খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সদরপুরে অবাধে বালুর ব্যবসা : বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাকায় পিষ্ট গৃহবধূ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
সদরপুরে অবাধে বালুর ব্যবসা : বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাকায় পিষ্ট গৃহবধূ
ফরিদপুরের সদরপুরে অবাধে চলে দিনরাত অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা। স্থানীয়রা বাধা দিলেও প্রশাসনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বরং প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙুল দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বালুর ব্যবসা। অনেকের অভিযোগ স্থানীয় বিএনপি ও আ’লীগের লোকজন যোগসাযোগে মিলিত হয়ে অবাধে লুটে নিচ্ছে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদ নদী থেকে বালুমাটি। তাদের বেপরোয়ারা ও খামখেয়ালীপনায় সোমবার অবৈধ বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে এক গৃহবধুর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ ওই ঘাতক ড্রামচালক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে নিহতের মরদেহ ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত ১০টার দিকে ভাষানচর ইউনিয়নের আদু বেপারীর ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধু উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের আদু বেপরীর ডাঙ্গী গ্রামের বাচ্চু বেপারীর স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫)। তার সংসারে দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।  তার বড় ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ও প্রথম কন্যার বিয়ে হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত পরিবারের নিচু ভিটা বালু দিয়ে ভরাটের জন্য স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী রিংকু খানের সাথে চুক্তি করে তার স্বামী বাচ্চু বেপারী। এক সপ্তাহ ধরে ওই বাড়ির ভিটায় বালু ফেলানোর কার্যক্রম চলছে।  ওইদিন রোজিনার স্বামী বাচ্চু ও রিংকু খানের সাথে ভরাটের টাকা নিয়ে মনমানিল্য সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১৭মার্চ) রাত ১০টার দিকে রোজিনা বাড়ির উঠানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল রোজিনা বেগম ও বালু ব্যবসায়ী রিংকু খান। বালুর ট্রাকের ড্রাইভার সোহেল মাতুব্বর (২৭) অন্যত্র অর্ধেক ট্রাক বালু ফেলায় রোজিনার সাথে ড্রাইভারের ও কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায় ড্রাইভার ক্ষিপ্ত হয়ে রোজিনার শরীরের উপর দিয়ে ড্রাম ট্রাক চালিয়ে চাপা দেয় ড্রাইভার সোহেল চাপরাশি।  ওই সময় রোজিনার স্বামী বাচ্চু চিৎকার শুরু করলে ড্রাইভার ও রিংকু খান ট্রাক রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন বাচ্চু বেপারী। ঘটনাস্থলেই রোজিনার শরীরের বুকের নিচের অংশ পৃষ্ট হয়ে দেহের বিভিন্ন অংশ বের হয়ে নিহত হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে রোজিনার স্বামী বাচ্চু বেপারী ৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। সদরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বালুবাহী  ড্রাম ট্রাক জব্দ করে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার বিষয়ে সদরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন জানান, রোজিনার স্বামী বাদী হয়ে ঘাতকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিহতের মরদেহ ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বালু ভরাট প্রসঙ্গে জানা যায়, ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী গ্রামের আকবর আলী খানের পুত্র বালু ব্যবসায়ী রিংকু খানকে চুক্তি দেওয়া হয় ভরাটের জন্য। প্রতি গাড়ি দুই হাজার টাকা দরে। রিংকু খান দিনে বালু মাটি দিতে পারবেনা, দিতে পারবে শুধু রাতে। ওই কারণে রিংকু খান রাতে অবৈধভাবে নলেরটেক আকোটেরচর থেকে বালু এনে ভরাট করছিল। ঘাতক ড্রাইভার সোহেল চাপরাশি ঢেউখালী ইউনিয়নের বাবুরচর নতুন ডাঙ্গী গ্রামের নুরু চাপরাশির পুত্র। সোহেল একই ইউনিয়নের চরবলাশিয়া গ্রামের হায়দার বেপারীর ট্রাক চালক।
রিংকু প্রসঙ্গে এলাকাবাসীর অভিযোগ, তার পিতা আলী আকবর খা স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা হওয়ার কারণে তার দাপটে অবাধে বালুর ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে রিংকু খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। বাবা বিএনপির নেতা প্রসঙ্গে জানান, আ’লীগের পোলাপান তো এখন কথা বলতে পারে না তাই এমন অভিযোগ।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

এহসানুল হক, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:১৪ পিএম
‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. লিয়াকত আলী খান বুলু।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  এসময় লিয়াকত আলী খান বুলু জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।

বুধবার (৪ জুন) নগরকান্দা পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান অনু, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ঝিলু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মহিদ বিল আল মাহিম প্রমুখ।

আলোচনাসভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন তাঁরা।

ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে লিয়াকত মোল্যা (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাদিরদী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাগুরা জেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সংকোচ খালী এলাকার তিন ব্যবসায়ী কয়েকটি গরু বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। তারা মহম্মদপুর-বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্ত ব্রীজ পার হয়ে ফরিদপুর জেলার কাদিরদী বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ থেকে গরু লাফ দিলে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা লিয়াকত মোল্যাসহ দুই ব্যবসায়ী আহত হয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকত মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অপর ব্যবসায়ী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ জানান, মাগুরা সদর থেকে গরু বোঝাইকৃত পিকআপটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিল। গরুর গাড়িটি কাদিরদী বাজারে আসলেই একটি গরু লাফ দিলে গাড়ীটি উল্টে ব্যবসায়ীরা চাপা পড়ে। সেখান থেকে আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পেরেছি লিয়াকত নামে ব্যবসায়ী মারা গেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অবগত নই। এমনকি ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।