খুঁজুন
বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২০ কার্তিক, ১৪৩২

পবিত্র শবে বরাত এর ফজিলত

ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:১৭ পিএম
পবিত্র শবে বরাত এর ফজিলত

পবিত্র শবে বরাত আজ। যথাযথ মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

পাপ থেকে সর্বান্তঃকরণে ক্ষমা প্রার্থনা করে মুসলমানদের নিষ্কৃতি লাভে স্রষ্টার পানে দু’হাত তুলবে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

 

তবে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে  ‘শবে বরাত’ শব্দটির অস্তিত্ব নেই। কারণ এটি ফারসি ভাষার শব্দ। ‘শব’ শব্দটি ফারসি, অর্থ রাত। আর  ‘বারাআত’ শব্দের অর্থ হলো—নাজাত, নিষ্কৃতি বা মুক্তি। শবে বরাতকে ‘লাইলাতুল বারাআত’ নামে অভিহিত করেছেন অনেকে।

হাদিস শরিফে একে  নিসফে শা’বান বলা হয়। অর্থাৎ  হিজরি শা’বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়।

পবিত্র কোরআনে এ রাত্রি নিয়ে কি বলা আছে?

কোরআনুল কারিমে এসেছে, ‘হা-মিম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে; নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে, নিশ্চয়ই আমিই দূত পাঠিয়ে থাকি। ’ (সুরা-৪৪ দুখান, আয়াত: ১-৫)।

মুফাসসিরিনগণ বলেন: এখানে ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ বা বরকতময় রজনি বলে শাবান মাসে পূর্ণিমা রাতকেই বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে মাজহারি, রুহুল মাআনি ও রুহুল বায়ান)।

হজরত ইকরিমা (রা.) প্রমুখ কয়েকজন তাফসিরবিদ থেকে বর্ণিত আছে, সুরা দুখান–এর দ্বিতীয় আয়াতে বরকতের রাত বলে শবে বরাতকে বোঝানো হয়েছে। (মাআরিফুল কোরআন)।

শবে বরাতের ফজিলত প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে আছে, ‘হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধশা’বানের রাতে মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন। ’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫, ইবনে মাজাহ: ১৩৯০, রাজিন: ২০৪৮; ইবনে খুজাইমা, কিতাবুত তাওহিদ, পৃষ্ঠা: ১৩৬, মুসনাদে আহমদ, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৭৬)।

হজরত আয়শা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সিজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তাঁর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল; তিনি সিজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ করে বললেন, “হে আয়শা! তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে?” আমি উত্তরে বললাম, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), আপনার দীর্ঘ সিজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। ’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘তুমি কি জানো এটা কোন রাত?’ আমি বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলই ভালো জানেন। ’ তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। ’ (শুআবুল ইমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮২)।

তাই এ রাতে বিশেষ বরকত হাসিলের মানসে মুসলিম সম্প্রদায় নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত, ইস্তেগফার, ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়ায় মশগুল থাকেন।

বাংলাদেশে এ রাত উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি মসজিদে ওয়াজ মাহফিল, জিকির-আসকারের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আলোচনা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। শবে বরাত পালন শেষে পরদিন সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। সংবাদপত্রও বন্ধ থাকে। এ রাতের তাৎপর্য তুলে ধরে রেডিও-টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। সংবাদপত্র প্রকাশ করে বিশেষ ক্রোড়পত্র।

ফরিদপুরে ফুটপাতে চাঁদা তোলার সময় হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিলেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৪৮ পিএম
ফরিদপুরে ফুটপাতে চাঁদা তোলার সময় হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিলেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী

ফরিদপুর শহরের ফুটপাতে চাঁদা তোলার সময় ইব্রাহিম শেখ (৩১) নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ।

বুধবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে তাকে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে শহরের জনতা ব্যাংক মোড় এলাকার রায়প্লাজার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

ইব্রাহীম শেখ শহরের হাড়োকান্দি এলাকার শাহ আলমের ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জনি বিশ্বাস।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে শহরের মুজিব সড়ক, জনতা ব্যাংকের মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জনি বিশ্বাস কয়েকজনকে রায়প্লাজার সামনে ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা তোলা দেখে ভিডিও করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তাঁরা। এ সময় মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ ওই ব্যক্তিকে আটকিয়ে জেরা করেন এবং কাছে থাকা একটি ব্যাগে নগদ ৪ হাজার টাকা দেখতে পান। তখন তাঁর সাথে থাকা দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরবর্তীতে কোতয়ালী থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

