খুঁজুন
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মানববন্ধন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১০ পিএম
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মানববন্ধন
দৈনিক আমার দেশের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের মালিক ফ্যাসিবাদের দোসর মোস্তফা কামাল কর্তৃক মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলার প্রতিবাদে ফরিদপুরে আমার দেশ পাঠক মেলার ‌ উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধন পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা   আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর মেঘনা গ্রুপের  চেয়ারম্যান ‌মোস্তফা কামাল কর্তৃক ‌ আমার দেশের মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আসামি করে মামলা করায় তীব্র সমালোচনা করেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে  ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ইব্রাহিম হুসাইনের সঞ্চালনায় ‌বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,শিক্ষার্থী,  সাংবাদিক, আইনজীবীসহ  অন্যান্য শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন এবং মানববন্ধন পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, বাংলাভিশন এবং নয়া দিগন্তের ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি হারুন আনসারী রুদ্র, দৈনিক আমার দেশ পাঠক ফোরামের সভাপতি ‌ এবং ‌ ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন, এডভোকেট কবির হোসেন প্রমূখ।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী তার বক্তব্য বলেন, মাহমুদুর রহমানের মত মজলুম সাংবাদিক শুধু বাংলাদেশে কেন পৃথিবীতে হাতে গোনা দু চারজন আছে কিনা আমার জানা নাই। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত  মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার না করলে আমরা আরও তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।
আমার দেশ পাঠক মেলার ফরিদপুর জেলা সভাপতি রাজিব হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আজ আপনার চুরি এবং লুটপাটে বাঁধা পড়েছে বলে আপনি মামলা করছেন। যা করছেন ভারতের উস্কানিতে করছেন। এখনই সাবধান হয়ে যান। তাহলে পরবর্তীতে সারা দেশের মানুষ আরো কঠোর আন্দোলনে যাবে।
এ সময় ফরিদপুরের প্রেস ক্লাবের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, আইনজীবী ‌ ‌‌সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ‌ তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিগত দিনে মেঘনা গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন এবং মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ‌ অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ‌দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন,   মাহমুদুর রহমানের মত একজন সম্পাদকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে  মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ‌ মোস্তফা কামাল ‌যে মামলা করেছে ‌তা অত্যন্ত ‌ নিন্দনীয়। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ‌ মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
মেঘনা গ্রুপের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ আমলে ‌মেঘনা ‌ গ্রুপেরর চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এক লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
বক্তারা আরো বলেন, একজন সাংবাদিকের সংবাদ ‌ ভুল হলে ‌ এবং কোন সংবাদের ‌ আপত্তি থাকলে‌ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে আবেদন করতে হয় ‌ অথচ মেঘনা গ্রুপ ‌ সেটা উপেক্ষা করে ‌ আদালতে ‌ আমার দেশ পত্রিকার নামে ‌মামলা করেছেন ‌ এটা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না ‌। ‌

ফরিদপুরে নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৫:০৭ পিএম
ফরিদপুরে নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রথম স্বামীর নির্যাতনে জুট মিলের এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (০১ মে) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত সেই স্বামী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাদপুর গ্রামে ইউনুস শেখের কন্যা ময়না বেগমের (৩০) সালথা থানার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বলভরদিয়া গ্রামের
শরিফুল মল্লিকের সাথে (৩৫) ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তিন মাস সংসার করে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বোয়ালমারীর জয় পাশা গ্রামের শামীম মোল্যার সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এই ঘরে তার দুটি সন্তান হয়। পরে ময়নার স্বামী শামীম মোল্যা হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সর্বশেষ গত ২৫ মে ময়না বেগম চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর থানার খরাদে মাঠপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের সাথে ৩য় বার বিয়ে হয়। ময়না বেগম দাদপুরের বাবার বাড়ি থেকে সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা জনতা জুটমিলে শ্রমিকের কাজ করতো।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রথম স্বামী শরিফুল মল্লিক সকাল ৮টার দিকে দাদপুর গ্রামে গিয়ে ময়না বেগমকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১২টার দিকে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ফরিদপুর নিয়ে যেতে বলে। তখন শরিফুল ময়না বেগমের পরিবারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ময়নার বোন জামাই আলমগীর শেখ ও মামা দাদপুর গ্রামের লিয়াকত খলিফাসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে ময়নাকে নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে ময়নার স্বামী শরিফুল মল্লিক পালিয়ে যায়।পরে রাত ১০টার দিকে ময়না বেগমের মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে যায়।
খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মাহমুদুল হাসান বৃহস্পতিবার দুপুরে দাদপুর গ্রাম থেকে ময়না বেগমের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ময়না বেগমের মামা লিয়াকত খলিফা অভিযোগ করে বলেন, শরিফুল মল্লিক তার ভাগ্নিকে অপহরণ করে নিয়ে নির্যাতন চালাই। অমানুষিক নির্যাতনের ফলে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, লাশের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তার সাবেক স্বামী শরিফুল মল্লিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়না বেগমের পরিবারের লোক লিখিত অভিযোগ দিলেই হত্যা মামলা হবে।

