খুঁজুন
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯ পৌষ, ১৪৩২

ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডেই থাকতে দিতে হবে: মিশর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:১৫ পিএম
ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডেই থাকতে দিতে হবে: মিশর

মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, আরব দেশগুলো গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা একেবারেই মেনে নেবে না।

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূখণ্ডেই থাকতে দিতে হবে এবং গাজার পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত করতে হবে।

 

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, তবে কোনোভাবেই ফিলিস্তিনিদের তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা যাবে না।

অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ট্রাম্পের পরিকল্পনার নাম সরাসরি না নিলেও, রুবিও গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ও নিরাপত্তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেওয়া যাবে না এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

আবদেলাত্তি জানান, মিশর নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, তবে সেটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা রক্ষার ভিত্তিতে হতে হবে। তিনি মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গেও বৈঠক করেন এবং একই বার্তা দেন।

ফিলিস্তিনিরা গাজাকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখে, তাই তাদের জন্য গাজা ছাড়ার প্রস্তাব একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আরব প্রতিবেশী দেশগুলোও এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছে যে, তারা গাজার সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের দেশে আশ্রয় দিতে রাজি নয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে মিশর ও জর্ডান যেন গাজার ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করে। পরে তিনি আরও এগিয়ে গিয়ে গাজার ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে ফেরার কোনো অধিকার থাকবে না। এই পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ এটিকে জাতিগত নির্মূলের চেষ্টা হিসেবে দেখছে।

এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার প্রচেষ্টা বাধার সম্মুখীন হয়েছে, কারণ হামাস জিম্মি মুক্তির ব্যাপারে বিলম্ব করছে।

এদিকে, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে “একটি অবিচার” বলে আখ্যা দিয়েছেন। কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতারের শীর্ষ কূটনীতিকরা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন।

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহও ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, পুরো আরব বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের পাশে রয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

তহবিলে ২০ হাজার কোটি টাকা গ্রাহকের মিলছে না কানাকড়ি!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২২ এএম
তহবিলে ২০ হাজার কোটি টাকা গ্রাহকের মিলছে না কানাকড়ি!
ব্যাংকের তহবিলে টাকার ঘাটতি নেই। কিন্তু ডেটা স্থানান্তরের জটিলতায় আপাতত আমানতকারীরা হাতে টাকা পাচ্ছেন না। এই চিত্র নবগঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এরই মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা জমা হলেও একীভূত হওয়া পাঁচটি ইসলামী ব্যাংকের সব গ্রাহকের তথ্য এখনো একক ডেটাবেইসে পুরোপুরি স্থানান্তর না হওয়ায় অর্থ ছাড় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে কোন গ্রাহক কত টাকা পাবেন—তা নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা ঝুঁকিপূর্ণ। 

ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ূব মিয়া জানিয়েছেন, ডেটা ট্রান্সফারের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। এরপর জানুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে সাধারণ আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। চেয়ারম্যান বলেন, আইন বিভাগ ও আইটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করছে, যেন ভবিষ্যতে কোনো আইনি বা হিসাবগত জটিলতা না তৈরি হয়।

একই সঙ্গে ব্যাংকের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে উপযুক্ত এমডি খোঁজার কাজ চলছে। শিগগিরই এই নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে। জানুয়ারি থেকে ব্যাংকটি পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন চেয়ারম্যান।

ডেটা স্থানান্তরের পাশাপাশি ব্যাংকিং কাঠামো পুনর্গঠনের কাজও চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে থাকা পুরনো অ্যাকাউন্ট বাতিল করে নতুন করে একীভূত ব্যাংকের নামে একাধিক কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে; যেমন—সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক এক্সিম, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক ইউনিয়ন এ রকম। তবে আমানতকারীদের জন্য স্বস্তির বিষয় হলো—নতুন কোনো অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই এবং তাঁরা পুরনো চেক ব্যবহার করেই টাকা তুলতে পারবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, আমানতকারীদের টাকা পরিশোধে মোট ব্যয় হবে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। নবগঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং আমানত বীমা তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা।

ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ধরা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের অংশের ২০ হাজার কোটি টাকা এরই মধ্যে ছাড় করা হয়েছে এবং বাকি অর্থ ধাপে ধাপে মূলধন হিসেবে যুক্ত হবে।

নতুন ব্যাংকের ভিত্তি শক্ত করতে নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ শীর্ষ পর্যায়ে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও সৎ কর্মকর্তা নিয়োগ, পরিচালন নীতিমালাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং গ্রাহক আস্থা পুনর্গঠন। রাজধানীর মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে এরই মধ্যে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় চালু হয়েছে। সরকার চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদও নিয়োগ দিয়েছে, যেখানে সাবেক ও বর্তমান আমলারা রয়েছেন। ভবিষ্যতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে পর্ষদকে আরো শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ডেটা স্থানান্তরের কাজ শেষ হলেই আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাবেন। পুরনো সব গ্রাহককেই নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আইটি ও এইচআর কাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলমান এবং প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি টিম সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি।

নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করার ব্যাখ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করলে সেদিন পাঁচ ব্যাংকের সব শাখায় একসঙ্গে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হতে পারে, যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে ধাপে ধাপে টাকা ফেরত দেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘যাঁদের খুব প্রয়োজন, তাঁরা টাকা তুলবেন। তবে অপ্রয়োজনে শুধু অন্য ব্যাংকে সরানোর উদ্দেশ্যে টাকা তুললে নতুন ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ হারাবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একীভূত হওয়া পাঁচটি ইসলামী ব্যাংকে বর্তমানে প্রায় ৭৫ লাখ আমানতকারীর মোট জমা রয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। বিপরীতে এসব ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় এক লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বড় অংশ এরই মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এই বাস্তবতায় নবগঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য হবে আমানতকারীদের আস্থা পুনর্গঠন এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।

সরকারি মালিকানায় ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হওয়াকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ূব মিয়া বলেন, ‘আমাদের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হলো—আমানতকারীদের টাকা নিরাপদ রাখা এবং তাঁদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। ডেটা স্থানান্তরের কাজ শেষ হলে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে; এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’ 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

এক ওভারে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইন্দোনেশিয়া বোলারের রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ এএম
এক ওভারে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইন্দোনেশিয়া বোলারের রেকর্ড
ইতিহাস গড়লেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণ পেসার গেদে প্রিয়ানদান। আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির প্রথমবারের মতো গড়েছেন তিনি। মঙ্গলবার বালিতে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন ২৮ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার।

১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১০৬ রান করে ফেলেছিল কম্বোডিয়া।

তখনও ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা ছিল তাদের। ঠিক সেই সময় নিজের প্রথম ওভার করতে এসে ম্যাচের চিত্র পুরো বদলে দেন প্রিয়ানদান। 

ওভারের প্রথম তিন বলেই তিন ব্যাটারকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ফেরান শাহ আব্রার হুসেইন, নির্মলজিৎ সিং ও চানথোউন রাথানাককে।

পরের বলটি ডট হয়। এরপর আরও দুই বলে আউট করেন মংদারা সক ও পেল ভেনাককে। ওভারে আসে মাত্র এক রান, সেটিও একটি ওয়াইড থেকে। শেষ পর্যন্ত ৬০ রানে হেরে যায় কম্বোডিয়া।
 

এই কীর্তির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে পাঁচ উইকেট নেওয়া প্রথম খেলোয়াড় হলেন গেদে প্রিয়ানদান। নারী কিংবা পুরুষ ক্রিকেট মিলিয়েই এই রেকর্ড প্রথমবার দেখা গেল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।

