খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

সদরপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের তিনদিন পরই ফের বহাল

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ৬:১৩ পিএম
সদরপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের তিনদিন পরই ফের বহাল

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কাজী বদরুত জামান ও সদস্য সচিব মো. তরিকুল ইসলাম এর সমন্বয়ে গঠিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি বহাল রাখা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে নতুন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে। এ ঘোষণায় সদরপুর বিএনপিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তবে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দফায় দফায় সিদ্ধান্ত বদল করে সর্বশেষ এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত আসছে বলে জেলা কিংবা সদরপুর উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের দ্বিধাহীন চিত্তে তা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছে জেলা ও ওই উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

জন্মলগ্ন থেকে সদরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটির সাথে বিতর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট অনুমোদন দেয় বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন সদরপুর উপজেলা, আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর এবং ভাঙ্গা পৌর কমিটির অনুমোদন দেয়। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সদরপুর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি।

জেলা বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, ওই কমিটি চারটি গঠনের প্রক্রিয়া এবং যোগ্যব্যক্তিদের মূল্যায়ন না করে ‘পকেট কমিটি’ করা হয়েছে মর্মে জেলা বিএনপির কায়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যসহ নয়জন এ অভিযোগ কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে লিখিতভাবে জানালে গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে সদরপুরসহ নব ঘোষিত চারটি কমিটির কাযক্রম স্থগিত করে কেন্দ্র। চলতি বছর ২০২৫ সালের ২০ মার্চ কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্থগিত করা চারটি কমিটির মধ্যে শুধুমাত্র সদরপুর উপজেলা কমিটির স্থগিতাদের প্রত্যাহার করেন।

এর মধ্যে গত ২ জুন এক চিঠিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে একটি চিঠি দিয়ে জানান, জেলার আওতাধীন সকল ইউনিট কমিটি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে গঠন করে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা বিএনপি’র সম্মেলন আয়োজন করতে না পারলে ভেঙ্গে দেওয়া হবে চলমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

এ প্রেক্ষাপটে গত ১৪ জুন জেলা বিএনপি আগে গঠন করা চারটি ইউনিট কমিটি বাদে জেলার বাকি ১০টি ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করে ১৬ জুন থেকে ২৫ জুনের মধ্যে কর্মী সভা করে সম্মেলন প্রস্তুত আহ্বায়ক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। নতুন চারটি কমিটি ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে বিষয়ে কেন্দ্রর সিদ্ধান্ত জানতে চায়। ওই দিন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ার চলমান অবস্থায় গত ২২ জুন ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিএনপির পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক টিম প্রধান বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ও ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান সেলিম স্বাক্ষরিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে দেওয়া চিঠিতে জানান, ‘‘ইতিপূর্বে আলফাডাঙ্গা উপজেলা, আলফাডাঙ্গা পৌর, ভাঙ্গা পৌর এবং সদস্য স্থগিত প্রত্যাহারকৃত সদরপুর উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে কর্মীসভার মাধ্যমে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনে”-এর নির্দেশ দেয়।

এ চিঠি পাওয়ার পর জেলা বিএনপি যখন ওই কমিটিগুলি বিলুপ্ত করে কর্মীসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক সেই সময় গত ২৫ জুন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ফরিদপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক কমিটি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে এক চিঠি দিয়ে জানান, ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি বহাল থাকবে। এছাড়া অন্য উপজেলার নতুন কমিটি গঠন করতে হবে।

ওই চিঠিতে রুহুল কবির রিজভী জানান, ২৫ জুন বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ফরিদপুর বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

রুহুল কবিরের এ নির্দেশনামূলক চিঠিটি শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে জেলা ও সদরপুর উপজেলা বিএনপির হাতে এসে পৌঁছায়।

সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুত জামান বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এ নির্দেশনামূলক চিঠিটি গত শুক্রবার রাতে আমরা পেয়েছি। আমাদের কমিটি ভাঙ্গা হচ্ছে না এবং আমরা যথারীতি বহাল আছি। এটি আমাদের কাছে একটি আনন্দের সংবাদ। ঘোষিত চারটি কমিটির মধ্যে সদরপুর বহাল রেখে অন্য তিনটি ভেঙ্গে দেওয়ায় ‘এক যাত্রায় দুই ফল হল কেন’-জানতে চাইলে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুত জামান বলেন, কেন্দ্র যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সাথে আমাদের দ্বিমত পোষন করার সুযোগ নেই। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নেব।

সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (২৬) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় জড়িত অভিযোগে জাফর মোল্যা (৪২) নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের দেওয়া এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জাফর মোল্যাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকার সাভারের পশ্চিম ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাফর মোল্যা ফরিদপুরের কোতয়ালী থানাধীন তেঁতুলিয়া এলাকার মৃত কাদের মোল্যার ছেলে।

এদিকে, গত ১৩ ডিসেম্বর এ হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ফিরোজ মাতুব্বর নামের অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব-১০।

র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জাফর মোল্যাকে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাছ ব্যবসায়ী উৎপল হত্যায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে তার নাম এসেছিল। জাফরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।’

প্রসঙ্গ, গত ৫ ডিসেম্বর ভোর রাতে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া গ্রামের কালীতলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী উৎপল সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তার কাছে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হত্যার একদিন পর উৎপলের বাবা অজয় কুমার সরকার বাদী হয়ে সালথা থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য
কচুলতায় এসেছে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনের বার্তা। দেড়শ বিঘা দিগন্তজুড়ে কচুর লতার সফল চাষ মৌলভীবাজার জেলায় সৃষ্টি করেছে নতুন সম্ভাবনা। তুলনামূলক কম খরচ, কম পরিশ্রম এবং বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুর লতা চাষে এক ধরনের কৃষি বিপ্লব দেখা যাচ্ছে এ জেলায়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা প্রচলিত অনেক ফসলের তুলনায় বেশি আয়ের আশায় কচুর লতি চাষে ঝুঁকছেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মৌলভীবাজার থেকে প্রতিদিনই লতি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা এবং কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর গ্রামে।

গিয়াসনগর এলাকায় দেখা গেছে, পুরো গ্রামজুড়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে লতি চাষ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কয়েক বছর আগেও দুই-তিন বিঘা জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে লতি চাষ হলেও বর্তমানে তা ব্যাপক বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। শুধু গিয়াসনগর এলাকাতেই মৌসুমে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে লতির চাষ হচ্ছে।

গিয়াসনগর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ২১ শতাংশ জমিতে লতিরাজ বারি কচু–১ রোপণ করেছেন। প্রায় এক মাস ধরে তিনি লতি তুলছেন। প্রতি সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ কেজি লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মৌসুম যত এগোচ্ছে, দামও বাড়ছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি এক কিয়ার জমিতে লতি চাষ করেছেন এবং আরও জমিতে চারা রোপণের পরিকল্পনা করছেন। কৃষক মিলন, কাজিম ও আফাই মিয়াসহ অনেকেই বড় পরিসরে লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলায় কচুর লতি চাষে সফল হয়েছেন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে তার উদ্যোগে লতি চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার দেখাদেখি স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা গ্রামের এংরাজ মিয়া, রোকন মিয়া, আব্দুল মজিদ ও ইউনুস মিয়া বাণিজ্যিকভাবে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরোজ কান্তি রায় বলেন, গিয়াসনগর গ্রামে লতি এখন একটি সমৃদ্ধ ফসলে পরিণত হয়েছে। চার-পাঁচ বছর আগে যেখানে দুই-তিন বিঘা জমিতে লতি চাষ হতো, এখন সেখানে মৌসুমে ১৫০ বিঘা জমিতে লতির আবাদ হচ্ছে। সারা বছর ৫০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে লতি চাষ হয়। লতি অত্যন্ত লাভজনক ফসল এবং এতে রোগবালাই তুলনামূলক কম। গ্রামটি যেন এখন ‘লতার গ্রাম’ হয়ে উঠছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, কচুর লতি এ অঞ্চলে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও লাভজনক ফসল। অল্প খরচে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। লতি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।

সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুরের সালথায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে খোরশেদ খান (৪৫) নামে এক কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী কৃষকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোরশেদ খান গট্টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ওই গ্রামের উচমান খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে যায় একদল পুলিশ। এ সময় ওই আসামীকে ধরতে বাধা দেন কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে খোরশেদ খান বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।