খুঁজুন
বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ১১ আষাঢ়, ১৪৩২

‘দীর্ঘ ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন’ — শহিদুল ইসলাম বাবুল

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ৯:১৬ পিএম
‘দীর্ঘ ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন’   — শহিদুল ইসলাম বাবুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি মনোনীত ফরিদপুর-৪  আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম খান বাবুল বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে ৮ বছর জেল খেটেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান ১৭ বছর ধরে দেশে আসতে পারেন নাই। গত ফ্যাসিবাদি সরকার অনেক গুম, খুন, নির্যাতন করেছে, এর বিচার আমরা করবো।

 

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মী সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘লোভে পড়ে যারা বিএনপিতে যুক্ত হচ্ছেন তারা দূরে থাকেন। বিএনপির সম্মান নষ্ট করবেন না, কোন নেতা কর্মী যদি কোনো অপরাধমূলক কাজ করেন তাকে ছাড় দিবোনা। ফরিদপুরে অনেক প্রবাসী ভাইয়েরা বিদেশ থাকেন। তারা দেশের জন্য অনেক অবদান রাখে, তারা কিন্তু দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি তাদের পরিবার দেশে থাকেন, তারা অনেক জুলুম, অন্যায় অত্যাচারী শিকার হচ্ছেন। আমি বিএনপির নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তাদের বিরুদ্ধে যদি জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমি দস্যুতা, জুলুম করেন তাদেরকে আমরা ছাড় দিব না।

শহিদুল ইসলাম খান বাবুল বলেন, ‘আমাদের বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ দুর্দিনে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, মামলা হামলার শিকার হয়েছেন, মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন, বাড়িতে ঘুমাতে পারেন নাই, পালিয়ে বেড়াইয়া ছিলেন, আমরা তাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবো। বিএনপির দলকে আরো শক্তিশালী করে তারেক জিয়ার হাতকে আরো শক্তিশালী করবো।
গত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের কার্যক্রম চলমান একটি প্রক্রিয়া। নির্বাচিত সরকার এসে তাদের বিচারের ধারা অব্যাহত রাখবে। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদ সরকারের শাসন আমলে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।

ভাঙ্গায় কর্মী সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি ও উদ্বোধক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য  ইঞ্জিনিয়ার খাইরুল আনাম সহ প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে আগত বিএনপির শত শত নেতা-কর্মীরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মিছিল নিয়ে স্লোগানে মুখোরিত উৎসব মুখর পরিবেশে ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন। ১১ টার মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলা চত্বর ও সম্মেলন কক্ষে কানায় কানায় ভরে যায়।

বউকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার ৫টি টিপস

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ৯:৫০ এএম
বউকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার ৫টি টিপস

বউকে ‘বশে রাখা’ শুনলেই অনেকে ভাবেন যেন ওস্তাদের মত তাবিজ বানিয়ে দিতে হবে! আরে ভাই, তাবিজ-তন্ত্র নয়, কিছু ছোট ছোট মানবিক কৌশলেই বউকে আপনি এমন ‘বশে’ আনতে পারবেন, যে বউ নিজেই বলবে, “এই লোকটা আসলেই স্বর্গের দান!” চলুন দেখি সেই ৫টি ‘গোপন রহস্য’, যা বলে না কেউ, কিন্তু বোঝে সবাই!

১ ) শ্রদ্ধা দিন, পায়ের উপর পা তুলে চা পাবেন:
বউকে “এই শুনছো” বলে ডাকলে সে যদি কানের পাশে এসে ফিসফিস করে “কী রে Bhombhola!” বলে, তাহলে বুঝে নিন, আপনি শ্রদ্ধার পথে নেই। তাই আগে তার মতামত, পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। তখন সে আপনাকে “বস” নয়, “বেস্ট” ভাববে।

উদাহরণস্বরূপ।
আপনি বললেন, “তোমার রাঁন্না দারুণ হয়েছে।”
সে হেসে বলল, “এই তো, আজ বুঝি খাবারের স্বাদ পেলে!”
তৎক্ষণাৎ আপনি দুইটা গোল্ডেন পয়েন্ট পেলেন।

২ ) খোলামেলা কথা বলুন, না হলে রিমোট খুঁজতে খুঁজতেই জীবন যাবে। স্ত্রী যদি জিজ্ঞেস করে, “তুমি কি আমাকে আগের মত ভালোবাসো?” আপনি যদি উত্তর দেন, “হুম, জানি না… খেলা চলছে তো” তাহলে খেলা শেষে আপনার জন্য শুরু হবে ‘জীবন-মরনের খেলা’। তাই তার সাথে নিজের কথা বলুন, তার কথাও মন দিয়ে শুনুন নইলে সে একদিন গুগলকে আপন করে ফেলবে।

