খুঁজুন
বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬ কার্তিক, ১৪৩২

পদোন্নতি পেয়ে এএসপি হলেন ফরিদপুরের পুলিশ পরিদর্শক সবুজ মিয়া

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:১৭ পিএম
পদোন্নতি পেয়ে এএসপি হলেন ফরিদপুরের পুলিশ পরিদর্শক সবুজ মিয়া

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডার ‘সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)’ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক (সশস্ত্র) মো. সবুজ মিয়া। তিনি ফরিদপুর জেলা পুলিশের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (আরআই) হিসেবে পুলিশ লাইন্সে কর্মরত রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপ-সচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়।

জানা যায়, মো. সবুজ মিয়া ১৯৬৯ সালে নেত্রকোনা জেলা সদরের রৌহা ইউনিয়নের ডুমনীকোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত আবুল হোসেন ছিলেন একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ী। তিনি ১৯৮৯ সালে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের পড়াশোনার পাঠ শেষ করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে খলিসাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সম্মানের সাথে এসএসসি পাশ করেন। অতঃপর উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন নেত্রকোনা সরকারি কলেজে।

ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ১৯৮৭ সালের ১লা ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। এরপর ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে ধীরে ধীরে পদোন্নতি পেয়ে এএসপি হলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

‘এ.কে আজাদের গাড়ীবহরের হামলায় যুবদলের কোনো নেতাকর্মী যুক্ত নয়, দাবি যুবদলের’

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৪৫ পিএম
‘এ.কে আজাদের গাড়ীবহরের হামলায় যুবদলের কোনো নেতাকর্মী যুক্ত নয়, দাবি যুবদলের’

oppo_0

ফরিদপুর জেলা যুবদল সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন- ‘গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচনের স্বতন্ত্র এমপি এ.কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সাধারণ জনমনে ছাড়াও দলের নেতাকর্মী ও সমর্থনের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে যুবদলের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াসের একটি অংশ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফরিদপুর জেলা যুবদল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে যুবদলের কোনো নেতাকর্মী যুক্ত নয় বলে দাবি করা হয়।’

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফরিদপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ‌সেখানে জেলা যুবদল এ দাবি করেন।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের ‌মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তনে ‌এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ‌মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘গত রবিবার সদর উপজেলার পরনন্দপূর বাজারে যুবদলের নেতৃত্বে এ.কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে, ওইদিনের ঘটনা সাথে ফরিদপুর জেলা যুবদলের কোন নেতাকর্মী বা কোন ইউনিটের নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিতও ছিলেন না। যা ওইদিনের ঘটনায় প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজেই পরিষ্কার রেকর্ড রয়েছে। বরং সম্প্রতি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ.কে আজাদ যুবদলকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যেই বক্তব্য দেন, সেই মিথ্যা ভিত্তিহীন বক্তব্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই ছাড়াই কয়েকটি মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ায় এই বিভ্রান্তির অবতারণা হয় বলে প্রতীয়মান হয়েছে। স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে, ওই ঘটনায় জেলা যুবদলের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই, যুবদলের কোন নেতৃবৃন্দের কোন উপস্থিতি বা সংশ্লিষ্টতা সেখানে ছিলোনা। ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে যুবদলের সংগঠনিক কমিটি বিদ্যমান নেই।”

লিখিত বক্তব্যে আর বলেন, ‘বাস্তবতা হলো- জনরোষের শিকার হয়ে ওইদিন এ.কে আজাদ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির মুখে ওই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কারণ এ.কে আজাদের গাড়িবহরের সাথে নিষিদ্ধঘোষিত পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মামলার আসামীদের দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তখন তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকলে পাল্টা স্লোগানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিন ঘটনাস্থলে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কোন লিফলেট বিতরণ বা অন্য কোন কর্মসূচিও ছিলোনা।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সবসময় উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা সব ধরনের মত ও পথের অবাধ বিচরণে বিশ্বাসী। বিএনপি সবসময় জনগণের শক্তিতে বলিয়ান একটি রাজনৈতিক দল। জনগণই তাদের ক্ষমতার একমাত্র উৎস। নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান আইন মেনে যে বা যারাই মাঠ পর্যায়ে তাদের তৎপরতা চালাবে, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে তাদের কর্মকান্ডকে তারা স্বাগত জানায় এবং শ্রদ্ধাশীল। কোন বিশেষ ব্যক্তি বা সংগঠনের প্রতি প্রতিহিংসাবশত কোন তৎপরতায় তারা বিশ্বাসী নয় কিংবা কখনো সমর্থনও করেনা। এমতাবস্থায়, তারা ফরিদপুরের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার নিরসনে এবং আগামীর গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ট ও নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।’

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান দুলালের সভাপতিত্বে এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়ালের সঞ্চালনায় ‌এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ‌মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বক্তব্য রাখেন- জেলা যুবদলের সভাপতি মো. ‌রাজিব হোসেন।

এ সময় ফরিদপুর মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফ,‌ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ‌আলী রেজাওয়ান বিশ্বাস তরুণ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ‌জাহিদুর রহমান, যুবদল নেতা ‌হেমায়েত হোসেন হেলাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক‌ মো. নাসির খান, কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস মোল্লা, মৎস্য ও প্রাণী বিষয়ক সম্পাদক‌‌ গালিব ইবনে হান্নান‌‌ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে যুবদলের পক্ষ থেকে ‌ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে ‌জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ‌সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন- ‌মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফসহ ( ভিপি ইউসুফ) যুবদলের নেতৃবৃন্দ।

এবার ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৫৮ পিএম
এবার ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ

গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে শৈথিল্য এবং জেলা যুবদলের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে এবার ফরিদপুর মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএম ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক আলী রেজোয়ান বিশ্বাস তরুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সামনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হয়।

প্রসঙ্গত, শোকজের ঠিক দুইদিন আগে গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে গণসংযোগকালে ফরিদপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের গাড়িবহরে স্থানীয় যুবদল নেতাকর্মীরা হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে।

এই হামলায় ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি ও এ কে আজাদের বহরের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার পরপরই জেলা যুবদলের শীর্ষ দুই নেতাকে শোকজ করা হলো।

ফরিদপুরে নিখোঁজের দু’দিন পর পুকুর থেকে মাদ্রাসাছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে নিখোঁজের দু’দিন পর পুকুর থেকে মাদ্রাসাছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 100?

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নিখোঁজের দুইদিন পর আমির হামজা (১৩) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম ওই মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চর চান্দড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত হামজা আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের সায়েম উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে এবং গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দড়া নূরানী তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজখানার ছাত্র।

পুলিশ জানায়, গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাহিরে যায় আমির হামজা। মাদ্রাসা ও বাড়িতে না যাওয়ায় পরিবার সারারাত খোঁজাখুঁজি করে। পরদিনও না পেয়ে তার বাবা সায়েম বিশ্বাস সোমবার সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর চর চান্দড়া গ্রামের কামাল মোল্যার বাড়ির পাশের একটি পুকুরের মধ্যে বস্তা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তা খুলে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। আমির হামজার বাবা সেখানে পৌঁছে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।

আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমির হাজমা নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে রাতেই থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার (২২ অক্টোবর) ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।