সালথায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য সহ গ্রেপ্তার ২

ফরিদপুরের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও প্রবীণ শিক্ষক শহরের ভাটিলক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা ওস্তাদ খায়রুল ইসলাম নীলু ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃতুবরণ করেন।তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। সোমবার বাদ আছর শহরের ভাটিলক্ষ্মীপুর ইয়াছিন মঞ্জিল জামে মসজিদে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে আলীপুর পৌর কবরাস্থানে দাফন করা হয়।
ওস্তাদ খায়রুল ইসলাম নীলুর মৃত্যুর সংবাদে ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক এম এ সামাদ , সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার আহবায়ক এ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম ষ্টালিন, সদস্য সচিব মো. হাসানুজ্জামান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, এফডিএর প্রতিষ্টাতা মো. আজহারুল ইসলাম, বিএফএফর নিবাহী পরিচালক অনম ফজলুল হাদি সাব্বির, চাঁদের হাট ফরিদপুরের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন তিতু, সুর লহড়ী একাডেমীর সভাপতি শরীফ সোহান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, কবি আবু জাফর দিলু, কবি আলীম আল রাজি আজাদ, ফরিদপুর ললিতকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মিঠুসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শোক প্রকাশ করেছেন।
ফরিদপুর সংগীত জগতের এক পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন খায়রুল ইসলাম। তিনি ফরিদপুর ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ দিন তিনি ফরিদপুর শিল্পকলা একেডেমির সংগীত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফরিদপুর খেলাঘর তাকে তপন বোস স্মৃতি পদক এবং শিল্পকলা একাডেমি সংগীত গুণিন সম্মাননা পদক প্রদান করে। এছাড়া খেয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন, ফরিদপুর প্রবীণ হিতৈষী সংঘ তাকে সম্মাননা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে।
ফরিদপুরের পুলিশ লাইনস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২৩ জুন) এ সংবর্ধনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
উক্ত বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল।
এসময় তিনি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল কায়ূম শেখ সহ অন্যান্য শিক্ষকমন্ডলী এবং পরীক্ষার্থীবৃন্দ।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এবং সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি)-এর আয়োজনে ফরিদপুরের ছনেরটেক গ্রামে ‘বস্তায় আদা চাষ’ বিষয়ক একটি মাঠ দিবস সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) ফরিদপুর সদরের এসডিসির নর্থ চ্যানেল শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ৭৫ জন স্থানীয় কৃষক ও কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ওমর আলী। তিনি বস্তায় আদা চাষের আধুনিক কৌশল, এর সুবিধা এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “বস্তায় আদা চাষ কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষি পদ্ধতি। এটি সীমিত জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি মাটির উর্বরতা রক্ষায়ও সহায়ক।”
অনুষ্ঠানে এসডিসির কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া হাসান বস্তায় আদা চাষের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। তিনি কৃষকদের হাতে-কলমে বস্তা প্রস্তুত, বীজ নির্বাচন, সার প্রয়োগ ও রোগবালাই প্রতিরোধের কৌশল শিখিয়েছেন। সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজিদ আহমেদ এবং নর্থ চ্যানেল শাখার সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক আহম্মেদ শেখও উপস্থিত থেকে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
অংশগ্রহণকারী কৃষকরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। স্থানীয় কৃষক রহিম মিয়া বলেন, “আমরা আগে জানতাম না যে বস্তায় এভাবে আদা চাষ করা যায়। এখন আমরা এই পদ্ধতি নিজেদের জমিতে প্রয়োগ করব।”
এসডিসির প্রতিনিধিরা জানান, এই মাঠ দিবসের উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের মাঝে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির প্রসার ঘটানো। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশ্বাস দেন।
মাঠ দিবসটি স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন
Array