৩) সময় দিন, ফেসবুক নয়:
ভাই, ফোনে স্ক্রল না করে একদিন যদি শুধু তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলেন, “তুমি প্রতিদিন আরও সুন্দর হচ্ছো” তাহলে সে আপনাকে দেখে বলবে, “তোমারও IQ একটু একটু করে বাড়ছে!” এই যে আপনি তার প্রশংসাটা করলেন এরপর দেখবেন সে আপনাকে স্বর্গের সুখ এনে দিবে।

৪। ছোট ছোট সারপ্রাইজ দিন, না হলে বড় বড় ঝড় আসবে। বউয়ের মুখ গোমড়া?
সরাসরি বলবেন না, “এখন আবার কি হলো?”
বরং তার পছন্দের এক কাপ চা, একটা চিরকুটে লিখুন “আজ তোমার চোখ দুটো আলাদা রকম লাগছে, ঝড়ের আগের মেঘের মতো!” চিঠি লিখতে না পারলে অন্ততপক্ষে পিছন থেকে গিয়ে জড়িয়ে ধরুন।

৫। কাজে সহযোগিতা করুন, রাঁন্নাঘরে একবার ঢুকে দেখুন প্রেমের গন্ধ কেমন। মাঝে মধ্যে প্লেট ধুয়ে দেখুন, কাপড় ভাঁজ করে রাখুন। তারপর বউ আপনাকে ‘বুয়া’ না, ‘বন্ধু’ ভেবে নিজের সিক্রেটও বলে ফেলবে! সত্যি সত্যি সিক্রেট বলে দেওয়ার পর কোন রিয়েক্ট কইরেন না আবার নইলে কিন্তু ভবিষ্যতে আর কিছুই জানতে পারবেন না তার কাছে।

বিলুপ্তির পথে ফরিদপুরের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধানের গোলা

এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ৭:৫১ এএম
বিলুপ্তির পথে ফরিদপুরের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধানের গোলা

বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ফরিদপুরের ধানের গোলা। একসময় গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের বাড়িতে এরকম ধানের গোলার প্রচলন ছিল। গোলাভরা ধান ও পুকুর ভরা মাছ ছিল। জমিদারি প্রথা ও কৃষক পরিবারের বিভিন্ন ঐতিহ্যের মধ্যে ছিল এই ধানের গোলা।

 

এখন মাঠের পর মাঠ ধানক্ষেত থাকলেও কৃষকের বাড়িতে নেই ধান মজুদ করার জন্য বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী ধানের গোলা। অথচ একসময় সমাজে মানুষের আভিজাত্য নির্ভর করতো কার কয়টি ধানের গোলা আছে এ হিসাব কষে। শুধু তাই নয়, কন্যা পাত্রস্থ করতেও বরপক্ষের লোকজন আগে দেখতো ধানের গোলা। নতুন প্রজন্মের কাছে এটা একটা ইতিহাস। শুধু রূপকথার গল্পের মতো। প্রবীণ ও পুরোনোদের কাছে এটি শুধু হারিয়ে যাওয়া একটি ঐতিহ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামবাংলার কৃষক পরিবারের সমৃদ্ধির প্রতীক ধানের গোলা এখন আর ফরিদপুরে কোথাও চোখে পড়ে না। তবে পুরো জেলার মধ্যে একটি মাত্র ধানের গোলা এখনও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে কৃষক অধীর কুমার বিশ্বাসের বাড়িতে এটি রয়েছে। তার মাঠের সব ধান এই গোলায়ই তিনি সংরক্ষণ করেন। পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বাড়ির উঠানে এখনো তিনি এই ধানের গোলাটি যত্ন করে রেখেছেন। আগেকার দিনের মতো ব্যবহার করছেন।

অধীর কুমার বিশ্বাস বলেন, একসময় এ রকমের ধানের গোলা কৃষক ও সাধারণ পরিবারে ছিল। কিন্তু এখন আর কোথাও দেখা যায় না। ফরিদপুর জেলার মধ্যে আমার বাড়িতে একটি মাত্র ধানের গোলা আছে। এখন এর বয়স হয়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর। গোলাটিতে একশত মণেরও বেশি ধান রাখা যায়। আমার নিজের জমির যতো ধান হয়, রাখার উপযোগী করে তা এ গোলায়ই রাখি।বাপ-দাদার আমল থেকে দেখে এসেছি। অনেক যত্ন করে ব্যবহার করা হয় এবং মাঝে মাঝে সংস্কার করে পুরোনো ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছি। ধানের মৌসুমে ধান কেটে শুকিয়ে গোলায় রাখা হয়। প্রয়োজনের সময় গোলা থেকে ধান বের করে পুনরায় রোদে শুকিয়ে ভাঙানো হয়।

