খুঁজুন
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৮ কার্তিক, ১৪৩২

সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে বিদায় ভারতের

ক্রীড়া ডেস্ক:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:০৬ এএম
সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে বিদায় ভারতের

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় ধাপ চলছে। এই স্তরে ২৪ দল ছয়টি গ্রুপে খেলছে। ছয় গ্রুপের ছয় চ্যাম্পিয়ন আগামী বছর সৌদি আরবে মূল পর্বে খেলবে। বাংলাদেশ পড়েছে সি গ্রুপে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের বিপক্ষে।

আজ চার দলেরই চারটি করে ম্যাচ হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও হংকং দুই দলের সমান ৮ পয়েন্ট। বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট সমান দুই। আজ ভারত গৌহাটিতে ১-২ গোলে সিঙ্গাপুরের কাছে হেরেছে। এতে সি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দল এশিয়া কাপ খেলার দৌড় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে গেছে। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলের কেউ শেষ দুই ম্যাচ জিতলে ৮ পয়েন্ট হলেও ১৮ নভেম্বর সিঙ্গাপুর-হংকং ম্যাচের ফলাফল যাই হোক এক দলের পয়েন্ট ৮ এর বেশি থাকবে। ফলে বাংলাদেশ ও ভারত কারো গ্রুপ সেরা হওয়ার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ও ভারত এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। তবে সিঙ্গাপুর-হংকংয়ের গলার কাটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ সিঙ্গাপুর-হংকং ম্যাচ ড্র হলে দুই দলের পয়েন্ট ১৮ নভেম্বর দাড়াবে ৯। তখন ৩০ মার্চ বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরকে হারালে বা ড্র করলে ভারতকে হারিয়ে হংকং জিতলে তারা এশিয়া কাপে খেলবে। তদ্রুপ বিপরীত ঘটনাও হতে পারে ভারত হংকংকে রুখে দিলে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশকে হারালে, তখন সিঙ্গাপুর খেলবে এশিয়া কাপ।

১৮ নভেম্বর হংকং-সিঙ্গাপুর ম্যাচ এই গ্রুপের অঘোষিত ফাইনাল। কারণ ঐ ম্যাচে যে দল জয়ী হবে সেই দলই এই গ্রুপ থেকে এশিয়া কাপে খেলবে। যে দল জয়ী হবে তাদের পয়েন্ট হবে ১১। শেষ ম্যাচে সেই দল হারলে এবং তাদের পেছন ছুটতে থাকা দল শেষ ম্যাচ জিতলে তখন দুই দলেরই সমান ১১ পয়েন্ট হবে। সিঙ্গাপুর-হংকং দুই দলের মধ্যকার ২৫ মার্চের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। ফলে ১৮ নভেম্বর ম্যাচে জয়ী দল হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলবে।

এশিয়া কাপের দৌড়ে টিকে থাকতে আজ বাংলাদেশের জয় প্রয়োজন ছিল। ড্র করেও খানিকটা মৃদু আশা ছিল। যদি ভারত সিঙ্গাপুরকে হারাতে পারত, তখন সিঙ্গাপুর ও ভারত দুই দলের সমান পয়েন্ট থাকত। বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচে জিতলে এবং সিঙ্গাপুর হংকংকে হারালে তখন চার দলেরই সমান ৮ পয়েন্ট হতো। সেক্ষেত্রে গোল ব্যবধান হেড টু হেডের জটিল হিসেবে সম্ভাবনা তৈরি হতো।

বাংলাদেশের মৃদু আশা জাগিয়ে তুলেছিল ভারত। ১৪ মিনিটে লিড নিয়েছিল স্বাগতিক দল। ৪৪ মিনিটে সমতা আনে সফরকারী সিঙ্গাপুর। এরপর ৫৮ মিনিটে আরেক গোল করলে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভারত। রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলার স্বপ্ন-সম্ভাবনা দু’টোই শেষ হয়।

এশিয়া কাপ ২৪ দলের। এশিয়ান অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরবর্তী ধাপে খেলা ১৮ দল সরাসরি এশিয়া কাপে উঠেছে। বাকি ছয়টি স্থানের জন্য ২৪ দল লড়ছে।

ভাঙ্গায় নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ, ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ভাঙ্গায় নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ, ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌরসভার নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অনুমোদন বহির্ভূত ভবনের অংশ অপসারণের জন্য পৌর কতৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে (২৩ অক্টোবর) হোগলাডাংগী সদরদী গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম খালাসী ওরফে আদমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তাকে অপসারণের জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করিলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে পৌর কর্তৃপক্ষ।

