খুঁজুন
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭ পৌষ, ১৪৩২

পৃথিবীতে এত ছল, তবুও ফিরে এলে না

প্রবুদ্ধসুন্দর কর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:২৮ এএম
পৃথিবীতে এত ছল, তবুও ফিরে এলে না

আপনার সাথে পরিচয় হওয়াটা অনেক ভালো ছিল। তারপর আপনার সাথে কথা বলতে বলতে খুব ভালো একটা বন্ধন তৈরি হল, আমাদের মধ্যে খুব ভালো একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠল, দিনগুলো ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা তখনই শুরু হল যখন আপনার জন্য আমার অনুভূতি তৈরি হতে শুরু করল এবং আমি তা প্রকাশ করতে শুরু করলাম, ভালবাসা কোথাও সুন্দর, কিন্তু অন্যদিকে ঠিক তেমনি ভয়ঙ্কর; আর অন্যদিকে, ভালবাসা তখনই সুন্দর যখন তা প্রকাশ করা হয় না।

কিন্তু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমি আপনার সাথে দেখা করার জন্য মরিয়া ছিলাম, আপনি আমাকে দেখা করার সুযোগ দিলেন। তারপর হঠাৎ করে এসে আমাকে সারপ্রাইজ দিলেন, তারপর আপনার সাথে যতবারই দেখা হয়েছে, সেগুলো ছিল জীবনের সেরা দিনগুলো, ধন্যবাদ আমি নামক বেহায়ার সাথে দেখা করার জন্য। আপনি আমার সাথে যা করেছেন, আপনি কি জানেন? জানেন না।

আমি বলেছি,

আমি নিজেই সুন্দর নই, লম্বা নই, আমার নিখুঁত ফিগার নেই, আমি রূপবতী, গুণবতী, ভাগ্যবতী কিছুই নই, আপনার মতো আমি কোনো ধনী ছেলেমেয়েও নই। তবুও আপনার মতো একজন নিখুঁত মানুষকে ভালোবাসার দুঃসাহস আমি করেছি।

আমি যখন আপনাকে ভালোবাসি বলে প্রকাশ করতে শুরু করলাম, ঠিক তখনই আপনি আমাকে ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিলেন যে ভালোবাসা জিনিসটা আমার জন্য নয়। কিন্তু আমি কী করব, আপনি বললেন, আপনাকে ভালোবেসে আমি পাগলের মতো, পথভ্রষ্ট কুকুরের মতো আপনার পেছনে ছুটে বেড়াতাম। আপনাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য অনবরত আকুল হতাম, ভালোবাসার প্রতি আমার কোনো আগ্রহ ছিল না, আর ভালোবাসার ওপর কোনো বিশ্বাসও ছিল না। কিন্তু আপনাকে পাওয়ার ভালোবাসা আমি সামলাতে পারিনি, আপনাকে!

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলা শাখার নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের জন্য কার্যকর এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে জেলার সদ্য নতুন কমিটির আহ্বায়ক কাজী রিয়াজুল ইসলাম (রিয়াজ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ, মুখ্য সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

নবগঠিত কমিটিতে ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কাজী রিয়াজুল ইসলাম (রিয়াজ), সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এনামুল চৌধুরী, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান সজল এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন। জেলা কমিটির অন্যান্য পদে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে মোট ২১৮ সদস্যের সমন্বয়ে এই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে তারা জেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও সুসংহত করবেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে আরও গতিশীল করার জন্য কাজ করবেন।