ফরিদপুর এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ নেত্রীর মেয়ে

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৪:৫৬ পিএম
ফরিদপুর এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ নেত্রীর মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহামুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এনসিপি’র মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আক্তার হোসেনের যৌথ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সৈয়দা নীলিমা দোলাকে ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের আপন ভাগ্নি।
চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের টিমকে বলা হয়েছে, উল্লেখিত অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কমিটির নিম্মোক্ত সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিটির প্রস্তাবনার নির্দেশনার প্রদান করা হল। এতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে। এছাড়া, ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দুইজন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানা বলেন,  পারিবারিক ব্যকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার (সৈয়দা নীলিমা) মামা শ্রমিক লীগ নেতা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুঁড়েছে। তার মায়ের কর্মকান্ডও আমাদের জানা। সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় নেই। তাকে দায়িত্ব দেয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেয়া হলে ভাল হতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দা নীলিমা দোলা জানান, আমি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করে আসতেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে সকল আন্দোলনের আমি অতি পরিচিত মুখ। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলা ও একজন প্রতক্ষ্যদর্শী আমি। সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে, বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করেছেন।

ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩৮ পিএম
ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় নারী পুরুষ সহ কমপক্ষে ৩০ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটানাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের হরিরহাট বাজারের ২টি দোকান ঘরের পজিশন কেনাবেচা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এঘটনা নিয়ে আজ (২৯ এপ্রিল) সকালে কয়েক গ্রামের মাতুব্বরদের নিয়ে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শালির বৈঠক চলাকালে পশ্চিম আলগী গ্রামের আলী মাতুব্বরের লোকজনের সাথে ও একই গ্রামের দেলোয়ার মাতুব্বরের লোকজনের কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে সংঘর্ষে শুরু করে।
দুই দল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, কাতরা, টেটা রামদা, ইট ও রেললাইনের পাথর নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আলী মাতুব্বরের লোকজন রেল রাস্তা থেকে পাথর এনে দেলোয়ার মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। পরে দেলোয়ার মাতুব্বরের লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। সংঘর্ষের ঘটনায় নারী পুরুষ সহ ৩০ জন লোক আহত হয়। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ঘটনায় দেলোয়ার মাতুব্বর বলেন, আলী মাতুব্বর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থাকাকালে হরিরহাট বাজার থেকে প্রায় ১০টা দোকানঘর দখল করে। পরে সে ধীরে ধীরে ৬/৭টি দোকান বিক্রি করে দেয়। আমাদের দুটি দোকান গোপনে পাশের এক গ্রামের লোকের কাছে বিক্রি করে দেয় এই ঘটনা নিয়ে আজকে সালিশ বৈঠক চলছিল। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলী মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সহ রেললাইন থেকে পাথর এনে আমাদের উপর হামলা করে। তাতে আমাদের ১৫/২০ জন লোক আহত হয়। তাছাড়া কমপক্ষে ১০/১৫  বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ ঘটনা আলী মাতুব্বর বলেন, আমাদের লোকজনের উপর দেলোয়ারের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটির একরপর্যায় সংঘর্ষ লেগে যায়। তারা আমাদের লোক জনের উপর হামলা করে ১০/১৫ জন লোককে আহত করে ।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, আলগী ইউনিয়নের হরির হাট বাজারে দোকানের পজিশন কেনাবেচা দিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত  ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।