খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২

সালথায় বন্দুক ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৭ এএম
সালথায় বন্দুক ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার
ফরিদপুরের সালথায় একটি দেশীয় এল.জি (বন্দুক) ও  শর্টগানের দুইটি তাজা কার্তুজ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১০।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের  আড়ুয়াকান্দি গ্রামের একটি কলার বাগান থেকে দেশীয় তৈরী এল.জি বন্দুক ও  দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ  উদ্ধার করে।
ফরিদপুর র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,  র‌্যাব-১০ এর সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুরের সালথার আড়ুয়াকান্দি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে একটি দেশীয় তৈরী এল.জি (বন্দুক) এবং শর্টগানের দুই রাউন্ড কার্তুজ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফরিদপুরে আ.লীগ নেতার নামে সুইসাইড নোট লিখে ঠিকাদারের আত্মহত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ১০:২৩ এএম
ফরিদপুরে আ.লীগ নেতার নামে সুইসাইড নোট লিখে ঠিকাদারের আত্মহত্যা
ফরিদপুরে নুরুজ্জামান বুলবুল (৪৮) নামে এক তরুণ ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ মে) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি গ্রামে পৈত্রিক বাসভবনের ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এসময় তার ওই কক্ষ থেকে মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া একাধিক সুইসিডাল নোট তথা চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এর একটিতে লেখা ছিলো- “বিল্লাল ভাই আমাকে আর বাঁচতে দিলেন না।” ধারণা করা হচ্ছে- ব্যবসায়ীক বিরোধ ও পারিবারিক ঝামেলার কারণে বুলবুল আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত নুরুজ্জামান বুলবুল কৈজুরীর বাসিন্দা মরহুম মোজাফফর হোসেন রাঙা মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র। তার বাবা ফরিদপুরের মুন্সিবাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। রাঙা মিয়া চার বছর আগে মারা যান। এরপর গত বছর বুলবুলের মা’ও মারা যান। স্ত্রী ও ৩ মেয়ে রয়েছে তার। তাদের নিয়ে কৈজুরিতে পৈত্রিক বাসভবনে বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানান, নুরুজ্জামান বুলবুল আগেরদিন রোববার দুপুরের দিকে তাদের তিনতলা বাসভবনের দোতলার ওই কক্ষটিতে প্রবেশ করেন। এরপর আর তার কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় সোমবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বুলবুলের মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওসি বলেন, এটি আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তার মৃত্যুর কারণ।
প্রসঙ্গত, গত বছর নুরুজ্জামান বুলবুলের মায়ের মৃত্যুর পর তাঁকে কৈজুরি ইউনিয়নের মামুদপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়।

ফরিদপুর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি-সম্পাদক পদ শূন্য ঘোষণা, নতুন দায়িত্ব প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৪:৩৫ পিএম
ফরিদপুর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি-সম্পাদক পদ শূন্য ঘোষণা, নতুন দায়িত্ব প্রদান
ফরিদপুরে পনের বছর আগে ঘোষিত জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আওয়ামী লীগের যোগদান করায় এবং সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুবরণ করায় প্রধান এ দুটি পদ শূণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে সভাপতি হিসেবে সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শামসুল হক সরদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। দলটির সাংগঠনিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে জেলা শহরের গোয়ালচামটস্থ দলটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় দলটির বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মো. শামসুল হক সরদার।
তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১০ সালে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিশ্চুপ ছিলেন তাঁরা। এরমধ্যে ২০১৮ সালে কমিটির সভাপতি শেখ মোজাফফর আলী মুসা আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। সাধারন সম্পাদক মো. অলিয়ার রহমানও আওয়ামীলীগে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে মারা যান। এছাড়া বিভিন্ন সময় ১৩ জন সদস্য মৃতু্যবরণ করেন। এমতাবস্থায় গত ৪ এপ্রিল দলটির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ২১ জন সদস্যের সম্মতিক্রমে এসব পদ শূণ্য ঘোষণা করে নতুন নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সহসভাপতি মো. শামসুল হক সরদার এবং সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানা। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি হতে মোজাফফর আলী মুসার সভাপতি হিসেবে সকল কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া নতুন দায়িত্ব পাওয়া সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপজেলা এবং পৌর কমিটি নতুনভাবে গঠন করা হবে। যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১০ সালে কমিটি ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন সময় অনেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এতে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। বিষয়টি একাধিকবার কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া আওয়ামী লীগের ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
এ সময় সংগঠনটির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, আ.ক.ম নুরুন্নবী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন মামুন, সহ সম্পাদক মো. রউফুল আলম লিমন, মো. জাহিদ হোসেন, মো. জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এ মজিদ সহ ২১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মহানগর কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন, সহ-সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান লিটু, কোতয়ালী থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ. সত্তার জোয়ারদার উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুরে স্কুল ছাত্রের উপর নির্যাতনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৪:২২ পিএম
ফরিদপুরে স্কুল ছাত্রের উপর নির্যাতনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
ফরিদপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে ও নদীতে চুবিয়ে নির্যাতনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চিলারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে চিলারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মোহসিন খান জানায়, গত ৮ মে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে প্রথমে ধরে মারপিট করে পাশের নদীতে চুবায়। সেখান থেকে স্কুলে যাওয়ার পরে আবার তাকে জোর করে স্কুল থেকে ধরে নিয়ে মুখে গামছা বেধে টানা হেচড়া করে এলোপাথাড়ীভাবে চড়থাপ্পড় কিলঘুষি মারে ও লাঠি দিয়ে পেটায়।
এসময় হামলাকারীরা তাদের বিরুদ্ধে তার   বাবার দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বলে মামলা তুলে না নিলে তাকে খুন করার হুমকি দেয়া হয় বলে মোহসিন অভিযোগ করেন।
মোহসিনের বাবা দেলোয়ার খান (৩৬) জানান, স্থানীয় এক যুবকের পরকিয়া সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় গত বছরের ১২ জুন ইউপি মেম্বার মনিরুজ্জামান আবেদের নেতৃত্বে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালায়। হামলাকারীরা চোর আখ্যা দিয়ে দেলোয়ার খানের কোমর থেকে পা পর্যন্ত পিটিয়ে থেতলে দেয়। তিনমাস ঢাকা ও ফরিদপুরের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হন।
মোহসিনের মা মিরা আক্তার (৩০) বলেন, তার স্বামীর উপর হামলার ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৯ জনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তার ছেলের উপরে এই নির্যাতন চালানো হয়।
এ ঘটনায় চিলারকান্দি গ্রামের রবিন শেখ (২০), শাহিন মল্লিক (২৫), উজ্জল শেখ (২৫), হাসিব মল্লিক (৪৯), হানিফ শেখের (৪৫)  বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার এএসআই রেজাউলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করেছে।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, থানায় অভিযোগ দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি থানায়। অভিযুক্তরা এখনো প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং থানা পুলিশ করলে আবারো মারপিট করবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে এএসআই রেজাউল বলেন, ঘটনার তদন্তে ওই শিশুকে মারধরের সত্যতা পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।