সালথার সাংবাদিক বিধান মন্ডলের বাবার ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

ফরিদপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুর গণি খা (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকাল ৩ টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার গোয়াইলপোতা গ্রামের আমির খা’র পুত্র। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল শ্বশুরের ধর্ষণের শিকার হয়। এক পর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে একই বছরের ২৮ জুন নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই গৃহবধূর ভগ্নিপতি (বোন জামাই)।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন রাতে গৃহবধূ ঘুমিয়ে থাকলে তার ঘরে প্রবেশ করে গণি খা। তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারী পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই গৃহবধূ ঘটনার বর্ণনা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারী কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুইয়া রতন জানান, দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনাটি প্রমাণিত হলে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, সমাজে ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে কেউ রক্ষা পাবে না।
বাবার উপর অভিমান করে ফরিদপুরের সালথায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সামিউল শরীফ (১২) নামে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার বড় খারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সামিল বড় খারদিয়া গ্রামের মেহেদী হাসান শরীফের ছেলে ও বড় খারদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বাবার উপর অভিমান করে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সামিউল আত্মহত্যা করে। নিহতের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা রুজু হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের নিখুরদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ও বাড়ির প্রবেশপথে বেড়া দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহদপ্তর সম্পাদক ও ওই এলাকার ইয়াকুব আলির ছেলে অ্যাডভোকেট সুলায়মান হোসাইন। তার পৈত্রিক বাড়ি ও নানা বাড়ি পাশাপাশি অবস্থানে। বর্তমানে নানা বাড়িতে পরিবারের লোকজন বসবাস করেন।
আপনার মতামত লিখুন
Array