপজেলা প্রতিনিধি  এবং এই বাংলার স্টাফ রিপোর্টার।’ আইডি কার্ড দেখতে চাইলে এই বাংলার কার্ড নেই ও অগ্নিশিখার কার্ডের মেয়াদ নেই বলে জানায়।

সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১:০২ পিএম
সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 
ফরিদপুরের সালথায় ঈদুল আজহার দিনে আকাশ মোল্লা (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় নামক একটি জিকা গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকাশ মোল্লা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত হারুন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকাশের মা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ফরিদপুর সদরের তালতলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গতকাল (৬ জুন) শুক্রবার  রাত ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হয় আকাশ। পরে শনিবার ঈদের দিন সালথা’র কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে একটি জিকা গাছের সাথে লাইলনের রশি পেঁচানো আকাশের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আকাশ মাদকাসক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ফরিদপুর রিহ্যাব সেন্টারে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিন মাস পূর্বে বের হয়। গতকাল রাতে ভাড়া বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হওয়ার পর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারুফ হাসান রাসেল বলেন, খবর পেয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১০:১১ এএম
ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুরের একটি মানবিক উদ্যোগে আবারও প্রমাণ হলো-একটি সামান্য সহায়তাও বদলে দিতে পারে একটি মানুষের জীবন। কুরবানির পবিত্র সময়কে সামনে রেখে ধলার মোড়ে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে এক স্বামীহারা নারীর জীবিকার একমাত্র উৎস ‘সকাল টি স্টোর’ নতুনভাবে নির্মাণ ও পূর্ণ মালপত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

দোকানটির টিনের চালা ছিল চৌচির আর ভেতরে ছিল না ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মালামাল। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ওই নারী। বিষয়টি জানতে পেরে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

উৎস-এর স্বেচ্ছাসেবীরা দোকানটি নতুনভাবে নির্মাণ করে, ছাউনির সমস্যা মেরামত করে এবং প্রয়োজনীয় চা-নাস্তার মালামাল সরবরাহ করে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার উপযোগী করে তোলে।
সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন,

“এই ঈদে আমরা শুধু পশু কোরবানি নয়, ত্যাগ ও ভালোবাসার কোরবানিকেই সবচেয়ে বড় করে দেখেছি। একজন মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারা-এটাই আমাদের ঈদের আনন্দ।”

‘সকাল টি স্টোর’ এখন শুধুই একটি দোকান নয়, বরং একজন নারীর আত্মমর্যাদায় ফিরে আসার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।