খুঁজুন
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে কুমার নদের তীর রক্ষায় নেই উদ্যোগ, ধসের হুমকিতে বাড়ি-সেতু

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:২৯ পিএম
ফরিদপুরে কুমার নদের তীর রক্ষায় নেই উদ্যোগ, ধসের হুমকিতে বাড়ি-সেতু

ফরিদপুর শহরের কুমার নদের তীর সংরক্ষণ কাজের কোন উদ্যোগ নেই। তাইতো ৬ কোটি টাকার ব্রীজসহ তিনশত বাড়ি-ঘর ভয়াবহ মাটি ধসের হুমকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) একাধিকবার জানানো হলেও বিষয়টি বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

‘শুকিয়ে গেছে কুমার নদের পানি। সকাল বিকেল সন্ধ্যায় নদের পানির স্তর কমছেই। একদিকে নদের তলদেশে শুকিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি বড় বড় মাটির চাপ ধসে নদের গর্ভে আছড়ে পড়ছে। বাড়ছে মাটি ধসের প্রবণতা। কুমার নদে ভাঙনের বাঁচানোর কেউ কি নেই!’ – এমন কথায় বললেন ভুক্তভোগী মো. কবির হোসেন।

কবির হোসেনের অভিযোগ, ‘পাউবো কর্তৃপক্ষ কুমার নদের তীর সংরক্ষণের কাজ করার কথা বললেও তীর সংরক্ষণ কাজের কোন উদ্যোগ নেই। তাদের মুখে একটি কথাই ঘুরে-ফিরে শোনা যাচ্ছে ‘বাজেট নেই’। ফরিদপুর কুমার নদের ভাঙনের হাত থেকে বাঁচানোর কেউ কি নাই!

জানা যায়, ফরিদপুর পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের চুনাঘাটা এলাকাটি কুমার নদের ভাঙনের ভয়াল চিত্র নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ পরিবেশন করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপতকালীন অবস্থায় সামান্য কাজ করে ২০২৪ সালে। তবে, স্থায়ীভাবে তীর সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেইনি আজও। তাইতো এই কাজ কোন উপকারে আসেনি নদের পাশে মাটি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত কোন পরিবারের। এমনই দাবি ভুক্তভোগী কমপক্ষে শতখানেক পরিবারের।

এলাকাবাসীর দাবি, ‘ওই ওয়ার্ডের শতাধিক পরিবারের বাসা-বাড়ি রক্ষা করতে চুনাঘাটা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা হতে বসার মিয়ার বাড়ী সড়কের নদীর পাড় পর্যন্ত সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে দ্রুতই সিসি ব্লকের মাধ্যমে প্যালাসাইডিং প্লেসিং এবং কমপক্ষে ২০-২৫ টি গভীরের পাকা সিটু পাইলিং খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।’

অন্যথায়, এলজিআরডি অর্থায়নে পাশের কুমার নদের উপর নির্মিত প্রায় ৬ কোটি টাকার ব্রীজটিও ধসে পড়তে পারে। ইতোমধ্যেই, ব্রীজের চার নম্বর পিলারে গোড়া থেকে মাটি ফেঁটে নদের মধ্যে ধসে পড়তে শুরু করছে। পাশাপাশি দুই-তিনটি পিলার জুড়ে বড় বড় মাটির চাপ ফাঁটল ধরে নদের মধ্যে পড়ে যাবার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৩-২৪ সালে ভরা বর্ষা মৌসুমে পুরো এলাকাটির কয়েক শত বিঘা জমি, ফলদ ও মূল্যবান গাছ-গাছালি আঁছড়ে পড়ে নদে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে যদি ওই এলাকার নদীভাঙ্গনের কাজ দ্রত শেষ করা না হয়, চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হবে নদী পাড়ের মানুষ। ভেঙ্গে পড়তে পারে চারটি ইউনিয়ন ও দুটি উপজেলার একমাত্র সংযোগ সড়কের উপর নির্মিত মূল্যবান ব্রীজটিও।

এই বিষয়ে স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, ‘বাংলাদেশের পুরাতন জেলা ফরিদপুর। শহরের গুহলক্ষ্মী ও ভাটিলক্ষীপুর এলাকা দুটি তথা ১৭-১৮ নং ওয়ার্ড দুটি প্রায় ৪’শ বছরের পুরানো, কিন্তু তবুও অবহেলিত। সম্প্রতি পদ্মার ভয়াল ভাঙনের থাবার কবলে পড়েছে পদ্মার প্রধান শাখা নদ কুমার। ১৭ নং ওয়ার্ডের কমপক্ষে ৭০-৮০টি বাড়ী ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। নতুন করে নদে আঁচড়ে পড়ছে কমপক্ষে ৮-১০টি বাড়ীসহ বিল্ডিং ভবনও।’

অভিযোগ রয়েছে, বিগত আ.লীগ সরকার এই পুরানো কুমার নদকে নতুন করে খনন করার নামে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করার পর কুমার নদের খনন হওয়া মাটি লুট করার কারণে নদের পাড় দেবে ও ধসে যায়।

তবে, দীর্ঘদিন যাবৎ পাড় ধসে পড়ার রক্ষায় কোন পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। নদ খননের নামে হয়েছে প্রায় দুইশত কোটি টাকা লোপাট এমনটাই গুঞ্জন আছে আজও।

