হালি পেঁয়াজ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩২ এএম

faridpur protidin
দেশজুড়ে পেঁয়াজ চাষে খ্যাতি রয়েছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার। এখানকার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ। বর্তমানে হালি পেঁয়াজ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা। ভোক্তা চাহিদাসম্পন্ন পেঁয়াজ চাষিদের অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল হওয়ায় এর চাষ করে বছরের অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন তারা।
বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো থাকায় লাভের আশায় সালথার চাষিরা হালি পেঁয়াজ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সালথা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় মোট ১২ হাজার হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা আশা করা যাচ্ছে। এ বছর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ৪ শত ৫০ জন পেঁয়াজ চাষিকে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হবে। এ উপজেলায় লাল তীর কিং, তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি-১সহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ রোপণ করা হয়েছে।
উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাংরাইল গ্রামের পেঁয়াজচাষি শাহাদাত হোসেন জানান, এ বছর হালি পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি হওয়ায় চাষে খরচ বেশি হচ্ছে। বাজার মূল্য ৫০ টাকা কেজির কম হলে পেঁয়াজ চাষে লোকসান গুনতে হবে।
ভাওয়াল গ্রামের পেঁয়াজচাষি মামুন মিয়া বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো হবে বলে আমরা আশা করি।
পুরুরা গ্রামের সিরাজ মোল্যা বলেন, সার কীটনাশক, পানি ও সময়মতো রক্ষণাবেক্ষণ করতে অনেক খরচ হয়। যার কারণে পেঁয়াজের দাম অনুকূলে থাকলে আমরা পরিবারের লোকজন নিয়ে খেয়ে-পরে ভালো থাকতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা যাতে সঠিকভাবে অর্জিত হয় সেজন্য সরকারী কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এবছর উপজেলার ১ হাজার ৪’শত ৫০ জন কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ মেঃ টন। পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন
Array