খুঁজুন
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৮ কার্তিক, ১৪৩২

শীতের আগমনী বার্তায়ও ফরিদপুরে কমছে না সবজির বাজার

মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২২ পিএম
শীতের আগমনী বার্তায়ও ফরিদপুরে কমছে না সবজির বাজার

শীতের আগমনী বার্তার সাথে নেই সবজির বাজার দর কমার খবর। এখনো চড়া বেশিরভাগ সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানেও বাজারে দামের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে ফরিদপুর শহরের সবজির অন্যতম বড় পাইকারি বাজার হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজার। প্রতিদিন ভোরে এই বাজারে বিভিন্ন প্রকারের সবজি নিয়ে আসে বিক্রেতারা। বেশিরভাগ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা মধ্যেই।

ফরিদপুরের স্থানীয় চাহিদা পূরনে বেশিরভাগ সবজি আসছে যশোর, মাগুরা অঞ্চল থেকে।

শুক্রবার সকালের হাজী শরিয়াতুল্লাহ পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়, পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, মুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ১৫-২০ টাকা, প্রকারভেদে বিভিন্ন কচুমুখি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও আগাম শীতকালীন সবজির মধ্যে স্থানীয় টমেটো ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, আমদানিকৃত টমেটো ১০০ টাকা, সিম ১৪০ টাকা, ফুলকপি ৯০-১০০ ও ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ২’শ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে এখনো রয়েছে কাঁচামরিচ অতিরিক্ত ঝাঁজ।

গত সপ্তাহে বাজারে খুচরা ৩০০ টাকার উপরে কেজিপ্রতি কাঁচামরিচ বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা কমেছে। বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকার মধ্যে ।

বিক্রেতারা বলছেন, ধারাবাহিক বৃষ্টিতে সবজির ক্ষেত ক্ষতির মুখে রয়েছে যে কারণে বাজার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়লে কমে আসবে দাম বলেও জানান তারা।

এ বাজারের সবজি কিনতে আসা রেজাউল কমির বিপুল জানান, এখনো শাকসবজির চড়া দাম। শীতকালিন সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ আসতে মনে হয় আরো সময় লাগবে। তিনি বললেই, এক মুঠা লাল শাক ২০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে, একটি লাউ মাঝারি আকারের কিনতে হয়েছে ৬০ টাকা দিয়ে।

রিক্সসা চালক হাবিব মোল্লা কাঁচা তরকারি কিনে ফেরার পথে জানালেন, বাজার দর এ সময়ে যদি এমন হয় তাহলে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো কি ভাবে চলবে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালীন আগাম সবজি সিম টমেটোসহ অনান্যে সবজি আছে সবগুলোর অনেক চড়া দর।

স্কুল শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, বাজারে যে সকল নতুন সবজি উঠছে তা ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে আমাদের। এখনো কাঁচা মরিচের দাম কমে নাই। যদি দাম কমে তাহলে আমরা সামান্য হলেও কিনতে পারবো এবং সুস্থভাবে চলতে পারবো।

স্থানীয় আরেক ক্রেতা মফিজুর রহমান শিপন জানান, বাজারে শীতকালীন আগাম সবজিগুলো আসছে কিন্তু চাহিদা বেশি দামও অনেক বেশি। এখন তুলনামূলক মানুষের যেখানে এক কেজির প্রয়োজন সেখানে হাফ কেজি বা তারও কম নিয়ে চলছে। যেহেতু উৎপাদন কম যার কারণে দাম বেশি। এর ফলে সাধারণ মানুষের সবজি কিনে খাওয়াটা অনেক কষ্টের ব্যাপার।

সবজি বিক্রেতা আবু জাফর শেখ জানান, এখন সবজির দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও শীতকালীন নতুন সবজিগুলো দাম একটু বেশি। এছাড়া বাজারের সরবরাহ যেমন দর-দামও ঠিক তেমন, সরবরাহ না বাড়লে দামের নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শাহদুজ্জামান বলেন, গত দুই মাসে বেশ কয়েক বার ধারবাহিক বৃষ্টির কারণে সব ধরনের সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে যে কারণে এখন বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। আমরা তার পরেও চাষীদের সব সময় সরকারি সহায়তা দিয়ে জাগিয়ে তুলে রাখছি, যাতে হতাশ না হয়ে আবার ক্ষেতে ফিরে আবাদে মনোযোগ দিতে পারে ।

