ভাঙ্গায় ডাকাতের কবলে দুই কলেজ শিক্ষার্থী, ৯৯৯ কলে উদ্ধার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গভীর রাতে বেড়াতে এসে ডাকাতের কবলে পড়ে টাকা, মোবাইল, মোটরসাইকেল খুইয়েছে দুই কলেজ শিক্ষার্থী।
শনিবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার তারাইল- চন্দ্রপাড়া ফিডার সড়কে ভাঙ্গা উপজেলার চান্দা ইউনিয়নের নয়াকান্দা এলাকায় তারা ডাকাতের কবলে পড়ে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কলাবাগানে আটকে রেখে নগদ টাকা, মোবাইল ও মোটরসাইকেল লুট করে নেয়।
তারা ঢাকা মোহাম্মদপুর মডেল কলেজের দুই শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (২০) ও মোহাম্মদ সাগর( ২০)। ঢাকা মোহাম্মদপুরে ভাড়া থাকেন।
হাসান ফেনী জেলা সদরের মধুপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র ও সাগর শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মাদবরকান্দী গ্রামের মজিবর রহমান ফকিরের পুত্র । এ ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী হাসান বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক ডাকাতকে আটক করেছে।
এ বিষয় ডাকাতি মামলার বাদি কলেজ শিক্ষার্থী হাসান জানান, ঢাকা থেকে আমরা দুই বন্ধু ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া আবির নামের এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে রওনা দেই। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার তারাইল- চন্দ্রপাড়া ফিডার সড়কে আমরা ডাকাতের কবলে পড়ি। আমাদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল, মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। তারপর আমাদের দুইজনকে জিম্মি করে চোখ বেঁধে একটি কলা বাগানে আটকে রাখে। এরপর ডাকাতরা আমাদের পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে আরো ১ লাখ ৪ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। পরে ভোরে আমরা কৌশলে পালিয়ে রাস্তায় উঠে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাই। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করে। এঘটনায় আমি ভাঙ্গা থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, দুই কলেজ শিক্ষার্থী ঘুরতে এসে ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তাদেরকে জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল মোটরসাইকেল লুট করে দিয়ে যায়। পরে তারা ৯৯৯ কল দিলে ভোররাতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এঘটনায় ওই এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছি।
আপনার মতামত লিখুন
Array