এর আগে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে পাঁচ উইকেট নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল দুবার, তবে সেগুলো ছিল ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ভিক্টরি ডে টি-টোয়েন্টি কাপে ইউসিবি বিসিবি একাদশের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন আল আমিন হোসেন। পরে ২০১৯-২০ মৌসুমে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির সেমিফাইনালে কর্নাটকের হয়ে একই কীর্তি গড়েন অভিমন্যু মিথুন।

 

এই ম্যাচে ব্যাট হাতেও অবদান রাখেন প্রিয়ানদান। ইনিংসের শুরুতে উইকেটকিপার ব্যাটার ধর্মা কেসুমার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১১ বলে ৬ রান করেন তিনি। কেসুমা অবশ্য ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা। ৬৮ বলে অপরাজিত ১১০ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা।

উল্লেখ্য, এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে চার উইকেট নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৪ বার। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার কীর্তি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ওভারে টানা চার বলে চার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

তবে পাঁচ উইকেটের এই অনন্য রেকর্ড এবার গড়ে দিলেন ইন্দোনেশিয়ার গেদে প্রিয়ানদান, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক নতুন ইতিহাস হয়ে থাকল।

ভোর মানেই নতুন শুরু: প্রকৃতির কোলে প্রশান্ত সকালের গল্প

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৫২ এএম
ভোর মানেই নতুন শুরু: প্রকৃতির কোলে প্রশান্ত সকালের গল্প

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃতি যেন নতুন দিনের বার্তা নিয়ে হাজির হয়। রাতের নীরবতা ভেঙে পাখির কিচিরমিচির, হালকা কুয়াশার আড়ালে সূর্যের প্রথম আলো আর শিশিরভেজা ঘাস—সব মিলিয়ে সকাল মানেই এক অনাবিল প্রশান্তির সময়।

সকালের এই সময়টায় প্রকৃতি তার সবচেয়ে শান্ত ও নির্মল রূপে ধরা দেয়। মাঠের আল ধরে হাঁটলে পায়ের নিচে নরম শিশিরের ছোঁয়া অনুভূত হয়। গাছের পাতায় জমে থাকা পানির ফোঁটাগুলো সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করে ওঠে। পুকুরের স্থির জলে আকাশের প্রতিবিম্ব আর দূরের গ্রামের পথ ধরে ধীরে চলা মানুষের ছায়া—সবকিছু মিলিয়ে এক অপূর্ব দৃশ্যের জন্ম নেয়।

স্থানীয় পরিবেশবিদদের মতে, ভোরের প্রকৃতি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালের নির্মল বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকায় এই সময়টায় হাঁটাহাঁটি করলে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকে। নিয়মিত ভোরের আলোয় প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকলে মানসিক চাপ কমে এবং দিনের কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে।

গ্রামীণ জীবনে ভোরের প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরও গভীর। কৃষক মাঠে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন, জেলে জাল গুছিয়ে নদীর দিকে রওনা দেন, আবার কেউ কেউ ফজরের নামাজ শেষে দাঁড়িয়ে পড়েন খোলা আকাশের নিচে। এই সময় প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যে এক নীরব যোগাযোগ তৈরি হয়।

তবে আধুনিক ও যান্ত্রিক জীবনে ভোরের এই সৌন্দর্য অনেকটাই আড়ালে চলে যাচ্ছে। দেরিতে ঘুমানো, ব্যস্ত সকাল আর মোবাইল ফোনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতায় প্রকৃতির এই সময়টাকে অনেকেই আর অনুভব করতে পারছেন না। অথচ প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট ভোরের প্রকৃতির দিকে তাকানোই পারে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে।

প্রকৃতি প্রতিটি সকালে আমাদের নতুন করে শুরু করার শিক্ষা দেয়। গত রাত যেমন শেষ হয়ে যায়, তেমনি প্রতিটি ভোর নিয়ে আসে নতুন আলো, নতুন আশা। ভোরের এই নীরব বার্তাই মনে করিয়ে দেয়—জীবন এখনো সুন্দর, এখনো এগিয়ে যাওয়ার মতো।

error: Content is protected !!