খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মানববন্ধন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১০ পিএম
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মানববন্ধন
দৈনিক আমার দেশের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের মালিক ফ্যাসিবাদের দোসর মোস্তফা কামাল কর্তৃক মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলার প্রতিবাদে ফরিদপুরে আমার দেশ পাঠক মেলার ‌ উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধন পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা   আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর মেঘনা গ্রুপের  চেয়ারম্যান ‌মোস্তফা কামাল কর্তৃক ‌ আমার দেশের মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আসামি করে মামলা করায় তীব্র সমালোচনা করেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে  ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ইব্রাহিম হুসাইনের সঞ্চালনায় ‌বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,শিক্ষার্থী,  সাংবাদিক, আইনজীবীসহ  অন্যান্য শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন এবং মানববন্ধন পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, বাংলাভিশন এবং নয়া দিগন্তের ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি হারুন আনসারী রুদ্র, দৈনিক আমার দেশ পাঠক ফোরামের সভাপতি ‌ এবং ‌ ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন, এডভোকেট কবির হোসেন প্রমূখ।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী তার বক্তব্য বলেন, মাহমুদুর রহমানের মত মজলুম সাংবাদিক শুধু বাংলাদেশে কেন পৃথিবীতে হাতে গোনা দু চারজন আছে কিনা আমার জানা নাই। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত  মিথ্যা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার না করলে আমরা আরও তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।
আমার দেশ পাঠক মেলার ফরিদপুর জেলা সভাপতি রাজিব হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আজ আপনার চুরি এবং লুটপাটে বাঁধা পড়েছে বলে আপনি মামলা করছেন। যা করছেন ভারতের উস্কানিতে করছেন। এখনই সাবধান হয়ে যান। তাহলে পরবর্তীতে সারা দেশের মানুষ আরো কঠোর আন্দোলনে যাবে।
এ সময় ফরিদপুরের প্রেস ক্লাবের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, আইনজীবী ‌ ‌‌সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ‌ তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিগত দিনে মেঘনা গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন এবং মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ‌ অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ‌দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন,   মাহমুদুর রহমানের মত একজন সম্পাদকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে  মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ‌ মোস্তফা কামাল ‌যে মামলা করেছে ‌তা অত্যন্ত ‌ নিন্দনীয়। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ‌ মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
মেঘনা গ্রুপের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ আমলে ‌মেঘনা ‌ গ্রুপেরর চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এক লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
বক্তারা আরো বলেন, একজন সাংবাদিকের সংবাদ ‌ ভুল হলে ‌ এবং কোন সংবাদের ‌ আপত্তি থাকলে‌ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে আবেদন করতে হয় ‌ অথচ মেঘনা গ্রুপ ‌ সেটা উপেক্ষা করে ‌ আদালতে ‌ আমার দেশ পত্রিকার নামে ‌মামলা করেছেন ‌ এটা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না ‌। ‌

ফরিদপুরে এমপি প্রার্থীর প্রচারণার গেট-ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর, প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৩২ পিএম
ফরিদপুরে এমপি প্রার্থীর প্রচারণার গেট-ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর, প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণার গেট, ব্যানার ও ফেস্টুন ভাংচুরের প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে এ ঝাড়ু মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে বিভিন্ন বয়সের সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যুব সমাজ অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলকারীরা অভিযোগ করেন, ‘রায়হান জামিলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে তার প্রচারণা সামগ্রী ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এসময় বক্তারা বলেন, “১০ টাকায় ইলিশ মাছ ও ১ টাকা কেজি গরুর মাংস বিতরণ করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন রায়হান জামিল। তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে কেউ কেউ নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে।”

প্রতিবাদ সভায় রায়হান জামিলের সমর্থকরা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে দায়ীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সালথায় আগুনে কৃষকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:২৪ পিএম
সালথায় আগুনে কৃষকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

ফরিদপুরের সালথায় আগুনে এক কৃষকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার নকুলহাটি গ্রামের কৃষক মো. আজম মোল্যার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুনে সারাজীবনের কষ্টে অর্জিত সব হারিয়ে পাগলপ্রায় ওই কৃষক পরিবার।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আজম মোল্যা বলেন, আমি সারাজীবন কষ্ট করে টিনের একটি বসতঘর নির্মাণ করেছিলাম। আজ আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেল। বসতঘর, পাট, ধান, পেঁয়াজসহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার অন্তত ৬-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সালথা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আব্দুল জলিল বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দু’টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়স্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এতে আনুমাণিক ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে৷

ফরিদপুরের খাল-বিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০৬ পিএম
ফরিদপুরের খাল-বিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল

আবহমান গ্রাম বাংলার সুপরিচিত একটি জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা। ফসলহীন মাঠজুড়ে, রাস্তার পাশে ডোবা-নালায় জমে থাকা পানিতে এই ফুলের সমাহার দেখা যায়। সবুজের মধ্যে সাদা, হালকা গোলাপী আর বেগুনি রংয়ের অযত্নে বেড়ে ওঠা এ ফুল মুগ্ধতা ছড়ায়। 

তেমনি ফরিদপুরের গ্রাম-গঞ্জের প্রায় প্রতিটি এলাকার খাল-বিল, বাড়ির পাশের ডোবায় ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন কচুরিপানা ফুল। কবি গুরুর ভাষায় ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া-ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া’। সত্যিকার অর্থেই যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন এক অবহেলিত উদ্ভিদে এত নয়নাভিরাম, মনোমুগ্ধকর, চিত্তাকর্ষক ফুল, যা প্রকৃতি প্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না। প্রতিটি এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন জাতের বিভিন্ন রঙের কচুরি ফুল ফোটে বিভিন্ন ঋতুতে।

তবে এ সময় কচুরিপানার ফুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সৌন্দর্যের পাপড়ি মেলে ধরা কচুরিপানা ফুলের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই ছবি তুলছেন, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা।

ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা জলাশয় থেকে শিশির ভেজা কচুরিপানার ফুল তুলে খেলা করছে। গ্রামের শিশু-কিশোররাও আনন্দ করে তুলে নিয়ে খেলা করছে। কচুরিপানা আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর মনে হলেও কৃষিক্ষেত্রে এর যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। মাটিতে শক্তি যোগাতে ভূমিকা রাখে কচুরিপানা।

কৃষকেরা কচুরিপানা উঠিয়ে জমিতে ফলানো পেঁয়াজের ভূঁই, লালশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যবহার করছেন কচুরিপানা। সেই সঙ্গে কচুরিপানা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কচুরিপানা থেকে এখন তৈরি হচ্ছে জৈব সার।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, “কচুরিপানা গবাদিপশুর উৎকৃষ্ট খাবার, জৈবসার হিসেবে খুবই শক্তিশালী, এটা ব্যবহার করে কৃষকগণ ভাসমান শাক-সবজির চাষ করে থাকে। পুকুর ও বিলে কাপ জাতীয় মাছের বাড়তি খাবার হিসাবে কাজে লাগে, এ জলজ উদ্ভিদকে রোদে শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কচুরিপানা ফুল সব বয়সি মানুষকে আকৃষ্ট ও মুগ্ধ করে।”