বর্তমানে গুহলক্ষীপুর ও ভাটীলক্ষীপুর এলাকা দুটির নদের এপার-ওপার মিলে প্রায় চার কিলোমিটার করে মোট ৮ কিলোমিটার। ওই এলাকায় তথা নদের দুই পাশে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ বসবাস করছে। নতুন করে নদে ভাঙন, পাড় ধসে বড় বড় মাটির চাপ পড়ে দেবে যাওয়া অব্যাহত থাকায় ওইসব পরিবারগুলো চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

এলাকাবাসী বলছেন, ‘ভাঙনের হাত থেকে বাঁচাতে দরকার বড় বাজেট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরপর দুইবার সামান্য বাঁশ ও বালির ব্যাগ দিয়ে পানির চাপ ও মাটি ধসে যাওয়া ফেরানোর চেষ্টা করলেও প্রকৃতির রূপ ভিন্ন। উপরন্ত আগের চেয়ে ১০ গুন ভয়ঙ্করী রূপ নিয়েছে মাটি ধস ও ভাঙন।

এখনই যদি চুনাঘাটা ব্রীজ হতে স্লুইসগেট পর্যন্ত নদের দুই পাশে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে পাড় সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে এসব পরিবারগুলোও নদী ভাঙনে তাদের ভিটা-মাটি সহ সবই হারাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এব্যাপারে বক্তব্য জানতে ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেনের মুঠোফোনে দু’দফায় একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে এব্যাপারে ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) সাজু শিকদার ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। অতিশ্রীঘ্রই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।’

সদরপুরে মাদক কারবারে জড়িত চাকরিচ্যুত পুলিশসহ গ্রেপ্তার দুই

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১২ পিএম
সদরপুরে মাদক কারবারে জড়িত চাকরিচ্যুত পুলিশসহ গ্রেপ্তার দুই

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় মাদকসহ রফিকুল ইসলাম (৪৭) নামের এক চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ও আজিজুল আকন (২৩) নামে দুই মাদক কারবারিরে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলেজ মোড় ও পশ্চিম শ্যামপুর এলাকার একটি বসতঘরে অভিযান চালিয়ে রকিকুল ও আজিজুলকে আটক করা হয়। এ সময় রফিকুলের কাছে থাকা ৪০ পিস ইয়াবা ও আজিজুলের কাছে থাকা ৪০০ গ্রাম গাজা জব্দ করা হয়।

ফরিদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শিরীন আক্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অভিযানের আওতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে কলেজ মোড় এলাকায় ও পশ্চিম শ্যামপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। পরে কলেজ মোড় এলাকায় সাবেক পুলিশ সদস্য রফিকুলকে তল্লাশি করে তার প্যান্টের পকেটে একটি নীল জিপারের ভেতর থেকে ৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় ও পশ্চিম শ্যামপুর এলাকায় উজ্জল আকনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আজিজুল আকন নামে একজনকে ৪০০ গ্রাম গাজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, এই দুই ঘটনায় ফরিদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন ও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার আসামি রফিকুল ইসলাম ও আজিজুল আকনকে সোমবার সন্ধায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মাদকের বিরুদ্ধে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এ উপ-পরিচালক।

অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন স্কুল শিক্ষার্থী ফারজানা

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম
অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন স্কুল শিক্ষার্থী ফারজানা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত স্কুল শিক্ষার্থী ফারজানা (১১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ দিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ফারজানা।

নিহত স্কুলছাত্রী ফারজানা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গার পাড় গ্রামের ফিরোজ শেখের মেয়ে ও ভাঙ্গা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বছর লটারিতে বিজয়ী হয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ পায়।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌর এলাকার কৈডুবী রেলক্রসিংয়ে একটি বাস ও ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন নিহত হয়। ওই দুর্ঘটনায় ইজিবাইকে থাকা স্কুলছাত্রী ফারজানা ও তার মা শান্তা খন্দকার গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘ ১৭ দিন চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টার পরেও ফারজানাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘারুয়া ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হায়দার হোসেন জানান, ওইদিনের দুর্ঘটনায় ইজিবাইকে থাকা স্কুলছাত্রী ফারজানা ও তার মা শান্তা খন্দকার গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ১৭ দিন চিকিৎসার পর ফারজানা মারা গেছে। সোমবার বাদ জোহর গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন জানান, ওইদিনের বাস ও ইজিবাইকের দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২: ফরিদপুরে পুলিশের অভিযানে ৫৮ জন গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২: ফরিদপুরে পুলিশের অভিযানে ৫৮ জন গ্রেপ্তার

সরকার ঘোষিত ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’-এর আওতায় ফরিদপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে গত ৪৮ ঘণ্টায় কৃষকলীগ নেতাসহ মোট ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিয়মিত মামলা, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, মাদক ও চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শামছুল আজম ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ দমনে পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এ গ্রেপ্তার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় ফরিদপুর সদরসহ বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী, ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একযোগে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নিয়মিত মামলার আসামি, ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক, মাদক কারবারি এবং চুরি ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার কৃষকলীগ নেতা লিটন মৃধার নাম নিশ্চিত করা গেছে। তবে বাকি গ্রেপ্তারদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি পুলিশ কর্মকর্তা। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে একই অভিযানের ধারাবাহিকতায় গত ৭২ ঘণ্টায় ফরিদপুর জেলায় আরও ৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধারাবাহিক এ অভিযানে জেলার অপরাধপ্রবণতা কমবে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ আরও জোরদার হবে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শামছুল আজম ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বলেন, “গত ৪৮ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলা, চুরি, ওয়ারেন্ট, মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ এর আওতায় জেলার সব থানায় নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।