খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুর-৪ আসনে মিজানুর রহমান মোল্লার গণসংযোগ তুঙ্গে, ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
ফরিদপুর-৪ আসনে মিজানুর রহমান মোল্লার গণসংযোগ তুঙ্গে, ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী (রিক্সা প্রতীক) মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা বর্তমানে প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগে শীর্ষে অবস্থান করছেন। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা আজিমনগর ইউনিয়নের পুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি তিনি। প্রতিনিয়ত তাঁর প্রত্যেকটি গণসংযোগে মানুষের ঢল নামছে। কিশোর থেকে বৃদ্ধ প্রতিটি বয়সের নারী-পুরুষের কাছে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক আদর্শে পরিণত হয়েছেন তিনি।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ এলাকাসহ আশপাশের এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে রয়েছেন। সামাজিক নানা কর্মকান্ডেও নিজেকে যুক্ত রেখেছেন তিনি। এছাড়াও নানাবিধ সেবামূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত। স্থানীয়দের মতে, মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা শুধু রাজনীতিবিদই নন, তিনি একজন সমাজসেবক ও ন্যায়পরায়ণ মানুষ।

এ আসনের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন তিনি। প্রতিটি সভায় তিনি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক কথাই বারবার উচ্চারণ করেন — “আমি এই মাটির সন্তান, আপনাদের অতি আপনজন। আমি আশা করি, আপনারা আপনাদের ঘরের মানুষকে সমর্থন দিবেন। আমি আপনাদের ঘরের মানুষ। যে কোনো বিপদে-আপদে জানাবেন, আমি আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।”

তিনি বলেন, ‘আমার নেতা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফরিদপুর-৪ আসনের জনগণের দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলেও আপনাদের পাশে আছি, না হলেও আপনাদের পাশে আছি। নির্বাচনে কে বিজয়ী হবে তা আল্লাহই জানেন। আল্লাহ যতদিন হায়াত রেখেছেন আমি আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের ভালোবেসে যেতে চাই এবং আপনাদের ভামোবাসা নিয়ে আপনাদের খেদমত করে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ‘আলেমগণ কখনও জনগণের হক মারবে না। কারণ তারা জানে অন্যের হক মারলে জাহান্নামে যেতে হবে। এজন্য একমাত্র আলেমদের কাছেই দেশ ও দেশের জনগণ, দেশের সম্পদ নিরাপদ। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসাই আমার শক্তি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—এই এলাকার উন্নয়ন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় সর্বাত্মক ভূমিকা রাখব। স্থানীয়রা তার এই মানবিক কর্মকান্ডে উচ্ছ্বাসিত।

এলাকাবাসীর মতে, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ইতোমধ্যে জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। তার মানবিক কর্মকাণ্ড ও সেবামূলক মনোভাবের কারণে সাধারণ মানুষ তাকে “নিবেদিত প্রাণ নেতা” বলে আখ্যায়িত করছেন। তারা জানান, তিনি রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা করে থাকেন। এমনকি কারো যদি মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকে, চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পারে, লেখা পড়ার খরচ না থাকে সেখানেও মিজানুর রহমান মোল্লাকে পাওয়া যায়। তার কাছে যেয়ে কেউ কখনও খালি হাতে ফিরেনি। তিনি যদি আমাদের এমপি হন তাহলে আমাদের দুঃখ অনেকটাই দুর হবে। বিগত দিনে অনেক এমপি আমাদের মাঝে ছিলেন। আমাদের দুঃখের দিনে কাউকে পাশে পাইনি। যাকে আমরা দুঃখের দিনে পাশে পাবো আগামী নির্বাচনে তাকেই আমরা ভোট দিবো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাঁর এই জনসম্পৃক্ততা, জনগণের সাথে সেবামূলক মনোভাব আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে মুহুর্তেই মিশে যেতে পারেন এবং মানুষও তাকে আপন ভাবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে এই গুণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। তার সভা- সমাবেশে মানুষের উপস্থিতি দিন দিন বেড়েই চলেছে, যা তার জনপ্রিয়তারই বহিঃপ্রকাশ।

মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা এখন ফরিদপুর -৪ সংসদীয় আসনের রাজনীতিতে আশা ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।