খুঁজুন
রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৭ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে হিমাগারে আলু রাখতে এসে বিড়ম্বনার শিকার ব্যবসায়ী-কৃষকরা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:২০ এএম
ফরিদপুরে হিমাগারে আলু রাখতে এসে বিড়ম্বনার শিকার ব্যবসায়ী-কৃষকরা
ফরিদপুর হিমাগারে আলু রাখতে এসে বিপাকে পড়েছে দূরদুরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী-কৃষকরা। ট্রাকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেও আলু রাখতে না পারায় আলু নষ্ট হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন হিমাগারের সামনে থাকা অপেক্ষাকৃতরা।
হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, অধিক ফলন ও একইসঙ্গে সবাই আলু নিয়ে আসার কারণে এ বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ৬০ হাজারের বেশি বস্তা আলু হিমাগারে প্রবেশ করেছে। এখন অপেক্ষমান যারা রয়েছে তাদের টুকু নিতে পারলেই হয়।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী হিমাগারে আলু রাখার জন্য প্রতিবছর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বুকিং দিতে হয়। আলু রাখার মৌসুম শুরু হয়ে মার্চ মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। এখানে আলু সংরক্ষণ করেন ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ, মাগুরা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, দিনাজপুর, ও রাজশাহী অঞ্চলের আলু ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। আলু ছাড়াও ফল ব্যবসায়ীরা সারা বছরই কিছুদিনের জন্য বিভিন্ন ফল সংরক্ষণ করেন এখানে। সুবিধামতো সময়ে আবার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু ও ফল বিক্রির জন্য নিয়ে যান।
হিমাগারটির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে গোয়ালচামট এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৯৯৫ সালে ‘ফরিদপুর হিমাগার লিমিটেড’ নামে হিমাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই হিমাগাটির ধারণক্ষমতা রয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার বস্তা। প্রতি বস্তায় ৬০ কেজি করে আলু রাখতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবসায়ীরা বস্তা প্রতি ৪০৫ টাকা হারে ভাড়া প্রদান করেন।
সম্প্রতি হিমাগারটি ঘুরে দেখা যায়, ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে হিমাগার ফটকের সামনে ট্রাক্টর, ভটভটি, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে আলু নিয়ে এসেছেন হিমাগারে রাখার জন্য দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। এখানে কেউ কেউ তিন দিন আবার কেউ পাঁচ দিন ধরে হিমাগারের ফটক থেকে বাইরের রাস্তায় অপেক্ষা করছেন। আগতদের অধিকাংশ উত্তরবঙ্গ জেলাগুলে থেকে এসেছেন। পাঁচ-ছয়দিন ধরে অপেক্ষা করেও আলু সংরক্ষণ করতে না পেরে হতাশায় পড়ছে দূরদূরান্ত থেকে আসা কৃষকরা। এ বছর বুকিং দিয়েও আলু রাখতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। প্রচন্ড গরমে  ট্রাকে বোঝাইকৃত আলু নিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকায় নষ্ট হতে পারে ট্রাকে রাখা আলু।
হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করতে আসা ব্যক্তিরা জানান, কেউ তিনদিন, কেউ বা পাঁচদিন ধরে ট্রাক, ভটভটি, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে আলু নিয়ে এসেছেন হিমাগারে রাখার জন্য। তারা রাস্তার বাইরে আলু নিয়ে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন।
ফরিদপুর হিমাগারে আলু রাখার জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে আসা সেলিম মোল্লা নামে এক ব্যক্তি জানান, গত পাঁচদিন আগে ১৩ টন আলু নিয়ে ফরিদপুর এসেছি। অপেক্ষা করতে করতে এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এখন ভয় পাচ্ছি ট্রাকে রাখা আলু প্রচন্ড গরমে পঁচন না ধরে যায়!
ফরিদপুর হিমাগারে ম্যানেজার রুস্তুম মোল্লা জানান, ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা বছরে মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এখানে আলু সংরক্ষণ করেন। আলু ছাড়াও ফল ব্যবসায়ীরা সারা বছরই অল্পদিনের জন্য বিভিন্ন ফল সংরক্ষণ করে রাখেন। সুবিধামতো সময়ে আবার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু ও ফল বিক্রির জন্য নিয়ে যান।
তিনি জানান, আমাদের আনলোডের শ্রমিক সংখ্যা কম। যে কারণে দূর থেকে আসা ট্রাকগুলো থেকে আমরা পর্যাপ্ত আলু আনলোড করতে পারছি না। তবে আশা করছি আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে যে গাড়ীগুলো অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করতে পারব।

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন ব্রিজ থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১৫ এএম
ফরিদপুরে নির্মাণাধীন ব্রিজ থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ থেকে পড়ে জহুরুল ইসলাম (৩২) নামে এক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর শহরতলীর ভাজনডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


