সালথায় বন্দুক ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬৭ পিস ইয়াবা বড়ি, ২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও ২টি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) ভোর রাতে বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কয়ড়া জয়নগর গ্রাম থেকে মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কয়রা-জয়নগর গ্রামের মো. আতিয়ার শেখের ছেলে মোশারফ মোল্যা (৪৫) ও একই গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে মো. শামীম খান (৩০)। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর রাতে সেনাবাহিনীর ১৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের বোয়ালমারী সেনা ক্যাম্পের একটি টহল দল পুলিশের সহযোগিতায় সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে মোশাররফ শেখ ও শামীম খানকে মাদকসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। মুসা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে মাদক সরবরাহ করে আসছিল বলে যৌথবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এলাকায় মাদকের একটি বড় চক্রের সাথে সে জড়িত এবং এলাকাবাসী তাকে ইয়াবা মুসা বলেই চেনেন জানেন। এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাকিব হোসেন বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর-৯। আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সেনা সূত্র মতে জানা যায়, অবৈধ অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী। অপরাধ দমনে সেনা ক্যাম্পসমূহকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে আরফান মুন্সি (১৪) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (০৭ জুলাই) দিবাগত রাত দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত আরফান মুন্সি উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের চারাভিটা গ্রামের মো. হাতেম মুন্সীর ছেলে।
স্থানীয়, পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,
আরফান রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করলে পরিবারের সদস্যদের ডেকে তোলে। এ সময় তার শরীরে তীব্র ব্যথা ও জ্বালা শুরু হয়। রাত ২ টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে কাউলীবেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হসনাত দুদু মিয়া বলেন, ওই কিশোরকে ঘুমের মধ্যে বিষধর সাপে কামড় দেয়। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের বলেন, রোগীর সাথে আসা তার স্বজনরা জানান, তাকে ঘুমের মধ্যে সাপে কামড়িয়েছে। তবে রোগীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিদ্যুতস্পৃষ্টে হয়ে মো. নাসির মোল্যা (৪৫) নামে এক জাহাজ মাস্টারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বড়গাঁ নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
তিনি পাশ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের মো. আমীর হোসেন মোল্যার ছেলে এবং খুলনায় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন জাহাজের মাস্টার হিসেবে চাকরিরত ছিলেন তিনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খুলনায় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন জাহাজের মাস্টার হিসেবে চাকরি করতেন মো. নাসির মোল্যা। কিছুদিন আগে তিনি ছুটি নিয়ে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাংকুলা গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি তিনি আলফাডাঙ্গার সীমান্ত পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বড়গাঁ নতুন বাজারে নিজ মালিকানাধীন জমিতে একটি দোকান নির্মাণের কাজ করছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নবনির্মিত দোকানের ফ্লোর ও ওয়ালে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা হক টুম্পা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশকে জানানোর আগেই স্বজনেরা তার মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক তদন্ত (ওসি তদন্ত) আল আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতাল থেকে স্বজনরা মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। নিহতের বাড়ি পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা থানায় হওয়ায় আলফাডাঙ্গা থানাকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। দুই থানা পুলিশ সমন্বয় করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাজালাল আলম জানান, বোয়ালমারী থানা থেকে খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম মৃতের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ঘটনাস্থল বোয়ালমারী থানাধীন তাই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবে। আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
আপনার মতামত লিখুন
Array