খুঁজুন
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১ কার্তিক, ১৪৩২

১০০ বছরের পুরোনো চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন আশার আলো

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫৬ এএম
১০০ বছরের পুরোনো চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন আশার আলো

অ্যান্টিবায়োটিক এখন অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ জীবাণু ধীরে ধীরে এসব ওষুধের প্রতি প্রতিরোধ ক্ষমতা  তৈরি করে নিচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা আবারও ফিরে যাচ্ছেন শতবর্ষ পুরোনো এক চিকিৎসা পদ্ধতি—ফেজ থেরাপির দিকে।

ফেজ থেরাপিতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরনের ভাইরাসকে, যাদের বলা হয় ব্যাকটেরিওফেজ। এরা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে ধ্বংস করতে সক্ষম। ১৯২০-এর দশকে এ পদ্ধতি জনপ্রিয় ছিল, তবে পরে অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার ও সহজলভ্য হওয়ায় ফেজ থেরাপি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।

সম্প্রতি হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেম ও মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা নতুন এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, এই থেরাপি অ্যান্“সুপারবাগ” মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বৈজ্ঞানিক জার্নাল সেল রিপোর্টস-এ।

তবে এখানে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন—যেভাবে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, সেভাবেই তারা ফেজের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ব্যাকটেরিয়া ও ফেজের এই ‘লড়াইয়ের কৌশল’ ভালোভাবে বুঝতে পারলেই ভবিষ্যতে আরও কার্যকর চিকিৎসা তৈরি করা সম্ভব হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, Bacillus subtilis নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ফেজ আক্রমণ ঠেকাতে YjbH নামের একটি প্রোটিন ব্যবহার করে। এই তথ্য ভবিষ্যতে চিকিৎসা উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী দেবনাথ ঘোষাল বলেন, আমরা আশা করি, আবারও ফেজ থেরাপি চালু করে সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের বাইরেও নতুন চিকিৎসা তৈরি করা সম্ভব হবে। অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, শত বছর পরও ফেজ থেরাপির সুফল নতুন করে ভাববার সময় এসেছে।

শীতের আগেই হাতে খসখসে ভাব? মেনে চলুন ঘরোয়া উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২১ পিএম
শীতের আগেই হাতে খসখসে ভাব? মেনে চলুন ঘরোয়া উপায়

প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল চলছে। শীতের আগের এ সময়টায় ত্বকের পাশাপাশি হাতেও খসখসে রুক্ষ ভাব দেখা দেয়। এ সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ত্বককে ময়েশ্চারাইজিং করা জরুরি। এছাড়া সঠিক হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার এবং হালকা গরম পানি দিয়ে হাত ধোয়ার মতো কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।

হাতের যত্নে কী করবেন

সঠিক হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন: অ্যালকোহল বা রাসায়নিক-যুক্ত হ্যান্ডওয়াশ এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়। গ্লিসারিন বা অ্যালোভেরা যুক্ত মাইল্ড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন।

হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন: অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। এ কারণে হাত ধোয়ার জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।

ময়েশ্চারাইজ করুন: প্রতিবার হাত ধোয়ার পরে, বিশেষ করে শীতকালে, ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ফিরিয়ে আনতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: দিনের বেলা এবং রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিন-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

আর্দ্রতা ধরে রাখুন: হালকা গরম পানিতে গোলাপ জল এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

রাতে যত্ন নিন: রাতে ঘুমানোর আগে হাতে গ্লিসারিন ও লেবুর রস মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে।

গ্লাভস পরুন: বাইরে বা ঠান্ডা জায়গায় গেলে হাতে গ্লাভস ব্যবহার করুন।

হালকা স্ক্রাব করুন: হাত পরিষ্কার করার জন্য স্ক্রাবিং করতে পারেন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।

নারকেল তেল ব্যবহার করুন: নারকেল তেল ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।

সানস্ক্রিন: মুখের মতো হাতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তা না হলে ট্যান পরতে পারে। প্রতিদিন ভালো এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

খেজুরে ভরপুর মরক্কোর বাজার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৮ পিএম
খেজুরে ভরপুর মরক্কোর বাজার

মরক্কোর দ্রা–তাফিলালেত অঞ্চল এ বছর রেকর্ড পরিমাণ খেজুর উৎপাদনের পথে রয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ফলনের পরিমাণ এবং গুণমান উভয়ই গত বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে।

দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এরফুদ এলাকায়, জিজ নদীর তীরে অবস্থিত খেজুর বাগানগুলোতে এরই মধ্যে এক লাখ টনেরও বেশি খেজুর সংগ্রহ করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, এ অঞ্চলের মধ্যম তাপমাত্রা ও পূর্ববর্তী মৌসুমের বৃষ্টিপাত খেজুরের বৃদ্ধি এবং পাকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

স্থানীয় কৃষক বলেন, সেপ্টেম্বরে বাজারে খেজুরের সরবরাহ বেড়েছে। ফলন ভালো হয়েছে, তাই আমরা সময়মতো সংগ্রহের কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।

খেজুরে ভরপুর মরক্কোর বাজার

খেজুর পাকার সঙ্গে সঙ্গে বাগানে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। সবুজ থেকে সোনালি বা বাদামি রঙে পরিবর্তনের সময় কৃষকেরা হাতে কাঁচি বা দা ব্যবহার করে ফল সংগ্রহ করেন। এই প্রক্রিয়ায় দক্ষতা প্রয়োজন, যাতে গাছ ও ফলের ক্ষতি না হয়।

অন্য এক কৃষক জানান, সকালের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত আমরা খেজুর সংগ্রহে ব্যস্ত থাকি। বিভিন্ন জাতের খেজুর রয়েছে—মাঝহুল, বউফগুস, লখালক ও বউস্লিখ। সংগ্রহ শেষে মাটে ছড়িয়ে বাছাই ও শুকানোর কাজ করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন মৌসুমে স্থানীয় বাজারে খেজুরের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ব্যবসায়ীরাও রপ্তানির জন্য মানসম্মত খেজুর সংগ্রহে আগ্রহী।

সূত্র : আফ্রিকানিউজ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা কতটুকু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১:০৪ পিএম
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা কতটুকু

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড় সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিডব্লিউওটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ এখন পর্যন্ত সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটি বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাতে। তাই এটি বাংলাদেশে আঘাত হানবে এমন কোনো গুজবে আপাতত কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।

তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। মূলত এই বৃষ্টির সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করেই বৃষ্টিবলয় আঁখি আসতে পারে।

বিডব্লিউওটির আরও জানায়, বৃষ্টিবলয় আঁখি আসার কারণ হলো ঘূর্ণিঝড়ের দূরবর্তী প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আঘাতের পরে দিক পরিবর্তন করে দুর্বল হয়ে লঘুচাপ বা সার্কুলেশন আকারে বাংলাদেশের রংপুর রাজশাহী বিভাগের ওপরে বা কাছাকাছি আসতে পারে। তখন দেশের ভেতরে বৃষ্টির জন্য বেশ অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। তবে সারা দেশে একযোগে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

কারণ এটি কোনো বর্ষাকালীন বৃষ্টিবলয় নয় যে সারা দেশে টানা ভারি বর্ষণ বা অধিকাংশ স্থানে ২০০/৩০০ মিমি বৃষ্টি হবে। এটি একটি ক্রান্তীয় বা সিস্টেম কেন্দ্রিক বৃষ্টিবলয়। এই ধরনের বৃষ্টি বলয়ে দেশের অল্প কিছু স্থানে ভারি বৃষ্টি এবং বাকি স্থানগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়ে থাকে। এমনকি সিস্টেমের গতিপথের ওপরে নির্ভর করে অনেক স্থান বৃষ্টিহীন ও থাকতে পারে।

পোস্টে আরও বলা হয়, তেমনি বৃষ্টিবলয় আঁখির তীব্রতা এবং সক্রিয়তা দুটোই নির্ভর করছে ঘূর্ণিঝড় মোন্থার গতিপথের ওপরে। তাই আমরা এখনও বৃষ্টি বলয়ের জেলাভিত্তিক আপডেট দেইনি। কারণ বর্তমানে শুষ্ক মৌসুম চলছে। যার ফলে অনেকেই কৃষিকাজসহ নানান কাজ করছেন। এ সময় সামান্য বৃষ্টি হলেও অনেকের ক্ষতি হতে পারে। আবার হালকা বৃষ্টি কৃষি কাজে উপকার ও হতে পারে। কিন্তু ভারি বৃষ্টি হলেই বিপদ।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল রাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৬০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৮০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এটি আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এ সময় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।