খুঁজুন
রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সকল ধরনের রাজনীতি স্থগিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সকল ধরনের রাজনীতি স্থগিত
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (এফইসি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছে কর্তপক্ষ। তবে রাজনীতি বন্ধ না করে স্থগিত করার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে কলেজের বোর্ডে টাঙানো নোটিশ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে গত ১ মার্চ কলেজে ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত ১ মার্চ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দিয়ে কলেজের সিভিল বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাসেলকে সভাপতি এবং মো. আব্দুল আউয়ালকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারন সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আসিফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এডিসন চাকমার নাম রাখা হয়। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজে সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিতের নোটিশে স্বাক্ষর করেন অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আলমগীর হোসেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ২০ আগষ্ট কলেজের একাডেমিক কাম-প্রশাসনিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে নোটিশ জারি করেন তৎকালীন অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান। নিষিদ্ধের মধ্যে দিয়ে নতুন করে গত ১ মার্চ ছাত্রদলের কমিটি গঠনের খবর প্রকাশ হওয়ায় ক্ষোভে ফুসে উঠে সাধারন শিক্ষার্থীরা। কমিটির ঘোষণার পর থেকেই নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে মঙ্গলবার বিকেলে একাডেমিক কাম প্রশাসনিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডাকে কলেজ প্রশাসন। পরে সন্ধ্যায় এক নোটিশে জানানো হয়, ‘ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হলো।’ এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয় নোটিশে।
কলেজ ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ না করে স্থগিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম নিষিদ্ধ, কিন্তু প্রশাসন সেটা না করেছে স্থগিত। এটা কোনো সমাধান হতে পারে না। তিনি বলেন, ছাত্রদলের কমিটি হওয়ার পর থেকে বহিরাগতরা মহড়া দিতে থাকে।
সদ্য ঘোষিত ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাসেল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা যখন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, তখন আমরা ছাত্ররা কেন রাজনীতি করতে পারব না? আমাদের ক্যাম্পাসের তিনজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলা শাখার কমিটিতে রয়েছে। তারা যেহেতু রাজনীতি শুরু করেছে শিক্ষার্থীরাও রাজনীতি করবে।
কলেজে বহিরাগতদের নিয়ে মহড়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে যারা অবস্থান কর্মসূচি করছে তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের দোসর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির তিনজন এবং ছাত্র শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৩:২৯ পিএম
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (০২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকায় এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা শুভসংঘের ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা হারুন-অর-রশীদ, সংগঠনটির সভাপতি তন্ময় রায়, সাধারণ সম্পাদক সোনিয়া সুলতানা, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব, সদস্য সোহেলা, মুক্তা, লাতিফুল খাবির প্রমূখ।

বসুন্ধরা শুভসংঘ দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাছ রোপণ করে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাদের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের মধ্যে গাছপালার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হবে।

“ঘুম”

মাহমুদুল হাসান
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:২৫ পিএম
“ঘুম”

ঘুম—সে কি কেবল জৈবিক নিঃশেষে এক নিথরতা? নাকি সময়ের অদৃশ্য ভারে গঠিত কোনো আধ্যাত্মিক বিন্দু, যার প্রতিটি নক্ষত্রজালেই ঘুমিয়ে থাকে একটি বিলুপ্ত আলো?
আমি জানি না। বরং জানি—ঘুম আসলে অনস্তিত্বের সীমানায় একটি নরম ছায়া, যাকে ধরা যায় না, ছুঁয়ে ফেলা যায় না, কেবল অনুভবে তার উপস্থিতির কম্পন মাত্র।

ঘুম কখনো আত্মার প্রান্তে অপেক্ষমাণ এক ছায়াপথ, আবার কখনো মস্তিষ্কের গহ্বর-জুড়ে এক বিপরীত সংবেদন। সে এসে চোখের পাতায় ফেলে নিরাকার শব্দের ধুলো। তখন সময়ও থেমে যায়—এক অনিয়মিত তালে, যেখানে ঘুম নিজেই নিজের সংজ্ঞা অস্বীকার করে।

