নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ, আয়াকে শোকজ
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মো. শেখ সাদি (৩৫) নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একই এলাকার মৃত আঃ কাদের শেখের ছেলে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে যৌথবাহিনী কৃষ্ণপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে শেখ সাদির কাছ থেকে তিনটি দেশীয় অস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলি, একটি খেলনা পিস্তল এবং ৪২০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তার শেখ সাদি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি মসজিদের মাইকে মাইকিং করে স্থানীয় লোকজন জড়ো করে মব সৃষ্টির চেষ্টা করেন। তবে যৌথবাহিনীর তৎপরতায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডিয়ার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃতকে সদরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি মাদক, অস্ত্র বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কোনো তথ্য জানতে পারেন, তাহলে নিকটস্থ সেনাক্যাম্প বা থানাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ নামের বিশেষ অভিযানে মো. আব্দুর রহিম মাতুব্বর (৫৫) নামে এক কৃষকলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের মিনাজদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম মাতুব্বর মিনাজদিয়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে। তিনি সালথা উপজেলা কৃষকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান খান জানান, এলাকায় নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর আওতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে কৃষকলীগ নেতা আব্দুর রহিম মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
পুলিশ জানায়, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মামুনুর রহমান ওরফে ‘বাবা মামুন’ পালিয়ে গেলেও তার বাড়ি থেকে দুই হাজার ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বোয়ালমারী সেনা ক্যাম্পের নেতৃত্বে ১৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের উজিরপুর এলাকায় মামুনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ির শয়ন কক্ষের আলমারিতে সংরক্ষিত ১১ প্যাকেটে থাকা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মামুনুর রহমান ওরফে ‘বাবা মামুন’ বোয়ালমারী ও আশপাশের এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল। তার বাড়িতে ইয়াবার বড় চালান মজুদ রয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন পালিয়ে যায়।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামুনুর রহমান ওরফে বাবা মামুনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সেনা ক্যাম্প সূত্র জানায়, মাদক, অবৈধ অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনী জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। অপরাধ দমনে সেনা ক্যাম্পসমূহকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
পলাতক মামুনুর রহমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন
Array