অধীর কুমার বলেন, আগেরকার সময় নামকরা গৃহস্থ বলতে মাঠভরা বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ আর কৃষকের গোলা ভরা ধানকেই বোঝাত। এখন আর আগের মতো কেউ এভাবে ধান রাখে না। বস্তায় করে গোডাউন অথবা ঘরের মধ্যে রেখে দেন।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে বাঁশ-কঞ্চি দিয়ে গোল আকৃতির কাঠামো তৈরি করা হয়। এঁটেল মাটির কাদা তৈরি করে ভেতরে ও বাইরে আস্তরণ লাগিয়ে উপরে টিনের চালা দিয়ে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা এই ধানের গোলা। প্রবেশপথ বেশ উপরে, যেন চোর বা ডাকাত সহজে ধান নিতে না পারে। এ ধরনের ধানের গোলায় ইঁদুর ঢুকেও ক্ষতি করতে পারে না। গোলায় শুকানো ভেজা ধানের চাল শক্ত হয়। তখনকার কৃষকদের কাছে এটিই ছিল ধান রাখার আদর্শ পদ্ধতি।

উপজেলা সদরের সদরদি গ্রামের বাসিন্দা মো. সজীব মোল্লা। তিনি ফরিদপুর সিটি পেজের মডারেটর হিসেবে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করেন। কিন্তু এর আগে কখনো তিনি ধানের গোলা দেখেননি। তিনি বলেন, আমার গ্রামের পাশেই কৃষ্ণনগর গ্রামে পুরোনো ঐতিহ্যবাহী একটি মাত্র ধানের গোলা আছে। কিন্তু এর আগে এটি সম্পর্কে জানিনি।

মধুখালী উপজেলার মেকচামী ইউনিয়নের বামুন্দী গ্রামের বাসিন্দা ও প্রবীণ শিক্ষক প্রভাষ মণ্ডল জানান, এখন আর গোলার প্রচলন বা কদর কোনোটাই নেই। এখন এটি চোখেও পড়ে না। ড্রাম কিংবা বস্তায়ই ধান রাখা হয়।

বোয়ালমারী উপজেলা সদর এলাকার বাসিন্দা, সাংস্কৃতিক কর্মী আমীর চারু, সুমন খানসহ অনেকেই জানান, এখন আর এসব চোখে পড়ে না। একেবারেই বিলুপ্তির পথে। গোলা নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় আগে দক্ষ শ্রমিক ছিল। এখন এই পেশাটিও হরিয়ে গেছে।

কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজী হাসান ফিরোজ ও সমর চক্রবর্তী বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে দেখেছি ও শুনেছি গোলায় ধান রাখা কৃষকের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু এগুলো আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে গেছে। অন্য জেলায় কিছু কিছু দেখা গেলেও আমার জানা মতে ফরিদপুরে নেই। গোলাগুলো একসময় আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য বহন করতো।

সালথা উপজেলা যদুনন্দীর গোপীনাথপুর গ্রামের নরেন্দ্র নাথ মজুমদার ও সদরপুর, নগরকান্দা, ভাঙ্গা এলাকার প্রবীণরা জানান, আগেরকার দিনে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এ ধরনের ধানের গোলা থাকত। নাতি-নাতনিদের কাছে বললে তারা এখন বিশ্বাসও করতে চায় না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধানের গোলা।বর্তমানে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও আধুনিক কালের কলের নাঙলে ওলট-পালট করে দিয়েছে গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সেসব চালচ্চিত্র। শুধু ধানের গোলা নয়, ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সভ্যতা ও সংস্কৃতি।

এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহেদুজ্জামান বলেন, কালের বিবর্তনে আজ বিলুপ্ত। আশির দশকের দিকে ওইসব ধানের গোলা কৃষক ও সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতো। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে মানুষের পারিবারিক ব্যবহার্য উপকরণে।ফলে ঐতিহ্যবাহী এসব ধানের গোলার জায়গা দখল করে নিয়েছে পাটের বস্তা। এগুলো তৈরি ঝামেলামুক্ত ও সহজে বাজারে পাওয়া যায় বলে মানুষ বাঁশের গোলার পরিবর্তে এসব আধুনিক উপকরণ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে হারিয়ে গেছে বাঁশের গোলার কদর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তালিকায় এর অবস্থান শূন্য বলে তিনি জানান।

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ে ব্রিজের ওপর হাটতে গিয়ে প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ৭:২২ এএম
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ে ব্রিজের ওপর হাটতে গিয়ে প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ে ব্রিজের ওপর হাটতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর ও তাবলীগ জামাতে চিল্লার সদস্য যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা গোলচত্বর এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম নুরুউদ্দিন (১৭)। তিনি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার কামাল হোসেনের ছেলে এবং মোহনগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের এসএসসি-২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা যায়, এস,এস,সি পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে ৪১ দিনের তাবলীগ জামাতে এক চিল্লা দিতে ঢাকা কাকরাইল থেকে ভাঙ্গায় আসেন নুরুউদ্দিন। ছয় দিন পর এক চিল্লা শেষ করে তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। মঙ্গলবার আছরের নামাজ পড়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে ভাঙ্গা গোলচত্বরে ঘুরতে আসেন তিনি।

এ সময় সন্ধ্যার দিকে ব্রিজের ওপর হাটতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ব্রিজের ওপর থেকে নিচে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৮টা দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের বলেন,
“নুরুউদ্দিন নামের এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।