মামলার বাদী জনি বিশ্বাস বলেন, মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানিদের সাথে কথা বলেন এবং চাঁদা তোলা হয় কি-না জানতে চান। তখনই ইব্রাহিম শেখ সহ কয়েকজনকে বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা তুলতে থাকেন। প্রতিটি দোকান থেকে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০/২০০ টাকা তোলা হচ্ছিল।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মোর্শেদুল ইসলাম আসিফের সাথে। তিনি আমেরিকান প্রবাসী ও থাকেন নিউইয়র্কে এবং ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাসিন্দা।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে- আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শহরকে চাঁদাবাজ মুক্ত করব। সেই প্রেক্ষিতে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম, তখনই ওই লোকটিকে টাকা তুলতে দেখা যায়। তাঁর কাছে জানতে চাইলে সে কোনো রশিদ বা কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। আমার একটাই হুশিয়ারি ফরিদপুর শহরে কোনো চাঁদাবাজী চলবে না, সে যেই হোক।

এ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় রাতেই চাঁদাবাজির মামলা নেয়া হয়েছে এবং তাকে বুধবার আাদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আটক ব্যক্তি তিতুমীর বাজার বণিক সমিতির লোক দাবি করলেও ফুটপাত থেকে তাঁর টাকা তোলার নিয়ম নেই, সরকারতো ফুটপাত ইজারা দেয়নি। এছাড়া এসপি স্যারের নির্দেশ আজ বুধবার থেকে ওই এলাকার ফুটপাতে কোনো দোকান বসতে পারবে না।

ফরিদপুরে ৩৬ বছর ধরে চলছে টিনের ঘরে পাঠদান, সরকারি হলেও জুটেনি ভবন

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
ফরিদপুরে ৩৬ বছর ধরে চলছে টিনের ঘরে পাঠদান, সরকারি হলেও জুটেনি ভবন

ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাজনডাঙ্গা এলাকায় ১৯৮৯ সালে ৮২টি ঘর বসতি নিয়ে গঠিত হয় গুচ্ছগ্রাম। যে গুচ্ছগ্রামটি ১৯৯০ সালে উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এই গুচ্ছগ্রামের অবহেলিত ও শিক্ষাবঞ্চিত কোমলমতি ছেলেমেয়েদের শিক্ষামুখী করতে ১৯৮৯ সালে গড়ে তোলা হয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যার নাম রাখা হয় ‘ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এরপর এ বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। তবুও বিদ্যালয়টিতে মিলেনি ভবন, টিনের জরাজীর্ণ ঘরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার মধ্যে গুচ্ছগ্রামের মানুষের জন্য একমাত্র বিদ্যাপীঠ ‘১১৯ নং ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।’ ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই টিনের ঘর দিয়ে শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম। এখনো ওই ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের ঘরগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন না থাকায় পূর্বের টিনের ঘরেই ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নেই, তাইতো কোমলমতি শিশুরা সবসময় আতঙ্ক আর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনগ্রসর গুচ্ছগ্রামের কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কথা মাথায় রেখে ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও টিনের জরাজীর্ণ ঘরে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে পাঠদান। বৃষ্টি আসলে চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। কখনো-বা ভাঙাচোরা জিনিসপত্র মাথায় এসে পড়ে শিক্ষার্থীদের। ভয়ে শিক্ষার্থীরা আসতে চায়না স্কুলে। তাইতো কমে গেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আশেপাশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত একমাত্র এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টিতে একসময় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করলেও জরাজীর্ণ টিনের ঘর আর সাথে ভবন না থাকায় বর্তমানে মাত্র শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। নানা কারণে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে নিয়মিত।

অভিভাবক হানিফ হোসেন জানান, ‘ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ঘরের কারণে আমাদের ছেলে মেয়েদের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে হচ্ছে। সরকার যদি নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও কমে যাবে।’

ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চঞ্চলা রানী সরকার বলেন, ‘ভবন সংকটের কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ব্যাহত হচ্ছে। ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কাজ হচ্ছে না। এ ছাড়া ২০২৪ সালে সরকার থেকে একটি ভবন বরাদ্দ হলেও অদৃশ্য কারণে সেটা বাতিল হয়ে গেছে। অতিশ্রীঘ্রই বিদ্যালয়টিতে ভবন নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে গেছে।’

ফরিদপুর সদর সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘ওই স্কুলের ভবন নিয়ে বারবার উপর মহলে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু, এখনও ভবন হয়নি। তবে, এর আগে গত বছর ওই স্কুলের জন্য একটি ভবন পাশ হলেও ঠিকাদার কাজ না করায় ভবনটি অন্য জায়গায় দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত এক মাস আগে ওই স্কুলের ভবনের জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’

ফরিদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘প্রচুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে, ওই স্কুলের ভবন এখনও না হওয়া দুঃখজনক। আমাদের পিডিপি-০৪ ফাইল আগামী ২০২৬ সালের জুলাইয়ে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। তখন আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই স্কুলের ভবন নির্মাণে ব্যবস্থা নিব।’

ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:২২ পিএম
ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে মিলি আক্তার (৩৩) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে মারা যান তিনি। মিলি আক্তার ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী আনোয়ার কাজীর স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও মেয়ের মা।

রেলওয়ে পুলিশের ভাঙ্গা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. সাকিব আকন্দ বলেন, ‘খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে।’