খুঁজুন
বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৮ শ্রাবণ, ১৪৩২

অভিযানের পরও থেমে নেই সালথার কুমার নদের বালু উত্তোলন

সালথা (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৫ পিএম
অভিযানের পরও থেমে নেই সালথার কুমার নদের বালু উত্তোলন
ফরিদপুরের সালথায় অভিযানের পরও কুমার নদীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছেই। এতে দুই পাড়ে থাকা বসতবাড়ী ও পাকা সড়ক চরম হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে পাড় ভেঙ্গে যাওয়াসহ ফাঁটল ধরার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সোনাপুর ও যদুনন্দী ইউনিয়ন অর্থাৎ সোনাপুর ও খারদিয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মহোৎসবে বালু উত্তোলন করছে নাসির সিন্ডিকেটের প্রধান নাসির। আবার বালু নেওয়ার পাইপ স্থাপন করা হয়েছে সড়কের উপর দিয়ে যেখানে কোন সংকেত দেওয়া হয়নি। ফলে যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, এই নাসিরের অন্য কোন পেশা নাই। সে দীর্ঘদিন ধরে কুমার নদীসহ বিভিন্ন জায়গায় এই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে থাকে। এছাড়াও তার রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। যার কারনে সে কাউকে তোয়াক্কা না করেই দীর্ঘদিন যাবৎ এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
চলতি মাসের ৬ই এপ্রিল অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলন করার দ্বায়ে এই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মেশিন অকেজো করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।  অভিযানের পর বসে ছিল না প্রভাবশালী এই নাসির। কিছুদিন পার না হতেই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে একই স্থানে পুনরায় শুরু করল বালু উত্তোলন।
কুমার নদের দুই পাড়ের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত সৃজনে উক্ত নদীটি খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়াও কোটি কোটি টাকার খরচ করে নদের দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক সংস্কার করেন কর্তৃপক্ষ। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় সেই সড়ক দুটি এখন ঝুঁকিতে পড়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালীর সাথে কথা বললে তিনি পুনরায় অভিযান পরিচালনা করবেন বলে জানান।

বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৯ পিএম
বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন

ফরিদপুরে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্টারগার্ডেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রাইভেট স্কুল সমন্বয় পরিষদ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ‌কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শতাধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্টারগার্ডেন স্কুলের কয়েকশ শিক্ষকরা ঘন্ট্যাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।

ফরিদপুর প্রাইভেট স্কুল সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম অহিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অপরেশ রায় অপুর সঞ্চালনায় কর্মসূচির শুরুতেই উত্তরা ‌মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের ‌রুহের মাগফেরাত কামনায় ‌দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি ‌মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান মোল্লা ‌প্রমূখ। ‌

‌বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও‌ কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলোর ‌শিক্ষার্থীদের ‌বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বৃত্তি পরীক্ষা চালু থাকবে অন্যদিকে ‌বেসরকারি বিদ্যালয় ‌‌ এবং কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা থেকে ‌বঞ্চিত হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। ‌

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিশুর ‌শিক্ষার অধিকার আছে, ‌বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার আছে। অথচ শুধুমাত্র ‌সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ থেকে বঞ্চিত রাখা হবে কেন? ‌

বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৫ পিএম
বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত মর্ডান ল্যাবরেটরীর কিডনির ওপরে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে বিপাকে ফেলেছে একটি শিশুর পরিবারকে। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন লোকজন বলছে খারাপ এবং নষ্ট মেশিন দিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে ল্যাবরেটরিটি পরিচালনা করা হচ্ছে। যার কারণে ভুয়া রিপোর্ট করে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের জাহিদুল বেগের আড়াই বছরের ছেলে জিহাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসে ৫ টাকার টিকিট কেটে হাসপাতালে কর্মরত ডা. মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনকে দেখান। তিনি দেখে প্রসাব ও কিডনি পরীক্ষা দেন। জাহিদুল বেগ তার বাচ্চাকে নিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করতে দেন। মর্ডান ল্যাবরেটরির লোকজন পরীক্ষার কাগজে লেখে তার কিডনি ড্যামেজ(নষ্ট) হয়ে গেছে। পরে ওই রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার দ্রুত ফরিদপুর নিয়ে যেতে বলেন। তারা ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে শিশুটিকে ডা. এসি পালকে দেখান। তিনি নতুন করে পরীক্ষা দেন। ওই পরীক্ষাগুলো ফরিদপুরে অবস্থিত ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতলে পরীক্ষা করেন। সেখানে সকল রিপোর্টগুলোই ভালো আসে। প্রসাবে সামান্য একটু সমস্যা পায়। যা ওষুধে ঠিক হয়ে যাবে বলে ডাক্তার জানান।

এ ব্যাপারে বুধবার (২৩ জুলাই) ওই শিশু জিহাদের দাদি জবেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বোয়ালমারী হাসপাতালের সামনে মর্ডান ল্যাবরেটরী থেকে পরীক্ষা করানোর পর তাদের রিপোর্টে লেখা হয়েছে শিশুটির কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। পরে সেই রিপোর্ট হাসপাতালে গিয়ে ডা. মফিজ উদ্দিনকে দেখালে তিনি রিপোর্ট অনুযায়ী বলেন বাচ্চার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে তাকে দ্রুত ফরিদপুরে নিয়ে যান। এ কথা শুনে পরিবারের সকলের কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে নতুন করে রিপোর্ট করানো হয়। সেখানে রিপোর্টে আসছে কিডনিতে কোন সমস্যা নেই প্রসাবে একটু সমস্যা আছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলানো ঠিক না।

জানতে চাইলে বোয়ালমারী মর্ডান ল্যাবরেটরির মালিক জিয়া বলেন, রিপোর্ট ভূয়া না। রিপোর্টে কমবেশি হতে পারে। আমি আলফাডাঙ্গায় আছি ফ্রি হয়ে পরে কল দিব বলে লাইনটি কেটে দেন।

বোয়ালমারী হাসপাতালের কর্মরত ডা. মফিজ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার মান যে বিষয়টা এটা আমরা সব সময় ভালো চাই তাহলে নির্ভুল চিকিৎসা দিতে সমস্যা হয় না। আর যদি রিপোর্ট ভালো না হয় ওই রিপোর্টের ওপরেই আমাদের ডিসিশন নিতে হয়। আমরা চাই নিয়ম মেনে সঠিক রিপোর্ট দিক সকলে। যেহেতু রোগীর ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব আসে সেই জন্য ফরিদপুর এসি পাল স্যারের কাছে পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদ বলেন, একই দিনে দুটি রিপোর্ট করা হয়েছে বোয়ালমারীর মর্ডান ল্যাবরেটরির রিপোর্টে আসছে ২.৩৫ আর ফরিদপুরের রিপোর্ট আসছে ০৩। একই তারিখে রিপোর্ট এত পার্থক্য হওয়া উচিত না। বোয়ালমারী ক্লিনিকদের দেখভাল করা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের দেখা উচিত।

সদরপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০১ পিএম
সদরপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মজুমদার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু আব্দুল্লাহ মল্লিক (৮) ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের বিলভড়া গ্রামের মাসুদ মল্লিকের ছেলে। আব্দুল্লাহ স্থানীয় মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া নূরানী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশু আব্দুল্লাহ বুধবার সকাল ৮টার দিকে স্কুলে যেতে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাস্তা পারাপারের সময় কৃষ্ণপুর-সদরপুর গামি একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক তাকে চাপা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর অবস্থায় আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৌরভ চক্রবর্তী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকদেব রায় বলেন, খবর পেয়ে থানা–পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল গেছে। কিন্তু নিহত শিশুদের পরিবার এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে রাজি হয়নি। জেলা প্রশাসক বরাবর পরিবারের আবেদন অনুযায়ী মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।