এতে ফরিদপুরে শিক্ষার্থী আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্যক্রম সম্প্রসারণে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফরিদপুর জেলার সদ্য নতুন কমিটির আহ্বায়ক কাজী রিয়াজুল ইসলাম (রিয়াজ) এক প্রতিক্রিয়ায় ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে জানান, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্ম অনেক শহীদের রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে সৃষ্টি। এই প্লাটফর্মের দ্বায়বদ্ধতা অনেক। কমিটিতে যারা আসছে তারা ইনশাআল্লাহ সুন্দর এবং জবাবদিহিমূলক এক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাবে। এই প্লাটফর্ম অরাজনৈতিক, কিন্ত বৈপ্লবিক ঘরোনার কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখবে। কমিটিতে যাদের নাম আসছে বা আসে নাই তাদের সকলের সহযোগিতা চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সময়ে দেখা গেছে অনেকে কমিটিতে না থেকেও এই প্লাটফর্মের গঠনমূলক কাজে অনেক আন্দোলনকারী সহযোগিতা করেছে। এবারও বিশ্বাস রাখি যারা কমিটিতে নিজ আগ্রহে আসেন নাই, তারাও সকল প্রাসঙ্গিক কাজে সহযোগিতা করবেন। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।’

ফরিদপুরের গ্রামের শীতের সকালে আগুন পোহানো মানুষের গল্প

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৪০ এএম
ফরিদপুরের গ্রামের শীতের সকালে আগুন পোহানো মানুষের গল্প

ভোরের ফরিদপুর। চারদিকে কুয়াশার ঘন পর্দা, সূর্যের আলো তখনো মাঠ ছুঁয়ে দেখেনি। গ্রামের কাঁচা রাস্তায় হাঁটলে মনে হয়—সবকিছু থমকে আছে। অথচ সেই নীরবতার মাঝেই জীবনের এক অন্য দৃশ্য দেখা যায়। বাঁশঝাড়ের পাশে, খালের ধারে কিংবা বাড়ির উঠোনে জ্বলে উঠেছে ছোট ছোট আগুন। আগুন ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ—শীতের সকালে একটু উষ্ণতার আশায়।

চরভদ্রাসন উপজেলার এক গ্রামে দেখা গেল কয়েকজন দিনমজুর ভোরের কুয়াশার মধ্যে আগুন পোহাচ্ছেন। খড়, শুকনো পাতা আর ভাঙা বাঁশ জ্বালিয়ে তারা হাত ছেঁকে নিচ্ছেন। এসময় সেলিম শেখ নামে একজন বললেন, “ভোরে কাজের জন্য বের হই। কিন্তু শীত না কাটলে শরীর চলে না।” আগুনের তাপে হাত গরম হলেও চোখেমুখে লুকানো ক্লান্তি স্পষ্ট।

গ্রামের প্রবীণদের জন্য শীত আরও কঠিন। লাঠি হাতে বসে থাকা করিম মাতুব্বর নামে এক বৃদ্ধ আগুনের পাশে চুপচাপ বসে আছেন। তিনি বলেন, “আগে শরীর ভালো ছিল। এখন শীতে হাঁটতেই কষ্ট হয়।” পুরোনো শাল আর মলিন লুঙ্গি তার শীত ঠেকানোর শেষ ভরসা। আগুন নিভে গেলে আবার কাঁপুনি শুরু হবে—এটা তিনি জানেন।

একপাশে শিশুদের দৃশ্য আলাদা। স্কুলে যাওয়ার আগে তারা মায়ের পাশে আগুনের কাছে দাঁড়িয়ে আছে। ছোট হাতগুলো আগুনের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে তারা হাসছে, যেন আগুনটাই তাদের সকালের খেলার সঙ্গী। এক মা বললেন, “শীতের সকালে বাচ্চাদের ঘুম থেকে তুলতেই কষ্ট হয়। ঠান্ডায় অসুখের ভয় থাকে।” তবুও আগুনের পাশে দাঁড়ানো এই মুহূর্তগুলোতেই পরিবারগুলো একটু স্বস্তি খোঁজে।

কৃষকের উঠোনেও আগুন জ্বলে। মাঠে যাওয়ার আগে তারা শরীর গরম করেন। কুয়াশার কারণে অনেক সময় কাজ দেরিতে শুরু হয়। ফলে দৈনিক আয়েও প্রভাব পড়ে। তবুও জীবনের তাগিদে মাঠে নামতেই হয়। শীত এখানে শুধু আবহাওয়া নয়, এটি জীবিকার সঙ্গেও লড়াই।

