খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

গুম ও আয়নাঘরের একাল সেকাল

এহ্সান মাহমুদ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৫ এএম
গুম ও আয়নাঘরের একাল সেকাল

আমার জন্মের ১৫ মাস পরের এক সকালে আব্বু নিখোঁজ হয়েছিলেন। আম্মু আর ছোট মামা বরিশালের মুলাদী থানায় এই ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা সেটি না করতে পেরে ফিরে এসেছিলেন। ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমার স্কুলশিক্ষক বাবার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তখন স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন দিন দিন তীব্র হচ্ছে; এমন সময়ে গ্রামের একজন স্কুলশিক্ষক গুম হয়ে গেলেন।

সেই ঘটনার তিন দশক পর বাংলাদেশ আবারও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অভিজ্ঞতা পেল। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হলেন শেখ হাসিনা। তারপরই উন্মোচিত হলো আয়নাঘর। আওয়ামী লীগ আমলে গুম হয়ে থাকা কেউ কেউ ফিরে এলেন। অনেকেই ফিরলেন না। যারা ফিরেছেন, তাদের বক্তব্য, পরিবারের সদস্যদের স্বজন ফিরে পাওয়া হাসিমুখের ছবি আমরা টেলিভিশনের পর্দায় ও খবরের কাগজে দেখেছি। বিপরীতে যাদের স্বজন ফিরে আসেনি, তাদের দীর্ঘশ্বাস কি আমরা টের পাচ্ছি? সম্ভবত পাচ্ছি না। যেমনটা পাইনি সাজেদুল ইসলাম সুমনের স্বজনের পরিবারের দীর্ঘশ্বাস।

সাজেদুল ইসলাম সুমন ছিলেন ঢাকা মহানগরের এক ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। সেদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচজন। নিখোঁজের কিছুক্ষণ পরই খবর পায় পরিবার। এর পর আশপাশের থানা, ডিবি অফিস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তারা। কিন্তু কোনো খোঁজ মেলেনি।
সুমনের দুই মেয়ে। বাবা নিখোঁজের সময় ছোট মেয়ের বয়স ছিল ২ বছর। একজন নিখোঁজ মানুষের সন্ধানে থানা-পুলিশে গিয়ে যে কাজের কাজ কিছু হয় না, তার প্রমাণ তো আমাদের পরিবার থেকেই পেয়েছিলাম। রাষ্ট্রের নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা যে বাহিনী বা সংস্থার, তার কাছেই উল্টো নাগরিকের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়লে মানবিক রাষ্ট্রের ধারণা বাধাগ্রস্ত হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিগত আমলে গড়ে ওঠা টর্চার সেল, যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত, সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। সেই পরিদর্শন টিমে রাখা হয়নি সুমনের পরিবারের কাউকে। অথচ আমরা জানি, সুমনের বোনের প্রায় একক চেষ্টায় গড়ে উঠেছিল ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনটি, যেটি কাজ করে গুম হওয়া পরিবার নিয়ে।
৩০ বছর আগে মফস্বলের একটি থানা মুলাদী কিংবা বর্তমানের রাজধানী ঢাকার টর্চার সেলের সামনে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটে। আমরা দেখতে পাই, রাষ্ট্রের চরিত্রের কোনো বদল হয় না। তাহলে এত এত শহীদের জীবন, পঙ্গু মানুষের আর্তনাদ কি বৃথা?

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গোপন বন্দিশালায় বিনা বিচারে মানুষকে আটকে রাখা হতো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেকে বন্দিশালা থেকে মুক্তি পান। গুমের ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৭ আগস্ট গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করে। সেই কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটটির বেশি গোপন বন্দিশালা শনাক্ত করেছে কমিশন। তাদের ভাষ্য, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), র‍্যাব ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের মতো সংস্থাগুলো এসব গোপন বন্দিশালা পরিচালনা করত।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার ঢাকার তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেছেন। এগুলো রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরায় অবস্থিত। বন্দিশালা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের একটা নমুনা প্রতিষ্ঠা করে গেছে। আমাকে নতুন করে বলতে হবে না। বর্ণনা দিতে গেলে বলতে হয়– আয়নাঘরের ভেতরে খুবই বীভৎস দৃশ্য। এখানে মনুষ্যত্ববোধের কিছু নেই। যা হয়েছে তা নৃশংস’ (সমকাল, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)।

