খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৫:০৫ পিএম
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ মামলায় সাইফুর রহমান (৩০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে নেয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত সাইফুর রহমান ফরিদপুর পৌরসভার গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার মহিউদ্দিন রহমানের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার সাইফুর রহমানের বাড়িতে ওই শিশুকন্যা বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। গত ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর রাতে সাইফুর রহমান ওই শিশুটিকে বাড়ির পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয় সাইফুর রহমান। পরে শিশুটিকে এ ঘটনা কাউকে বলতে মানা করে সাইফুর, কাউকে কিছু বললে, তাকে এবং তার বাবা-মা ও ভাইকে হত্যা করার হুমকি দেয়।

এরপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় শিশুটি। পরে শিশুটির বাবা-মা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, শিশুকন্যাকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সাইফুর রহমান। পরে শিশুটি বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, এই রায়ে আমরা খুশি। বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

সালথায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার: মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন!

নুরুল ইসলাম নাহিদ, সালথা:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৪:০২ পিএম
সালথায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার: মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন!

ফরিদপুরের সালথায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর থেকে নাসিমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খারদিয়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা কাইয়ুম মাতুব্বরের স্ত্রী। তবে ওই গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন উঠেছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, নাসিমা শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত। গতকাল বুধবার রাতে নাসিমার সাথে তার স্বামী কাইয়ুমের ঝগড়া হয়। পরে রাতেই নাসিমা শ্বাসকষ্টে মারা যায় বলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে নাসিমার ছোট ভাই আবুল হাসান শরীফ জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে জানান তার বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে নাসিমার স্বামীর দাবি, তিনি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বড় খারদিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর থেকে নাসিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে শ্বাসকষ্টের মারা গেছে বলা হলেও তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছে শ্বাসকষ্টে মারা গেছে আবার কেউ বলছে মেরে ফেলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যদিও মরদেহের শরীরের আঘাতের কোনো দাগ নেই। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

ফরিদপুরে ইজিবাইক চালক হত্যায় পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৩:২৯ পিএম
ফরিদপুরে ইজিবাইক চালক হত্যায় পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড

ফরিদপুরে শওকত মোল্যা (২০) নামের এক ইজিবাইক চালক হত্যায় পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়। এই মামলার অপর এক আসামিকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দশ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. মাকসুদুর রহমান এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. মেহেদী আবু কাওসার (২৫), মো. জনি মোল্লা (৩০), রাসেল শেখ (২৫), রাজেস রবি দাস (২৯) ও মো. রবিন মোল্লা ওরফে ভিকি (২৫)।

রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে উপস্থিত আসামিদের পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।

এদের মধ্যে মো. রাসেল শেখ পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অপর আসামী রাজবাড়ীর মজলিসপুর এলাকার বাদশা শেখকে (৩১) দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দশ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

‎মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর শওকত মোল্যা (২০) নামে এক যুবক নিজ বাড়ি থেকে বিকেলে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর তার পরিবার তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরের দিন সকাল ৭ টার দিকে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মোল্যা বাড়ী সড়কের শেষ মাথার বাইপাস রোডের কাছে আবুল হোসেনের ধান ক্ষেতের মধ্যে তার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। এরপর তার পিতা আয়নাল শেখ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

‎এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট চৌধুরীর জাহিদ হাসান (খোকন) জানান, ইজিবাইক ছিনতাই করতে চালককে হত্যার মামলায় দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। এদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। তিনি বলেন, এই মামলায় আমরা সর্বোচ্চ রায় পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি।

ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম স্থবির : সালথায় ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবী মেম্বারদের

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩৭ পিএম
ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম স্থবির : সালথায় ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবী মেম্বারদের

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের গাড়ি ভাংচুর মামলা সহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী সালথা উপজেলার ৪নং ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক উজ্জমান ফকির মিয়ার অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই ইউনিয়নের ইউপি মেম্বাররা।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সালথা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ইউপি চেযারম্যানের অপসারণ চেয়ে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য আবু মোল্যা, মো. মামুন সরদার, মাহবুবুর রহমান, আদেল মোল্যা, আবু বক্কার প্রমূখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিগত ৭/৮ মাস যাবত সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪নং ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক উজ্জমান ফকির মিয়া বিভিন্ন মামলায় পলাতক রয়েছে। সে ইউনিয়ন পরিষদে না আসায় জনসাধারণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, স্থবির হয়ে পড়েছে পরিষদের কার্যক্রম। গত ৫ই আগস্টের পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত করতে চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই।

প্রতিদিনই ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নেওয়ার জন্য এসে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে ফিরে যায় অনেক সেবা প্রত্যাশী।

তিনি পরিষদে উপস্থিত না থাকার কারণে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্যানেল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জনগণের সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

এব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাওয়াল ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। তাকে আটকের অভিযান চলছে।

এবিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ভাওয়াল ইউপি চেয়ারম্যানের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।