খুঁজুন
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে এ.কে. আজাদের গাড়ীবহরে হামলার অভিযোগ 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
ফরিদপুরে এ.কে. আজাদের গাড়ীবহরে হামলার অভিযোগ 

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ গণসংযোগকালে স্থানীয় যুবদল বিক্ষোভ করে ও নায়াব ইউসুফের পক্ষে স্লোগান দিয়ে গাড়ি বহরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় এ.কে. আজাদের গাড়ি বহরের মধ্যে দুটি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

তবে পুলিশের হস্তক্ষেপের কারণে বড় কোন অঘটন ঘটা ছাড়াই এ.কে আজাদ তার বহর নিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।

গণ সংযোগের উদ্দেশ্যে রবিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণ নগর ইউনিয়নের পমানন্দপুর বাজার এলাকায়।

বিকেল ৪টার দিকে এ কে আজাদ পরমানন্দপুর বাজারে যান। প্রথমে তিনি পরমানন্দপুর বাজার সংলগ্ন জামে মসজিতে আসরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বাজার এলাকায় এসে গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতেৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। মিছিলকারীরা এ. কে. আজাদকে উদ্দেশ্য করে শ্লোগান দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মিছিলকারীরা ‘একশন একশন ডাইরেক্ট একশন’ শ্লোগান দিয়ে এ.কে আজাদকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় মিছিলকারীদের নায়াবা ইউসুফের পক্ষে শ্লোগান দিতে দেখা যায়। নায়াব কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির একাংশের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী।

ওই সময় এ. কে. আজাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী এ.কে আজাদকে ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে যুবদলের নেতাকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় মিছিলকারীদের সাথে পুলিশের তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে এ.কে আজাদ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে পরমানন্দপুর মাঠে অবস্থান নেওয়া এ.কে আজাদের গাড়ি বহর পুলিশ প্রহরায় একে একে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে শেষের দুটি গাড়িতে আখ দিয়ে আঘাত করে কাচ ভাংচুর করে যুবদলের নেতাকর্মীরা।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলার ইউনিয়নে যুবদলের কোন কমিটি নেই। পরমানন্দপুরে আমার কোন লোক এ ঘটনা ঘটায়নি।

ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ.কে আজাদ বলেন, রাজনীতির এ সহিংসতার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। গত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকও এ জাতীয় আচরণ করেননি। নায়াব ইউসুফের কাছ থেকে এ জাতীয় আচরণ এলাকাবাসী প্রত্যাশা করেনি। এ সব ঘটনা রাজনৈতিক সংকটকে ঘণিভূত করবে।

এ.কে আজাদ বলেন, তিনি এ ঘটনার জন্য মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ বলেন, আমি এই সবের মধ্যে নাই। আমি আমার নেতাকর্মীদের দৃঢ়তার সাথে বলেছি, এ জাতীয় কোন কাজ না করতে।

নায়াব ইউসুফ বলেন, এ.কে আজাদ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন তার কোন ভিত্তি নেই, তিনি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এসব কথা বলছেন যাতে আমার ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, তার বহরের সাথে আওয়ামী লীগ পদধারী নেতারা থাকেন। এদের দেখে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, পরমানন্দপুরে আজ ছিল হাঁটের দিন। সেখানে এ.কে আজাদ গণ সংযোগ করতে গিয়েছিলেন। অপরদিকে যুবদলের লোকজনও গণসংযোগ করছিল। এসময় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থায় চলে এলে এক সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ওসি বলেন, এসময় পুলিশ অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এ.কে আজাদের গাড়ি বহর নির্বিঘ্নে পার করিয়ে দেয়।

দুটি গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ জানায়, একটি এ.কে আজাদের বহরের এবং অন্যটি আইনশৃঙ্খলাবাহীনীর। এঘটনায় অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন পুলিশ।

সালথা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে জামায়াতের সংবর্ধনা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৩৮ পিএম
সালথা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে জামায়াতের সংবর্ধনা

ফরিদপুরের সালথা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনে দল মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা সোহরাব হোসেনের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরকান্দা উপজেলার তালমা বাজারে মাওলানা সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সালথা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সকল সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা সোহরাব হোসেন নবনির্বাচিত সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানান এবং সমাজ উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ আশা প্রকাশ করেন, নতুন কমিটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সালথার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরাও জামায়াতের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সালথা উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল ফজল মুরাদের সভাপতিত্বে এবং সালথা উপজেলা সেক্রেটারি মো. তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন, মো. রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো. মোশারফ মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক মো. লাভলু মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকাশ সাহা, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক নিজাম তালুকদার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. পারভেজ মিয়া, এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জাকির হোসেন, এমকিউ হোসাইন বুলবুল, মো শরিফুল হাসান, জামায়াতের নগরকান্দা উপজেলা সেক্রেটারি বিএম মাওলানা ফজলুর রহমান, তালমা ইউনিয়ন সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন, সালথা উপজেলা জামায়াত নেতা মো. ওয়ালিউজ্জামান, মো. লিয়াকত হোসেন মিয়া সহ সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।

ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৮ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:০০ পিএম
ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৮ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

হঠাৎ ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুরে ছিনতাই বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় ৮ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারীদের শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন মহল্লায় এ অভিযান চালায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারীরা হলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরের মালাঙ্গা এলাকার সমর বসুর ছেলে সাগর বসু (২৫), শহরের লালন নগর বস্তি এলাকার হান্নান বেপারীর ছেলে তাকবির বেপারী (২০), একই বস্তি এলাকার লুৎফর শেখের ছেলে সোহান শেখ (২২) ও ইয়ামিন শেখ (১৯), শহরের লক্ষীপুর এলাকার জয়নাল আবেদীন তারার ছেলে মো. রাব্বি (৩০), যশোরের অভয়নগর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার ইমান আলীর ছেলে মুকুল শেখ (৩৬), হাবেলী গোপালপুর এলাকার মো. রাকিবের ছেলে সোহেল মিয়া (৩৭) এবং ছাপরা মসজিদ এলাকার বাবুল হকের ছেলে মো. রফিক (১৯)।

এছাড়া অন্য একটি মামলায় মীর শাখাওয়াত হোসেন নামের অপর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন।

তিনি ফরিদপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৮ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছিনতাই নির্মূলে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

ফরিদপুরে কীর্তনগান শুনে বাড়ি ফেরা হলো না দুই ব্যবসায়ীর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ এএম
ফরিদপুরে কীর্তনগান শুনে বাড়ি ফেরা হলো না দুই ব্যবসায়ীর

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কীর্তন গান শুনে অটোভ্যানে যোগে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক চাপায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখড়দি মাদ্রাসার সামনে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার সাতৈর ও শেলাহাটি এলাকার বাসিন্দা ও সাতৈর বাজারের ব্যবসায়ী মধু সাহা (৫০) ও নারায়ণ সাহা (৫৫)।

আহতরা হলেন, সঞ্জয় বণিক, নেপাল সাহা, সুজিত সাহা, টুকটুকি ও ভ্যানচালক সুমন। আহতদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকজন মিলে কাদির এলাকা থেকে নাম কীর্তন গান শুনে অটোভ্যানে করে সাত জন মিলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখড়দি মাদ্রাসার সামনে ফরিদপুরগামী একটি বেপরোয়া গতিতে চলা একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোভ্যানকে চাপা দিলে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে দুই ব্যবসায়ী নিহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, কাদিরদি এলাকা থেকে কীর্তন গান শুনে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হন। আহত হয়েছেন পাঁচজন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল আমিন বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।