ভাঙ্গায় নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ, ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ভাঙ্গায় নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ, ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌরসভার নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অনুমোদন বহির্ভূত ভবনের অংশ অপসারণের জন্য পৌর কতৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে (২৩ অক্টোবর) হোগলাডাংগী সদরদী গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম খালাসী ওরফে আদমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তাকে অপসারণের জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করিলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে পৌর কর্তৃপক্ষ।

ওই ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম আদমের বাড়ি ভাঙ্গা পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের হোগলাডাঙ্গী সদরদী গ্রামে। সে ওই গ্রামের আলেপ খালাসীর পুত্র।

পৌরসভার চিঠি সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯/০১/১২ তারিখে ভাঙ্গা পৌরসভা প্রকৌঃ ২০১২/৩৪৪ স্মারক মূলে আমিনুল ইসলামকে পাঁচতলা ইমারত নির্মাণের অনুমোদন দেন পৌরসভা। কিন্তু বিল্ডিং এর মালিক আমিনুল ইসলাম ওরফে আদম নকশা পরিবর্তন করে পাঁচতলার উপর অবৈধভাবে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেন। যাহা ইমারত নির্মাণ আইন বহির্ভূত। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী পার্শ্ববর্তী ভবনের মালিক হাজী আব্দুল মান্নান বলেন, নকশা পরিবর্তন করে ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম আদম পৌরসভার নিয়ম বহির্ভূতভাবে নকশা পরিবর্তন করে ৫ তলার স্থলে ৬তলা ভবন নির্মাণ করাতে ভবনটি ঝুঁকিতে পড়েছে। তার বিডিং এর পাশে আমার ভবনটি ও ঝুঁকিতে পড়েছে। আদমের ছয়তলা ভবনটি যেমন ঝুঁকিপূর্ণ ঠিক তেমনি আমার ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত অবৈধ ৬তলার অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

এ বিষয়ে ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম খালাসী ওরফে আদম বলেন, আমি বিষয়টির না বুঝতে পেরে পাঁচতলার পরিবর্তে ছয় তলা ভবন নির্মাণ করেছি। আমি অতিরিক্ত ৬তলার অংশটি ভেঙে ফেলব।

এ ব্যাপারে পৌরসভার সার্ভেয়ার মো. রাকিব জানান, আমিনুল ইসলাম ওরফে আদম পৌরসভার নকশা ৫তলা অনুমোদন নিয়ে তিনি নকশা পরিবর্তন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৬ তলা নির্মাণ করেছে। আমরা অবৈধ অংশ টি ভেঙে ফেলার জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছি। ১৫দিনের মধ্যে অবৈধ অংশটি না ভাঙলে এবং পৌরসভার আইন অমান্য করিলে তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মধুখালীতে বাস-নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল নসিমন চালকের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:০৬ পিএম
মধুখালীতে বাস-নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল নসিমন চালকের

ফরিদপুরের মধুখালীতে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অপর দিক থেকে আসা নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মামুন শেখ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি নসিমন চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নসিমন চালক মামুন শেখ বোয়ালমারী উপজেলার ভীমপুর-সাতৈর গ্রামের তৈয়ব শেখের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় সোহাগ পরিবহনের বাসটি ফরিদপুর থেকে মাগুরার দিকে যাচ্ছিল আর নছিমনটি মধুখালী থেকে ফরিদপুরমুখী ছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষের পর নছিমনটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং মামুন সেখ গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার পরপরই সোহাগ পরিবহনের বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত যান দুটি উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কের ওই অংশে অতিরিক্ত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, যা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৪১ পিএম
চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ

ফরিদুপরের চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর ও চরমইনুট নৌ পথে স্পীডবোট যাত্রীদের জানমাল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টবর) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ঘাটে স্পীডবোট চালকদের হাতে এসকল সামগ্রী তুলেদেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন।

জানা যায়, গোপালপুর ঘাট অংশের স্পীডবোট গুলোতে তিনটি করে ত্রিশটি বয়া ও বিভিন্ন সাইজের চল্লিশটি লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়।

ইউএনও মনিরা খাতুন বলেন, গোপালপুর হতে মইনুট ঘাটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভেতর অনেক শিশু থাকে। এদের মধ্যে অনেকে আবার লাইফ জ্যাকেট পরেননা। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে লাইফ জ্যাকেটের পাশাপাশি প্রতিটি বোটে তিনটি করে বয়া দেওয়া হয়েছে, যাতে করে নৌ দুর্ঘটনায় যাত্রীরা ভেসে থাকতে পারে।

এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্পীডবোট চালকরা উপস্থিত ছিলেন।