খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ১২ আষাঢ়, ১৪৩২

বোয়ালমারীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে দুইপক্ষের মারামারি, আহত-৬

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ৭:৫৫ পিএম
বোয়ালমারীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে দুইপক্ষের মারামারি, আহত-৬

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে দুইপক্ষের মারামারিতে ৬ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক বাবুল মোল্যার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের সাথে এ ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে ইউএনও এবং ওসির উপস্থিতিতে পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে একটি সূত্র জানায়।

এলাকাবাসী ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী পৌর সদরের ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা জব্দুল মোল্যার ছেলে ও উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মো. বাবুল মোল্যার নিকট ১৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১৪ হাজার ৬১০ টাকা পাওনা রয়েছে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির। বুধবার সকাল দশটার দিকে স্থানীয় নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক বাবুল মোল্যার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোয়ালমারী জোনাল অফিসের কর্মচারীগণ। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারি শুরু হয়। এ সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শাহেদ, জুয়েল, রাসেল, হাবিব এবং গ্রাহক বাবুল মোল্যা ও তার ভাই শাহজাহান আহত হয়। পল্লী বিদ্যুৎ এর দুইজন ও বাবুল ও শাহজাহানক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অপর দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

গ্রাহক বাবুল মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। শোর চিৎকার শুনে বাইরে গিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর লোকজনকে দেখতে পাই। তারা আমার ভাইকে মারতে ছিল। তাকে ঠেকাতে এগিয়ে গেলে আমাকেও ঘিরে ধরে মারতে থাকে। বড় রেঞ্জ দিয়ে আঘাত করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে এসে আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আমরা একটু সুস্থ হলেই মামলা করবো।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী বিদ্যুৎতের জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. সাইদুর রহমান বলেন, ১৩ মাসের সাড়ে ১৪ হাজার টাকা বিল বাকি। বিলও পরিশোধ করে না আবার লাইন কাটতেও দেয়না। জুন মাসে আমাদের প্রচুর চাপ থাকে। তাই বিল আদায়ে না হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়েছিল। কিন্তু তারা আমাদের লোকজনকে মারপিট করে আহত করে। আহত চারজনের মধ্যে ২জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ইউএনও এবং ওসি মহোদয়কে সাথে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ ঘটনায় সমিতির পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখনো কেউ অভিযোগ জমা দেয়নি।

জানতে চাইলে উপজেলা বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, সময়মতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করা অন্যায়। আমি গিয়েছিলাম এ নিয়ে আর কোন ঝামেলা যাতে না হয় আর জনগণকে সচেতন করতে। যাতে ভবিষ্যতে এ রকম না হয়। অভিযোগ দিলে কার কি দোষত্রুটি পুলিশ খুঁজে বের করবে।

প্রধান অতিথি হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ফরিদপুরে স্থগিত হলো বিএনপির কর্মী সম্মেলন 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৭:২২ এএম
প্রধান অতিথি হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ফরিদপুরে স্থগিত হলো বিএনপির কর্মী সম্মেলন 

ফরিদপুর জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে সাংগঠনিক ভাবে ৮টি উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন শেষ হলেও সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। তবে কি কারণে স্থগিত হয়েছে সে বিষয়টি কেউ সরাসরি মুখ খুলতে রাজি হননি।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে অতিথি করা নিয়ে স্থগিত হয়ে যায় সম্মেলনটি। যা জেলা জুড়ে সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

বিএনপির দলীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি কে হবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা না-কি ফরিদপুরের ৫ বারের সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। এমন প্রশ্নে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে এ কর্মী সমাবেশ।

উল্লেখ্য, আগামী ক্রিয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা এবং সাবেক মন্ত্রী কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

জানা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আশরাফ নান্নু, সদস্য হিসেবে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শহীদ পারভেজ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর লতিফ ও সদরের কৈজুরি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান।

এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির একটি সভা আয়োজন করা হয় আহ্বায়কের অফিসে। ওই সভায় সদরের সমাবেশ স্থগিত করে ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক কমিটির টিমের উপর ন্যস্ত করে।

ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক কমিটির টিম প্রধান হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেযারম্যান আসাদুজ্জামান তপন। সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান ।

সদর উপজেলা কর্মী সম্মেলন স্থগিত হওয়ার ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি আলী আশরাফ বলেন, কে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হবেন বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় এ সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ফরিদপুরের সাবেক মন্ত্রী মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে। ২০১৮ সালে তিনি ফরিদপুর-৩ (সদর) আসন থেকে বাবার পাশাপাশি ডামি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কামাল ইউসুফের মনোনয়ন পত্র বৈধ হওয়ার পর নায়াব তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তিনি ফরিদপুর সদর বিএনপির কর্মী সম্মেলনের প্রধান অতিথি হতে চান। কিন্তু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। অথচ এর আগে চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গার কর্মী সমাবেশে সৈয়দ মোদাররেছ আলীর জায়গায় প্রধান অতিথি হয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। ওই দুটি সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোদাররেছ আলী ইছা উদ্বোধক ছিলেন। সেটা নাকি ছিল তার (মোদাররেছ) ব্যক্তিগত আর সদরের বিষয়টি রাজনৈতিক বিষয়!