নিহত জহুরুল ইসলাম নওগাঁ জেলার ভীমপুর গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।


জানা যায়, ফরিদপুর শহরতলীর ভাজনডাঙ্গা এলাকায় পদ্মা নদীর ধারায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে একটি সেতু নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক জহুরুল ইসলাম। নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত তিনি নির্মাণাধীন সেতু থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।


এ সময় সেখানে থাকা অপর শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৫৩ এএম
ফরিদপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ফরিদপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত ও সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা বেলতলায় পৌরসভার ১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে এ মতবিনিময় সব অনুষ্ঠিত হয়।

১৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. মিরু খানের সভাপতিত্বে এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল।

এ সময় জেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক ফাত্তাউল ইসলাম ফাত্তাহ, মহানগর বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক শামসুল আরেফিন সাগর, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন খান মিঠু, ফরিদপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. হাসানুর রহমান মৃধা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রনি, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সৈয়দ এখলাছুর রহমান, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা খোকা, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কাদির রুবেল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. সাব্বির হোসেন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাহিদুল ইসলাম মহব্বত, বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন শাহীন সহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘রাজনীতিতে মতপার্থক্য ভেদাভেদ থাকলেও ধানের শীষের স্বার্থে ফরিদপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরে যারাই ধানের শীষ প্রতীক পাবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করব। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সম্পর্কে উপস্থিত স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীদেরকে তা বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা কামনা করা হয়। এবং আগামীতে একমাত্র দল বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই দেশের ও জাতির উন্নয়ন করা সম্ভব বলে ব্যক্ত করেন নেতাকর্মীরা।’

ভাঙ্গায় ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আব্দুল মান্নান মুন্নু, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৪৭ এএম
ভাঙ্গায় ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে প্রথম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পাশের বাড়ির এক বৃদ্ধ লম্পট দাদার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদী গ্রামের বৃদ্ধ লম্পট দাদা শাফি শিকদারের বিল্ডিংয়ের ভিতরে এঘটনা ঘটলেও শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

শিশুটি পূর্ব সদরদী গ্রামের বাবা বাদল শিকদার কন্যা ও পুর্ব সদরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ঘটনার পর লম্পট বৃদ্ধর লোকজন ভুক্তভোগীর বিচার আশ্বাসের নামে ভয় দেখিয়ে থানায় যেতে ও মামলা করতে এবং মুখ খুলতে নিষেধ করছেন।
বর্তমানে লম্পট বৃদ্ধ গা ঢাকা দিয়েছে।

এঘটনায় শিশুটির মা বিচার দাবি করে বলেন , আমার ছোট মেয়ের সাথে আমার চাচা শশুর শফি শিকদার যে খারাপ কাজ করেছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই এবং তার শাস্তি চাই। আমার স্বামী এক দিনমজুর ও গ্রামে গ্রামে হেঁটে প্লাস্টিকের মালামাল বিক্রি করে। আমরা খুবই গরীব মানুষ। তাই গরীব মানুষ হিসেবে আমরা কোন বিচার পাচ্ছি না। শাফি শিকদার একজন প্রভাবশালী টাকা ওয়ালা। তার লোকজন আমাদেরকে থানায় যেতেও নিষেধ করছেন। বিচার ও পাচ্ছি না এবং প্রভাবশালীদের ভয়ে থানায়ও যেতে পারছি না। আমরা কার নিকট বিচার দাবি করবো। আমি এঘটনার বিচার চাই।

স্থানীয়দের দাবি, পূর্ব সদরদী গ্রামের শাফি শিকদার একজন লম্পট ও খারাপ চরিত্রের মানুষ। সে অনেক মহিলার সাথে খারাপ কাজ করে ধরা পড়েছে। আজ দরিদ্র ঘরের সাড়ে ৬ বছরের এক শিশুর সাথে যতটুকু খারাপ কাজ করেছে আমরা গ্রামবাসী তার বিচার চাই এবং শাস্তি চাই ।

এঘটনায় চুমুরদী ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাল্যবিবাহ এবং নারী নির্যাতন কমিটির সদস্য মোসা. ঝর্না আক্তার বলেন, আমার বাড়ির পাশে পূর্ব সদরদী শিকদার বাড়ির একটা ঘটনা ঘটেছে। আমি শুনেছি এবং শুনে খুব খারাপ লেগেছে। তখন আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলতে বলতে কেঁদেও ফেলেছি। এঘটনা আমি একজন নারী হিসাবে কিভাবে বলি। যদি ভুক্তভোগীরা আমার নিকট আসে, আমি তাদের সাথে থেকে আইনগত সহযোগিতা করব।

এব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।