ওই ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম আদমের বাড়ি ভাঙ্গা পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের হোগলাডাঙ্গী সদরদী গ্রামে। সে ওই গ্রামের আলেপ খালাসীর পুত্র।

পৌরসভার চিঠি সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯/০১/১২ তারিখে ভাঙ্গা পৌরসভা প্রকৌঃ ২০১২/৩৪৪ স্মারক মূলে আমিনুল ইসলামকে পাঁচতলা ইমারত নির্মাণের অনুমোদন দেন পৌরসভা। কিন্তু বিল্ডিং এর মালিক আমিনুল ইসলাম ওরফে আদম নকশা পরিবর্তন করে পাঁচতলার উপর অবৈধভাবে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেন। যাহা ইমারত নির্মাণ আইন বহির্ভূত। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী পার্শ্ববর্তী ভবনের মালিক হাজী আব্দুল মান্নান বলেন, নকশা পরিবর্তন করে ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম আদম পৌরসভার নিয়ম বহির্ভূতভাবে নকশা পরিবর্তন করে ৫ তলার স্থলে ৬তলা ভবন নির্মাণ করাতে ভবনটি ঝুঁকিতে পড়েছে। তার বিডিং এর পাশে আমার ভবনটি ও ঝুঁকিতে পড়েছে। আদমের ছয়তলা ভবনটি যেমন ঝুঁকিপূর্ণ ঠিক তেমনি আমার ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত অবৈধ ৬তলার অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

এ বিষয়ে ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম খালাসী ওরফে আদম বলেন, আমি বিষয়টির না বুঝতে পেরে পাঁচতলার পরিবর্তে ছয় তলা ভবন নির্মাণ করেছি। আমি অতিরিক্ত ৬তলার অংশটি ভেঙে ফেলব।

এ ব্যাপারে পৌরসভার সার্ভেয়ার মো. রাকিব জানান, আমিনুল ইসলাম ওরফে আদম পৌরসভার নকশা ৫তলা অনুমোদন নিয়ে তিনি নকশা পরিবর্তন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৬ তলা নির্মাণ করেছে। আমরা অবৈধ অংশ টি ভেঙে ফেলার জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছি। ১৫দিনের মধ্যে অবৈধ অংশটি না ভাঙলে এবং পৌরসভার আইন অমান্য করিলে তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মধুখালীতে বাস-নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল নসিমন চালকের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:০৬ পিএম
মধুখালীতে বাস-নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল নসিমন চালকের

ফরিদপুরের মধুখালীতে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অপর দিক থেকে আসা নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মামুন শেখ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি নসিমন চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নসিমন চালক মামুন শেখ বোয়ালমারী উপজেলার ভীমপুর-সাতৈর গ্রামের তৈয়ব শেখের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় সোহাগ পরিবহনের বাসটি ফরিদপুর থেকে মাগুরার দিকে যাচ্ছিল আর নছিমনটি মধুখালী থেকে ফরিদপুরমুখী ছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষের পর নছিমনটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং মামুন সেখ গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার পরপরই সোহাগ পরিবহনের বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত যান দুটি উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কের ওই অংশে অতিরিক্ত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, যা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৪১ পিএম
চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ

ফরিদুপরের চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর ও চরমইনুট নৌ পথে স্পীডবোট যাত্রীদের জানমাল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টবর) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ঘাটে স্পীডবোট চালকদের হাতে এসকল সামগ্রী তুলেদেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন।

জানা যায়, গোপালপুর ঘাট অংশের স্পীডবোট গুলোতে তিনটি করে ত্রিশটি বয়া ও বিভিন্ন সাইজের চল্লিশটি লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়।

ইউএনও মনিরা খাতুন বলেন, গোপালপুর হতে মইনুট ঘাটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভেতর অনেক শিশু থাকে। এদের মধ্যে অনেকে আবার লাইফ জ্যাকেট পরেননা। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে লাইফ জ্যাকেটের পাশাপাশি প্রতিটি বোটে তিনটি করে বয়া দেওয়া হয়েছে, যাতে করে নৌ দুর্ঘটনায় যাত্রীরা ভেসে থাকতে পারে।

এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্পীডবোট চালকরা উপস্থিত ছিলেন।