খুঁজুন
সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ২২ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদপুরে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৪ এএম
ফরিদপুরে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ধর্ষণের পর এক নারীকে (৪৯) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের ছলেমানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোমরেজ খালাসী (সাবেক ইউপি সদস্য) ও তার দুই সহযোগী পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে মোমরেজ ও তার দুই সহযোগী গভীর রাত পর্যন্ত ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে একটি দোচালা টিনের ঘরে আড্ডা দেন এবং তাকে ওই ঘরে ডেকে নেন। পরবর্তীতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে মোমরেজ তাকে অন্য ঘরে রেখে পালিয়ে যান।

ওই নারীর নাতনি বলেন, ‘নানির অসুস্থতা দেখে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।’

 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মোমরেজ খালাসী পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ জানায়, নিহতের স্বামীর তিনজন স্ত্রী ছিলেন। ওই নারী তার তৃতীয় স্ত্রী। মোমরেজ খালাসীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছে প্রতিবেশীরা। সেই সূত্রে মোমরেজ মাঝে মধ্যে ওই বাড়িতে যেতেন এবং রাতেও অবস্থান করতেন।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হতে পারে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পরই আসল ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুর নিখোঁজের তিনদিন পর আখক্ষেতে মিলল নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৩:৫৩ পিএম
ফরিদপুর নিখোঁজের তিনদিন পর আখক্ষেতে মিলল নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নিখোঁজের তিনদিন পর তুহিন আলী (১৫) নামে এক নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (০৪ মে) সকালে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (০৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের একটি আখক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তুহিন আলী ওই গ্রামের কৃষক আরব আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ হন তুহিন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই এলাকায় মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় একটি আখক্ষেতে ছেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তার বাবা আরব আলী। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শামা ওবায়েদের গাড়ীবহরে হামলা : ফরিদপুরে ১৮ আ’লীগ নেতাকর্মী কারাগারে

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর
প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৩:৪৮ পিএম
শামা ওবায়েদের গাড়ীবহরে হামলা : ফরিদপুরে ১৮ আ’লীগ নেতাকর্মী কারাগারে
ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর গাড়ীবহরে হামলার মামলায় আ’লীগের ১৮ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (০৪ মে) দুপুর ১২ টার দিকে ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান ওই আ’লীগ নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে একইদিন দুপুরে ওই নেতাকর্মীরা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
কারাগারে পাঠানো আ’লীগ নেতাকর্মীরা হলেন, নান্নু মাতুব্বর, জাহাঙ্গীর মুন্সী, বিল্লাল মাতুব্বর, রাসেল মাতুব্বর, কামরুল মোল্যা, দেলোয়ার কাজী, সরোয়ার মাতুব্বর, সিরাজুল মাতুব্বর, ইউনুস মোল্যা, ফজলু মাতুব্বর, নজরুল মাতুব্বর, আইয়ূব আলী, উজ্জ্বল মাতুব্বর, আলেপ মাতুব্বর, রেজাউল মাতুব্বর, ইয়াসিন মোল্যা, ছানো মিয়া ও নূরুল ইসলাম। তাদের সবার বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর জেলা জজ কোর্টের দায়রা সহকারী মো. তমিজউদদীন বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের গাড়ী বহরে হামলার মামলায় দ্রুত বিচার আইনের সিআর নং: ১১২/২৪ ও ১১৩/২৪ মামলায় ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশ দেওয়ার সময় এরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৫:৪৪ পিএম
ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত
ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর গ্রামের গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২ মে দুপুরের দিকে ঈশান গোপালপুর গ্রামের স্থানীয় ঈশান সরকারের জমিদার বাড়িতে ওই বাড়ির সদস্য, গ্রামবাসী ও আশ্রয় নেওয়া ২৮ ব্যক্তিকে একত্রিত করে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন, আশুতোষ সরকার, যোগেশ চন্দ্র ঘোশ, গৌরগোপাল ঘোষ, বাবলু ঘোষ প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফরিদপুর শহরের সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য ওই সরকার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তানী বাহিনীর এ গণহত্যায় মদদ দিয়েছিল ওই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার স্বাধীনতা বিরোধীরা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২১ এপ্রিল পাকিস্তানী হাদনাদার বাহিনী ফরিদপুরে প্রবেশ করে। ফরিদপুরে প্রবেশের পথে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে কীর্তনরত নয় সাধুকে হত্যা করে।  ২ মে ঈশান গোপালপুর গ্রামের জমিদার বাড়িতে এ হত্যাকান্ড ছিল বৃহত্তর ফরিদপুরের প্রথম পরিকল্পিত গণহত্যা।
হত্যাকান্ডের পর পাকসেনারা চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী সরকার বাড়ির পুকুর পাড়ে ২৮ জনের মৃতদেহ গণসমাধি দেয়।
শহীদ পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা চিত্ত ঘোষ বলেন, ২০১০ সালের ২মে শহীদ পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে সেখানে ২৮ শহীদের নাম ফলক সহ একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে সরকারের উদ্যোগে গণহত্যার শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
এ গণহত্যার স্মরণে শুক্রবার (০২ মে) সকাল ৯টায় সমাধী ফলকের কাছে স্থাপিত মন্দিরে গীতাপাঠ ও নারয়াণ পূজার আয়োজন করা হয়। গীতা পাঠ ও পূজা করেন দীপক ঠাকুর। পরে সম্বলিত সৌধে ফুল অর্পণ করে এবং মোমবাতী প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের আত্মার সগতি কামনা করা হয়। বেলা ১১টার দিকে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মাঝে পূজার প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্য ক্ষিতিশ বিশ্বাস, অভী ঘোষসহ স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।