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ও সৈয়দ মোদাররেছ আলী যার যার অবস্থানে ছিলেন অনঢ়। কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড়া দিতে রাজি না থাকায় এ সমাবেশের আয়োজন করা হলে মারপিট ও রক্তাক্ত সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা ছিল বিধায় সদরের কর্মী সমাবেশ স্থগিত হয়ে যায়।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন জানান, সদরের কর্মী সমাবেশের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। যার কারণে সম্মেলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী বলেন, কিছু জঠিলতা সৃষ্টি হওয়ায় সদরের সমাবেশ স্থগিত করে কর্মী সম্মেলনের আয়োজনের জন্য ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক কমিটির উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

স্থগিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান বলেন, এটা একটা মামুলি ব্যাপার। কোন জায়গায় কর্মী সমাবেশ আয়োজন ঘাটতি আছে, কিংবা সংঘাত হতে পারে বা কেউ অসুস্থ এ জাতীয় সমস্যা মনে হলে সমাবেশের সময় পিছিয়ে দেওয়া দোষনীয় নয়। এক্ষেত্রে হয়তো তাই হয়েছে।

তিনি বলেন, দলের সিনিয়র যদি কেউ অতিথি হতে চায়, সেই একই এলাকায় তার চেয়ে জুনিয়র যদি কেউ একই পর্যায়ে অতিথি হতে চায়, সেখানেও সমস্যা হতে পারে। বিএনপি একটা বড় দল, অনেক নেতাকর্মী নিয়ে চলাচল। তবে সংগঠন চলে দলীয় নীতিমালার আলোকে। তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন বিলম্ব হলেও ফরিদপুর সদরের কর্মী সম্মেলন সফল ভাবে সম্পূর্ণ হবে আশা করি।

ফরিদপুরে ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ মাদক কারবারি আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ৮:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ মাদক কারবারি আটক

ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংক মোর এলাকার একটি বাড়িতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ চিহ্নিত এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাত ১০টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ফরিদপুর সেনা ক্যাম্পের একটি সূত্রে জানা যায়, জনতা ব্যাংকের উপরের একটি বাসায় মাদক ব্যবসা চলছে। এমন সংবাদের পরপরই সেনা টহলের একটি দল এবং পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় নাসির উদ্দিন হীরা (৪৫) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং তিনটি দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবা সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত এবং তার জনতা ব্যাংকের ৩য় তলায় বাসাটি ছিল মাদক সরবরাহ ও বিতরণের অন্যতম কেন্দ্র।

বর্তমানে আটক ব্যক্তি এবং জব্দকৃত মাদক ও অস্ত্র ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অবৈধ অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে সেনাবাহিনী। এই ধারাবাহিকতায় আগামী দিনেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায়।

ভাঙ্গায় লুণ্ঠিত মালামালসহ দুই ডাকাত গ্রেপ্তার

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ৮:২৯ পিএম
ভাঙ্গায় লুণ্ঠিত মালামালসহ দুই ডাকাত গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তিনদিন আগে হওয়া ডাকাতির ঘটনায় দুই কলেজ ছাত্রের লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল সহ দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করে ডাকাতের ঘটনার দায় স্বীকার করেন গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ডাকাত। পরে তাদেরকে আদালত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ভাঙ্গা ও শিবচর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিবচর থেক ইসমাইল হোসেন ওরফে রাজু মন্ডল (৩০) নামের এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ওই রাতেই গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা সদর থেকে আকরাম শেখ (৩০) নামের আরেক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ডাকাতদের নিকট থেকে লুন্ঠিত হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত ইসমাইল হোসেন ওরফে রাজু মন্ডল নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার নুনুজ গ্রামের বাসিন্দা ও আরেকজন আকরাম শেখ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বড়ইহাট গ্রামের বাসিন্দা।

এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, তিনদিন আগে ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা দুই কলেজ ছাত্রের নিকট থেকে লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল সহ দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী প্রদান করে ডাকাতি করার ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। অন্য ডাকাতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ শে জুন রাতে ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া থেকে বন্ধুর বাড়িতে বেড়ানো শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন ঢাকার মোহাম্মদপুর মডেল কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসান ও সাগর। রাতে ঢাকা ফেরার পথে ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের নয়াকান্দা নামক স্থানে আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতের কবলে পড়েন তারা। ডাকাতরা তাদেরকে মারধর করে হোন্ডা, নগদ লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রবিবার (২২ জুুন) ভোররাতে কৌশলে পালিয়ে তারা জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন। এঘটনায় ওইদিন কলেজ ছাত্র মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।