খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

ল্যাপটপকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখার ৫ টিপস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:১৪ পিএম
ল্যাপটপকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখার ৫ টিপস

ল্যাপটপ এখন আমাদের জীবনের একটা বড় অংশ। পড়াশোনা, কাজ, মুভি দেখা বা শুধু ইউটিউবে ঘুরে বেড়ান থেকে সবকিছুই ল্যাপটপেই চলে।

অনেক সময় আমরা এটার দিকে খুবই অবহেলা করি, অথচ ঠিকমতো যত্ন নিলে ল্যাপটপ অনেক দিন ভালো থাকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিছু সহজ টিপস, যা আপনার ল্যাপটপকে দীর্ঘদিন ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

কয়েকটি সহজ টিপস

কাজ করার সময় ল্যাপটপকে কুশন বা বালিশের ওপর রাখবেন না

আমি আমার বন্ধুদের প্রায়ই দেখি, ল্যাপটপ সোফা বা বিছানায় রেখে কাজ করছে। এতে ল্যাপটপের ব্যাটারির ক্ষতি হয়। বেশিরভাগ ল্যাপটপের ফ্যান নিচে থাকে, আর যখন আপনি এটিকে কম্বল বা কুশনের ওপর রাখেন, তখন গরম বাতাস বের হতে পারে না। এতে ল্যাপটপ আরও গরম হয় এবং দ্রুত নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

সবসময় আপডেট করুন

অনেক সময় সফটওয়্যার ঠিকভাবে কাজ না করার কারণ হলো আপনি তার আপডেটগুলো এড়িয়ে গেছেন। আমি জানি আপডেট সময় নেয় এবং বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু এগুলো বাগ ঠিক করে এবং ডিভাইসকে ভালোভাবে চলতে সাহায্য করে।

ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখুন

কি-বোর্ডের মধ্যে ধুলো-ময়লা খুব সহজেই ঢুকে যায়, আর সেখান থেকে ভেতরের অংশেও চলে যেতে পারে। নিয়মিত ল্যাপটপ পরিষ্কার করলে ধুলো কম জমবে এবং ল্যাপটপও বেশি দিন ভালো থাকবে।

ল্যাপটপ বন্ধ করে রাখুন!

ল্যাপটপকে একটু বিশ্রাম দেওয়া জরুরি। আপনি যদি সবসময় চালু রাখেন, এমনকি স্লিপ মোডেও অনেক কাজ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। তাই মাঝে মধ্যে পুরোপুরি বন্ধ করে রাখলে ল্যাপটপের আয়ু বাড়ে। মানুষ যেমন বিশ্রাম চায়, ল্যাপটপও তেমনই।

সহজ কিছু আপগ্রেড করুন

অনেক ল্যাপটপে প্রয়োজন হলে RAM বাড়ানো বা ব্যাটারি বদলানো যায় খুব সহজেই। ইউটিউবে প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে যেগুলো দেখে নিজেই করতে পারবেন। আর যদি প্রযুক্তিতে খুব স্বচ্ছন্দ না হন, তাহলে স্থানীয় মেরামত বা রিইউজ নেটওয়ার্কে গিয়ে সাহায্য নিতে পারেন।

কেন ল্যাপটপ বেশি দিন টিকিয়ে রাখা জরুরি?

ই-ওয়েস্ট বা ইলেকট্রনিক বর্জ্য এখন বড় সমস্যা। তাই শুধু নতুন ল্যাপটপ কিনে ফেলা সহজ সমাধান নয়। বেশিরভাগ সময় বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো এমন দেশে পাঠানো হয়, যেখানে বর্জ্য নিষ্পত্তির নিয়ম-কানুন খুব শিথিল।

সেখানে যারা এসব বর্জ্য নিয়ে কাজ করেন, তারা ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক থেকে নিজেদের রক্ষা করার মতো প্রশিক্ষণ পান না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২০ লাখ টন ই-ওয়েস্ট বাড়ছে। বিশ্বে মোট প্রায় ১.৪ মিলিয়ন টন ইলেকট্রনিক পণ্য কেনা হয় এবং প্রায় একই পরিমাণ ফেলে দেওয়া হয়।

WRAP-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৪০% ই-ওয়েস্ট ল্যান্ডফিলে যায় এবং ১০% এরও কম পুনরায় ব্যবহার করা হয়, যদিও বেশিরভাগই ব্যবহারযোগ্য বা মেরামতযোগ্য থাকে।

সূত্র : Computer Aid

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।