ঘুম ঘুম নয়—সে এক অন্তর্বর্তী হ্রস্ব বিস্মৃতি।
সে ‘আমি’ থেকে ‘তুমি’ হয়ে যাওয়া, আবার ‘তুমি’ থেকে ‘কেউ নয়’ হয়ে পড়ার অনিবার্য অন্তর্বিপর্যয়।
সে নিদ্রা নয়, সে নিস্পন্দিত অনুপ্রাণ—এক পরাবাস্তব ঘূর্ণিপাকে অস্তিত্বের জরায়ুতে জমে ওঠা নিরুত্তর অবচেতনতা।

ঘুমের ভেতর আমি হারিয়ে ফেলি আমার ‘আমি’-কে। সেখানে আমার নাম থাকে না, মুখ থাকে না, থাকে কেবল রন্ধ্রে রন্ধ্রে রচিত অপার স্বপ্নাবিষ্টতা।
স্বপ্ন? না, স্বপ্নও নয়।
এ যেন এক বহুতল নিঃসরণ, যেখানে প্রতিটি স্তরেই চৈতন্য নিজেকে উল্টো করে তোলে, নিজের ভাষাকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।

একটা প্রশ্ন—ঘুম কি নিঃশেষে বিস্মৃতি?
না, সে এক পলক-দীর্ঘ মুক্তিপত্র।
যেখানে জন্ম নেয় নীরব চিৎকার, শব্দহীন গল্প, আর অজানা কোনো পুরাকথার অসমাপ্ত অনুরণন।

ঘুম মানে কেবলই চোখ বুজে থাকা নয়।
ঘুম মানে শরীর থেকে মন ছিঁড়ে ফেলা।
ঘুম মানে একটি চলমান ট্রেন, যার গন্তব্য নেই—অথচ গন্তব্যহীনতাই তার একমাত্র পরিচয়।

ঘুম কি কখনো জেগে থাকে?
হ্যাঁ—ঘুম জেগে থাকে, অনেক সময়।
যখন আমাদের চোখ বুজে, কিন্তু চিন্তা ফুঁপিয়ে কাঁদে।
যখন আমরা সুতীব্র ক্লান্তি নিয়ে বিছানায় পড়ি, কিন্তু অবচেতন চেতনায় ফিরে আসে হারিয়ে যাওয়া কোনো অনুক্ত আর্তনাদ।
তখন ঘুম আমাদের শরীরে আসে, মগজে নয়।
তখন ঘুম হয় এক নিষ্ফল অনুগ্রহ।

ঘুমের গভীরে আমি দেখি নিজেকে,
এক ফাঁকা আয়নায়, যেখানে মুখ নেই, ভাষা নেই—
শুধু অসীম সাদা কুয়াশার মধ্যে ডুবে থাকা এক বিকারগ্রস্ত সত্তা।
তুমি যদি সেখানে আমাকে চিনতে চাও—চিনতে পারবে না,
কারণ ঘুমের মাঝখানে মানুষ আর মানুষ থাকে না—থাকে কেবল অভিজ্ঞতার ছায়া, অনুভবের দংশন,
আর অনন্ত বিষণ্ন একাকীত্ব।

ঘুম হয়তো শেষ নয়, শুরুও নয়।
সে কেবলই একটি অন্তরীক্ষ—যেখানে নিজের ভেতরের আলো আর অন্ধকার একে অপরকে গ্রাস করে।

ফরিদপুরে ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
ফরিদপুরে ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গার এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিশ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুরের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ভাঙ্গার এক্সপ্রেস ওয়ের টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালায়।

এসময় একটি পিকআপ ভ্যানে থাকা ২০ কেজি গাজা, দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার ও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গার চুমুরদী এলাকার সুমন শেখ ও নগরকান্দার ডাঙ্গী এলাকার জুলহাস মুন্সি।

ফরিদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ মো. হাসেম আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে চিহ্নিত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার ও ২০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।