খুঁজুন
শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৬ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুর পৌরসভার বর্জ্যে ১৫ দিন ধরে জ্বলছে আগুন, অতিষ্ঠ তিন গ্রামের মানুষ

মনিরুল ইসলাম টিটো, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৩২ পিএম
ফরিদপুর পৌরসভার বর্জ্যে ১৫ দিন ধরে জ্বলছে আগুন, অতিষ্ঠ তিন গ্রামের মানুষ
ফরিদপুর পৌরসভার আদমপুর এলাকায় পৌরসভা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় প্রায় চার একর জায়গার উপর রাখা বিপুল পরিমাণ বর্জ্যের ভাগাড়ে গত ১৫-১৬ দিন ধরে আগুন জ্বলছে। এতে তেজস্ক্রিয়া ও কালো ধোয়ায় বিরুপ প্রভাব পড়ছে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
স্থানীয়দের দাবী, এতে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন প্লান্টের উত্তর অংশের তিন গ্রামসহ নদী বন্দর এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। এদিকে এটিকে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় উল্লেখ করে পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে দূষণ বন্ধের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অদূরে আদমপুর এলাকায় পৌরসভা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ এলাকার সাথে অন্তত চার একর জায়গার উপরে রাখা হয়েছে বাসাবাড়ী ও বাণিজ্যিক এলাকা থেকে সংগৃহীত বর্জ্য। বিপুল পরিমাণ এই  বর্জ্যে প্রায় ১৫ দিন ধরে অগুন দেয়া হয়েছে। রাত নামতেই বাড়ে আগুনের লেলিহান শিখা ও আকাশে ছড়িয়ে পড়ে কালো ধোয়া।
স্থানীয়দের দাবী, একটানা দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে আগুন জ্বালিয়ে রাখায় বিরুপ প্রভাব পড়ছে প্লান্ট থেকে দেড় কিলোমিটারেরও অধিক দূরের এলাকা পর্যন্ত। ওইসব এলাকার মানুষ আগুনের কালো ধোয়ার সাথে পোড়া পলিথিন, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য দ্রব্যের তেজস্ক্রিয়ায় চোখ জ্বালাপোড়াসহ শ্বাস কষ্টে ভুগছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও দাবী তাদের।
স্থানীয়রা আরো জানান, প্লান্টের উত্তর অংশের আইজউদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী, পরান বিশ্বাসের ডাঙ্গী ও মোস্তফার ডাঙ্গী গ্রামের কয়েক শত পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ পরিবেশ দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি বিরুপ প্রভাবে নদী বন্দর এলাকার ব্যবসায়ীদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে জানিয়ে অবিলম্বের পরিবেশের বিপর্যয় থেকে তাদের রক্ষার্থে আগুণ নেভানোর দাবী আক্রান্তদের।
আর জেলার পরিবেশ অধিদপ্তর এটিকে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় হিসেবে দেখছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে, ফরিদপুর পৌরসভার দ্বায়িত্বে থাকা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক  চৌধুরী রওশন ইসলাম সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জেনে তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর নির্দেশ দেন। যদিও পৌরসভার পানিবাহী সাধারণ গাড়ী দিয়ে বুধবার বিকালে এই আগুন নিয়ন্ত্রক করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তারা জানান, পৌরসভার সাধারণ পানিবাহী গাড়ী দিয়ে এতো বড় আগুন নেভানো সম্ভব নয়। এই আগুন সম্পুর্ণরুপে নেভাতে হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী দরকার।
যদিও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ওই আগুন নেভাতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। তারা জানান, কেউ স্বেচ্ছায় আগুন লাগালে সেটা নেভাতে যান না তারা। এদিকে এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সাড়া দেননি তিনি।

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

oplus_0

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন।

গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ ভাঙনে ওই এলাকার নদী পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিওব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ত্রিশ মিটার বাঁধ ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন এলাকা হতে প্রায় ৯০ মিটার দূরে রয়েছে এমপি ডাঙ্গী ও জাকেরেরশুরা হয়ে জেলা শহর ফরিদপুরের যাতায়াতের পাকাসড়ক, শতশত বসত বাড়ি ও সরকারী স্কুল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে নদীর তীর রক্ষা স্থায়ী বাঁধের সাথে আপদকালীন সময়ে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা বাঁধের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পাড়ের বসতি শেক মেতালেব (৫৩) ও মো. ইমারত হোসেন (২৫) জানায়, বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু সময় পর পর মাটির বড় বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।

তারা বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি, পাকা সড়ক সহ স্থানীয় শত শত বসত বাড়ি।

ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব।

ভাঙনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “ টিলারচর গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে আপদকালীন ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছিল। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন রোধে চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট মিলে ৩.১৫ কি.মি. জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর শহরের এডুকেশন জোন খ্যাত বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ফরিদপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসলে তার কাছে বাইতুল আমান এলাকাবাসী ও আশেপাশে কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবি তুলে ধরেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় ফরিদপুর কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানো দাবি কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাহিম, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সভাপতি মো. পার্থ আহমেদ, মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান,মোহাম্মদ রোমন চৌধুরী, মো. আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বাইতুল আমান কলেজগেটে বহু আগে থেকেই রেলের একটি স্টেশন রয়েছে, সেখানে আগে ট্রেন এসে থামতো, অজ্ঞাত কারণে এখন আর এখানে ট্রেন থামে না । এলাকাটি ফরিদপুরের মধ্যে এডুকেশন জোন নামে খ্যাত। যেখানে রয়েছে‌ ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের একেক জেলার একেক প্রান্ত থেকে তারা শিক্ষা লাভের জন্য কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অধিক ভাড়া দিয়ে তারা ফরিদপুর থেকে যাতায়াত করেন। অথচ বায়তুল আমান কলেজগেট স্টেশন থেকে কলেজের কোনোটির দূরত্ব ৪০০ মিটার, ৫০০ মিটার, ৬০০ মিটার। বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে যদি ট্রেন থামানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে তাদের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় তারা বাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বাইতুল আমান রেলগেট স্টেশনে পুর্বের মতো ট্রেন থামানো নির্দেশনার মতো একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে রেলের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন এলাকাবাসী ও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর।

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না। সরাসরি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন। কথা বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. মুজাহিদ বেগ।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের উচাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজাহিদ বেগ বলেন, ‘আমি যদি ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি আপনাদেরকে নিয়ে এই আসনটি এমনভাবে সাজাবো যাতে বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে তৈরি হয়।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের একটা যুবক ভাই বেকার থাকবে না। যুবক ভাইয়েরা আমার হৃদয়ে আছে। তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা, খেলাধুলা করার সুযোগ তৈরি করার জন্য সব করব।

হাফেজ কুব্বাত মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাগর বেগের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- হায়দার হোসেন, সোবাহান হোসেন, বাকী মাতুব্বর, সেলিম মাহমুদ, সহিদুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. রাসেল মোল্লা ও সৌরভ বিশ্বাস প্রমূখ।