এ ধরনের নৃশংস ঘটনা থেকে আমরা কি শিক্ষা নিতে পারি না? পরিতাপের বিষয়, সম্ভবত আমরা কেউই শিক্ষা নিতে আগ্রহী না। নাগরিকের নিরাপত্তা, সুশাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এখনও তাই অধরা রয়ে যায়। এমনকি এই পরিবারগুলোর প্রতি ন্যূনতম যে মানবিক আচরণ করার কথা, সেটাও আমরা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছি।
গুমের শিকার হয়েছেন যারা, তাদের পরিবারগুলোর উদ্দেশে প্রতিবছর ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ‘গুম’ বলতে এখন বোঝানো হয়– সরকারের কোনো বাহিনীর পক্ষ থেকে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া। বেসরকারি কোনো গোষ্ঠী বা অপরাধী চক্রের তুলে নেওয়া সাধারণত ‘অপহরণ’ আখ্যা পায়।

গুমের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৯২ সালে ৪৭/১৩৩ নম্বর প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে। তাতে বলা হয়েছে, সরকারের কোনো পর্যায় বা কোনো শাখার কর্মকর্তা অথবা সরকারের পক্ষে কিংবা তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন অথবা সম্মতি নিয়ে কোনো বেসরকারি সংগঠিত গোষ্ঠী কাউকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার, আটক বা অপহরণ করে তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করলে এবং তাঁকে আইনের পরিধির বাইরে রেখে দিয়ে তাঁর অবস্থান জানাতে অস্বীকার করাই হচ্ছে গুম।

কেউ মারা গেলে অথবা কাউকে হত্যা করা হলে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। স্বজনদেরও ধীরে ধীরে কষ্ট কমতে থাকে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা সম্পদের উত্তরাধিকার লাভ করেন। কিন্তু গুমের শিকার হলে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ভুক্তভোগী বেঁচে আছেন, নাকি মারা গেছেন– শুধু এই তথ্যটুকু না পাওয়া প্রতিমুহূর্তে তাদের যন্ত্রণায় বিদ্ধ করতে থাকে। গুমের ঘটনা খুনের চেয়েও খারাপ অপরাধ। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের গত বছরের আগস্টের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাতশর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

৫ আগস্টের পরে ‘নতুন বাংলাদেশ’ কথাটি বেশ উচ্চারিত হচ্ছে। আমরা ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে চাই, এটা সত্যি। তার আগে নিশ্চিত করা দরকার, ইতোমধ্যে ঘটা ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পরিচালিত ফেসবুক পেজে আয়নাঘরের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। আয়নাঘরে বন্দিদের কাহিনি এখন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে। দেখা গেল একাধিক বন্দির সাক্ষাৎকার। তিক্ত, ভয়ানক ও রোমহর্ষক ঘটনার যে বিবরণ তাতে উঠে এসেছে এবং এসব বর্ণনাকালে একেকজন বন্দির চোখেমুখে যে আতঙ্ক প্রকাশমান, তা মর্মন্তুদ। ‘নতুন বাংলাদেশে’ আমরা এমন মর্মন্তুদ ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। একই সঙ্গে আগের ঘটনার যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে এই বার্তা দিতে হবে– মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের বিচার থেকে কেউ রেহাই পাবে না। বিচার নিশ্চিত হলেই ভবিষ্যতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সহজ হবে। ভবিষ্যতের সহজ কাজটির জন্য এখন দরকার একটি যথাযথ আইনি ও বিচার প্রক্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি এই আস্থাটুকু রাখতে চাই।

এহ্‌সান মাহমুদ: সহকারী সম্পাদক, সমকাল; কথাসাহিত্যিক

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।