খুঁজুন
বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৮ শ্রাবণ, ১৪৩২

আমি বেঁচে থাকতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা দক্ষিণে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেব না: ইশরাক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৬ পিএম
আমি বেঁচে থাকতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা দক্ষিণে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেব না: ইশরাক

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিও এমন।

তবে বিএনপি চায়, আগে জাতীয় নির্বাচন। তারপরই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন।

 

এদিকে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এছাড়া আগামী জুনের মধ্যে দেশের সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব বলে জানিয়েছে তারা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক রিপোর্টে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।

এবার এ বিষয় নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ঘোষণা দেন, তিনি বেঁচে থাকতে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।

তার দৃষ্টিতে, মার্কাবিহীন এ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।

ইশরাক হোসেনের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনা থাকতে পারে। হতে পারে এর মাধ্যমে ছোট দল, নতুন দল তাদের পাল্লা ভারী করার একটা সুপ্ত প্রয়াস চালাবে।

অন্য কোনো পক্ষেরও এজেন্ডা থাকতে পারে। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে মার্কাবিহীন এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উথান ঘটবে। সেই সংক্রান্ত আলামত ও কিছু আনাগোনা শুনতে পাচ্ছি।

আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছেই এ ব্যপারে। এর বাইরে ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী হিসেবে অথবা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে অথবা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে, যেভাবেই বিবেচনা করা হোক আমাকে।

বই পড়তে শেখার আগে ঢাকার রাজনীতি শিখতে শুরু করেছি। জন্ম থেকে এগুলো দেখছি, বিদেশে কেবল উচ্চশিক্ষার জন্যে কয়েক বছর কাটিয়েছি। ঢাকার অলি গলির রাজনীতি কীভাবে হয় এবং হয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময় তা নতুন করে বয়ান দেওয়ার দরকার নেই। ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে একটি চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে।

হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কেমনে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে ওইটা আমাদের মুখস্ত। জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার-ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে। এ সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নেই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।

বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৯ পিএম
বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন

ফরিদপুরে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্টারগার্ডেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রাইভেট স্কুল সমন্বয় পরিষদ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ‌কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শতাধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্টারগার্ডেন স্কুলের কয়েকশ শিক্ষকরা ঘন্ট্যাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।

ফরিদপুর প্রাইভেট স্কুল সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম অহিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অপরেশ রায় অপুর সঞ্চালনায় কর্মসূচির শুরুতেই উত্তরা ‌মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের ‌রুহের মাগফেরাত কামনায় ‌দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি ‌মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান মোল্লা ‌প্রমূখ। ‌

‌বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও‌ কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলোর ‌শিক্ষার্থীদের ‌বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বৃত্তি পরীক্ষা চালু থাকবে অন্যদিকে ‌বেসরকারি বিদ্যালয় ‌‌ এবং কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা থেকে ‌বঞ্চিত হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। ‌

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিশুর ‌শিক্ষার অধিকার আছে, ‌বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার আছে। অথচ শুধুমাত্র ‌সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ থেকে বঞ্চিত রাখা হবে কেন? ‌

বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৫ পিএম
বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত মর্ডান ল্যাবরেটরীর কিডনির ওপরে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে বিপাকে ফেলেছে একটি শিশুর পরিবারকে। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন লোকজন বলছে খারাপ এবং নষ্ট মেশিন দিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে ল্যাবরেটরিটি পরিচালনা করা হচ্ছে। যার কারণে ভুয়া রিপোর্ট করে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের জাহিদুল বেগের আড়াই বছরের ছেলে জিহাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসে ৫ টাকার টিকিট কেটে হাসপাতালে কর্মরত ডা. মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনকে দেখান। তিনি দেখে প্রসাব ও কিডনি পরীক্ষা দেন। জাহিদুল বেগ তার বাচ্চাকে নিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করতে দেন। মর্ডান ল্যাবরেটরির লোকজন পরীক্ষার কাগজে লেখে তার কিডনি ড্যামেজ(নষ্ট) হয়ে গেছে। পরে ওই রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার দ্রুত ফরিদপুর নিয়ে যেতে বলেন। তারা ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে শিশুটিকে ডা. এসি পালকে দেখান। তিনি নতুন করে পরীক্ষা দেন। ওই পরীক্ষাগুলো ফরিদপুরে অবস্থিত ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতলে পরীক্ষা করেন। সেখানে সকল রিপোর্টগুলোই ভালো আসে। প্রসাবে সামান্য একটু সমস্যা পায়। যা ওষুধে ঠিক হয়ে যাবে বলে ডাক্তার জানান।

এ ব্যাপারে বুধবার (২৩ জুলাই) ওই শিশু জিহাদের দাদি জবেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বোয়ালমারী হাসপাতালের সামনে মর্ডান ল্যাবরেটরী থেকে পরীক্ষা করানোর পর তাদের রিপোর্টে লেখা হয়েছে শিশুটির কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। পরে সেই রিপোর্ট হাসপাতালে গিয়ে ডা. মফিজ উদ্দিনকে দেখালে তিনি রিপোর্ট অনুযায়ী বলেন বাচ্চার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে তাকে দ্রুত ফরিদপুরে নিয়ে যান। এ কথা শুনে পরিবারের সকলের কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে নতুন করে রিপোর্ট করানো হয়। সেখানে রিপোর্টে আসছে কিডনিতে কোন সমস্যা নেই প্রসাবে একটু সমস্যা আছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলানো ঠিক না।

জানতে চাইলে বোয়ালমারী মর্ডান ল্যাবরেটরির মালিক জিয়া বলেন, রিপোর্ট ভূয়া না। রিপোর্টে কমবেশি হতে পারে। আমি আলফাডাঙ্গায় আছি ফ্রি হয়ে পরে কল দিব বলে লাইনটি কেটে দেন।

বোয়ালমারী হাসপাতালের কর্মরত ডা. মফিজ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার মান যে বিষয়টা এটা আমরা সব সময় ভালো চাই তাহলে নির্ভুল চিকিৎসা দিতে সমস্যা হয় না। আর যদি রিপোর্ট ভালো না হয় ওই রিপোর্টের ওপরেই আমাদের ডিসিশন নিতে হয়। আমরা চাই নিয়ম মেনে সঠিক রিপোর্ট দিক সকলে। যেহেতু রোগীর ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব আসে সেই জন্য ফরিদপুর এসি পাল স্যারের কাছে পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদ বলেন, একই দিনে দুটি রিপোর্ট করা হয়েছে বোয়ালমারীর মর্ডান ল্যাবরেটরির রিপোর্টে আসছে ২.৩৫ আর ফরিদপুরের রিপোর্ট আসছে ০৩। একই তারিখে রিপোর্ট এত পার্থক্য হওয়া উচিত না। বোয়ালমারী ক্লিনিকদের দেখভাল করা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের দেখা উচিত।

সদরপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০১ পিএম
সদরপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মজুমদার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু আব্দুল্লাহ মল্লিক (৮) ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের বিলভড়া গ্রামের মাসুদ মল্লিকের ছেলে। আব্দুল্লাহ স্থানীয় মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া নূরানী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশু আব্দুল্লাহ বুধবার সকাল ৮টার দিকে স্কুলে যেতে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাস্তা পারাপারের সময় কৃষ্ণপুর-সদরপুর গামি একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক তাকে চাপা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর অবস্থায় আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৌরভ চক্রবর্তী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকদেব রায় বলেন, খবর পেয়ে থানা–পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল গেছে। কিন্তু নিহত শিশুদের পরিবার এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে রাজি হয়নি। জেলা প্রশাসক বরাবর পরিবারের আবেদন অনুযায়ী মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।