ফরিদপুরের গ্রামে এই আগুন পোহানো দৃশ্য নতুন নয়। বছরের পর বছর ধরে শীত এলেই এমন ছবি দেখা যায়। আগুন নিভে যায়, মানুষ কাজে চলে যায়, কুয়াশা ধীরে ধীরে সরে। কিন্তু থেকে যায় সেই লড়াইয়ের গল্প—যেখানে সামান্য আগুনই হয়ে ওঠে পুরো সকালের সাহস।

এই আগুন কোনো বিলাসিতা নয়, কোনো উৎসবও নয়। এটি ফরিদপুরের গ্রামের মানুষের টিকে থাকার প্রতীক। শীতের সকালে আগুন পোহানো মানুষগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়—কঠিন সময়েও মানুষ উষ্ণতা খোঁজে, আশায় বাঁচে, আর প্রতিদিন নতুন করে জীবন শুরু করে।

শীতকালে ঠোঁটের যত্ন: রুক্ষতার বিরুদ্ধে কোমল সুরক্ষা

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৭ এএম
শীতকালে ঠোঁটের যত্ন: রুক্ষতার বিরুদ্ধে কোমল সুরক্ষা

শীত এলেই প্রকৃতি যেমন বদলে যায়, তেমনি আমাদের ত্বকেও তার ছাপ পড়ে। কনকনে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস আর কম আর্দ্রতার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগে ঠোঁট। ফেটে যাওয়া, কালচে ভাব, জ্বালা—এসব সমস্যায় শীতকাল অনেকের জন্যই অস্বস্তির সময় হয়ে ওঠে। অথচ সামান্য যত্ন আর সচেতনতা থাকলেই ঠোঁট রাখা যায় নরম, গোলাপি ও সুস্থ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ঠোঁটের ত্বক অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ঠোঁটে প্রাকৃতিক তেলগ্রন্থি না থাকায় এটি দ্রুত শুষ্ক হয়। তাই প্রথম ও প্রধান শর্ত—নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং। বাইরে যাওয়ার আগে ও ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো মানের লিপ বাম ব্যবহার করলে ঠোঁটে আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়। ভ্যাসলিন, শিয়া বাটার, নারিকেল তেল বা মধুসমৃদ্ধ লিপ বাম শীতে বেশ কার্যকর।

অনেকের অভ্যাস আছে ঠোঁট ভেজাতে জিভ ব্যবহার করার। এতে সাময়িক আরাম মিললেও দীর্ঘমেয়াদে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। কারণ লালার এনজাইম ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। তাই এই অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো।

শীতকালে পানি পান কমে যায়—এটাই বড় ভুল। শরীর হাইড্রেটেড না থাকলে ঠোঁটও শুষ্ক হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করার পাশাপাশি ফল ও শাকসবজি খেলে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়, যা ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ভিটামিন বি ও ই সমৃদ্ধ খাবার ঠোঁটের জন্য উপকারী।

সপ্তাহে এক-দু’দিন হালকা স্ক্রাবিং করলে ঠোঁটের মৃত কোষ দূর হয়। ঘরে বসেই চিনি ও মধু মিশিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করা যায়। তবে অতিরিক্ত ঘষাঘষি করা যাবে না—এতে ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। ম্যাট লিপস্টিক শীতে ঠোঁট আরও শুষ্ক করে তোলে। তাই ময়েশ্চারাইজিং লিপস্টিক বা লিপ গ্লস ব্যবহার করাই ভালো। বাইরে বের হলে রোদ থেকেও ঠোঁট রক্ষায় এসপিএফযুক্ত লিপ বাম উপকারী।

সবশেষে বলা যায়, শীতকালে ঠোঁটের যত্ন মানেই বাড়তি সময় বা খরচ নয়—বরং নিয়মিত অভ্যাস আর সচেতনতা। একটু যত্নেই শীতের রুক্ষতা জয় করে ঠোঁট রাখা যায় নরম, সুন্দর ও প্রাণবন্ত।