খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

তারেক রহমানের প্রতি এক নিঃস্বার্থ বিএনপি কর্মীর খোলা চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
তারেক রহমানের প্রতি এক নিঃস্বার্থ বিএনপি কর্মীর খোলা চিঠি

প্রিয় তারেক রহমান সাহেব,

আসসালামু আলাইকুম।

আমি একজন ছোট কর্মী, একজন সাধারণ বিএনপি সমর্থক, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি—আপনার আদর্শ, আপনার নীতি, আপনার নেতৃত্বই আজ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আশার আলো। আপনার ন্যায়ভিত্তিক চিন্তাভাবনা, মানবিক হৃদয় এবং অসীম ধৈর্য আমাদের কোটি মানুষের প্রেরণা।

কিন্তু আজ বুকভরা কষ্ট নিয়ে কিছু কথা আপনাকে জানাতে চাই। আমাদের বিএনপি—যে দলটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ন্যায়, আদর্শ ও গণতন্ত্রের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল—আজ কিছু কিছু অন্ধকার ও অশুভ শক্তির দ্বারা কলুষিত হচ্ছে। দলে এমন কিছু লোক জায়গা করে নিয়েছে যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি ও ব্যক্তিগত স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও ব্যবহার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এরা নিজেদের নেতা বলে দাবি করে, অথচ দলের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

জননেতা তারেক রহমান সাহেব,
আপনি জানেন, আপনি একা এই বিশাল দল এবং দেশের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে পথ চলছেন। এই দীর্ঘ ও কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হলে আপনার পাশে চাই সততা, চরিত্রবান নেতৃত্ব এবং ত্যাগী মানুষদের। দলে থাকা এই সন্ত্রাসী ও অসৎ চক্রকে যদি এখনই চিহ্নিত করে সরিয়ে না ফেলা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে বিএনপির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে এবং আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দুর্বল হবে।

আমার অনুরোধ, আপনি সারা বাংলাদেশে একটি শুদ্ধি অভিযান শুরু করুন। যারা সত্যিকার অর্থে আদর্শবাদী, গণমানুষের বন্ধু, সৎ এবং সাহসী, তাঁদের আপনার নেতৃত্বে সামিল করুন। সমাজে অনেক ভালো, শিক্ষিত, চিন্তাশীল, ধার্মিক ও জনহিতৈষী ব্যক্তি আছেন—যাঁরা রাজনীতিতে আসতে চান না, কিন্তু জাতির জন্য অনেক কিছু দিতে পারেন। তাঁদের আপনি দলে ডাকুন, পাশে রাখুন।

একটা সত্য কথা—ভালো মানুষ রাজনীতি করতে এগিয়ে আসে না, আর খারাপ মানুষই নেতৃত্বের আসনে বসে পড়ে। তাই, এই বাস্তবতাকে পাল্টাতে হবে। ভালো লোকদের রাজনীতিতে আনুন, মূল্যায়ন করুন, যাতে আপনার নেতৃত্বে বিএনপি আবার becomes the people’s party, not the party of fear.

আমি জানি, আপনি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। আপনি চান ১৬ কোটি মানুষ শান্তিতে থাকুক। আমি হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি, জনগণ সব সময় আপনার সাথেই থাকবে—যদি আপনি সত্য ও সুন্দরের পক্ষ নিয়ে থাকেন। আমাদের দল বিএনপি তখনই টিকে থাকবে, শক্তিশালী হবে, যখন এই দল সত্যিকারের মানুষের প্রতিনিধি হবে।

প্রিয় নেতা,
আমি একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আপনাকে শুধু আমার হৃদয়ের ভাষা জানালাম। আমার কথায় যদি কোথাও ভুল হয়, দয়া করে ক্ষমা করবেন। আমি শুধু চাই, বিএনপি হোক সত্য, ন্যায়, শান্তি ও মানুষের ভালোবাসার দল।

আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুন, শক্তি দিন, দীর্ঘজীবী করুন এবং বাংলাদেশকে আপনার হাত ধরে নতুন করে গড়ে উঠতে দিন। আমিন।

বিনীত,
সৈয়দ শাহীনুজ্জামান শাহীন, সাবেক নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সহ-সভাপতি, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপি।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।