খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

আত্মবিশ্বাসী কেয়া পায়েল

এমদাদুল হক মিলটন
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:১৯ পিএম
আত্মবিশ্বাসী কেয়া পায়েল

অভিনয় নিয়ে কোনো স্বপ্নই ছিল না তাঁর। সেই অভিনয়েই নিজের অবস্থান পাকা করেছেন।  নির্মাতাদের আস্থার নাম টোল পরা গালে হাসি ছড়ানো মেয়েটির নাম। বলছি অভিনেত্রী ও মডেল কেয়া পায়েলের কথা। তিনি এখন যেমন ব্যস্ত অভিনয়ে, তেমনি সময় দিচ্ছেন নিজের স্বপ্নের ব্যবসায়ও। 

সম্প্রতি এই অভিনেত্রী নেপালে একটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন। সঙ্গে ছিলেন সহশিল্পী জিয়াউল হক পলাশ। এটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান অংশু। নেপাল ভ্রমণের কিছু ঝলক ফেসবুকে শেয়ার করলেও কেয়া জানান, এগুলো সব শুটিংয়ের সময়ের ছবি, পরে পোস্ট করেছেন বলে অনেকেই ভেবে বসেছেন তিনি এখন নেপালেই আছেন। শুটিংয়ের ফাঁকে সৌন্দর্য কিছুটা উপভোগ করলেও মূলত ব্যস্ত ছিলেন ক্যামেরার সামনে।

সম্প্রতি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রেও গিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কানাডায় গিয়েছিলাম একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য। এর আগে নিউইয়র্কও যাওয়া হয়েছে। কাজের পাশাপাশি কানাডাতেও ঘোরা হয়েছে কিছুটা। সুন্দর জায়গায় গেলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। এই ভ্রমণ শেষে মনে হলো, নিউইয়র্ক এক শহরে হাজার শহরের গল্প ধরে রেখেছে। কনি আইল্যান্ডের নির্ভার আনন্দ, ম্যানহাটানের ব্যস্ততা আর নায়াগ্রার অপরূপ সৌন্দর্য সব মিলিয়ে যেন অন্যরকম ভালোলাগা ভরিয়ে দেয় আমাকে। শুটিংয়ের ব্যস্ততা, নানামুখী কাজের দৌড়ের মাঝেও মাঝেমধ্যে চোখ বন্ধ করলেই কনি আইল্যান্ডের ঢেউ আর ম্যানহাটানের আলো আমার মনে ভেসে উঠবে মনে করিয়ে দেয়, পৃথিবী আসলেই কত সুন্দর আর বৈচিত্র্যময়।’

বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীর অনেক দেশেই আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। প্রতিবারই নিজেকে নতুনরূপে আবিষ্কার করেছি। অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ হয়েছে। তবে বিদেশে গেলে মাঝেমধ্যে দম বন্ধ লাগে, দেশে ফিরলেই শান্তি পাই।” কেয়া পায়েলের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ফরিদপুর, যেখানে তাঁর নানাবাড়ি। সেই সঙ্গে কক্সবাজার, সিলেট, বান্দরবান, রাজশাহীর কথাও বলেন পছন্দের জায়গা হিসেবে। অভিনয়ের পাশাপাশি গত এক বছর ধরে যুক্ত হয়েছেন পার্লার ব্যবসার সঙ্গে। অনেক তারকা যেখানে অন্যদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যবসায় নেমেছেন, সেখানে নিজের স্বপ্ন থেকেই এটি শুরু করেছেন। নাটকের কাজ নিয়েও দারুণ ব্যস্ত তিনি। ঈদের পর কিছুটা কাজ কমলেও এখন আবার শুটিংয়ের চাপ বাড়ছে। ইউটিউব চ্যানেলগুলোর মাধ্যমেও নাটক প্রচার পাচ্ছে নতুন গতি। ‘অনেক দিন পরে’ নামে এক নাটকে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন কেয়া, যা ১৫ মিলিয়নের বেশি ভিউ পেয়েছে।

সম্প্রতি তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে করা ‘তুমি আমার বউ’ নাটকটিও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। বেশ বিরতির পর কণ্ঠশিল্পী ইমরান মাহমুদুলের সঙ্গে ‘পারব না তোমাকে ছাড়তে’ গানের ভিডিওতে অন্যরূপে ধরা দিয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ভক্ত-দর্শকের প্রশংসা। ভক্তদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন নিয়মিত। ফেসবুকে গ্রুপ, লাইভে এসে, কিংবা আপডেট দিয়ে রাখেন তাদের সঙ্গে সম্পর্কের সেতু। কেয়া পায়েলের কথায়, “দিন শেষে তারাই আমাদের সব।”

দেখতে দেখতে কেয়া পায়েলের অভিনয় ক্যারিয়ারের সাত বছর হতে চলছে। অভিনয় জীবনের পথচলা নিয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘সাত বছরের ক্যারিয়ার। কখন যে এতগুলো বছর পার হয়ে গেল টেরই পাইনি। দর্শকের পছন্দ-অপছন্দের কথা মাথায় রেখেই অভিনয় করছি। কোনো কাজ চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও অভিনয় থেকে পিছিয়ে আসিনি। আমি মনে করি, অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে ভাঙতে পারলেই প্রকৃত শিল্পী হয়ে ওঠা যায়। কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত শিখছি।’

চলতি বছরের শুরুর দিকে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ৮ম সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে শিক্ষাজীবনের পাঠ চুকালেন কেয়া পায়েল। লেখাপড়ার চাপ আপাতত নেই। যে কারণে বছরের বাকি সময় ভালো কিছু কাজ উপহার দিতে চান দর্শককে। অভিনয়, ব্যবসা, পরিবার আর নিজের ভালো লাগাগুলোকে সুন্দরভাবে ভারসাম্য করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। নিরন্তর নিজের স্বপ্নের পথে…।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।