খুঁজুন
সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক, ১৪৩২

ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলে আন্তঃক্রীড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলে আন্তঃক্রীড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলে আন্তঃক্রীড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দশম শ্রেণি একাদশ অষ্টম শ্রেণি একাদশকে ১-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।

রবিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সরকারি কাজী মাহাবুব উল্ল্যাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।

ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক কে.এম শিহানের সঞ্চালনায় ও ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ঈসমাইল মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সরকারি কাজী মাহবুব উল্লাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের উপাধ্যক্ষ সরোয়ার হোসেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান আলমগীর, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভাঙ্গা পৌর শাখার ৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি শাহজান মুন্সী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. হাফিজ আহমেদ ও সবুজ মাতুব্বর।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সহকারী শিক্ষক হাফিজা আক্তার মিতু , তিশা রহমান, সিনথিয়া আক্তার, শিলা আক্তার ও মাহিন আহমেদ।

এসময় ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলে আন্তঃক্রীড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক দিলীপ কুমার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শেষে ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মেডেল ট্রফি ও উপহার হিসাবে বৃক্ষের চারা প্রদান করা হয়।

বোয়ালমারীতে বিএনপির সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, আসামি ৮ শতাধিক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
বোয়ালমারীতে বিএনপির সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, আসামি ৮ শতাধিক

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় নেতৃত্বদানকারী কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনুকে (ভিপি ঝুনু) প্রধান আসামি করে পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলা হয়েছে।

রবিবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর বিএনপির দুইগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (০৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় এ মামলা দুটি রুজু করা হয়। পৃথক মামলায় ২২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৬৫০ জনকে দুই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনুর অনুসারী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবু বাদি হয়ে ১৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০-৩০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিম্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলা নম্বর-১০।

অপর দিকে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও বিএনপি থেকে মনোয়ন প্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন মিয়া ভিপি ঝুনুকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর-১১।

এ মামলায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দল থেকে ফরিদপুর-১ আসনের ৪ বারের সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় জনতা পার্টির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফরকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে পাশের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে।

থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্প্রতি বিএনপি থেকে ২৩৭ আসনের মধ্যে ফরিদপুর জেলার ৪টি আসনের তিনটিতে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করে দলটি। এর মধ্যে জেলার বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা স্থগিত রাখে। তবে আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি, সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনু মিয়া আলাদা আলাদা দলীয় সভা-সমাবেশ চালিয়ে আসছিল। দুই নেতার সভা-সামাবেশে বিভিন্ন সময় পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালিও করতে শোনা গেছে। এ নিয়ে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনুর নেতৃত্বে এলাকাটিতে বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত থাকলেও নাসিরুল ইসলামের সাথেই তিন উপজেলার বেশির ভাগ নেতাকর্মীরা। গত ২১ অক্টোবর ১০ বছর পরে বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারীরা বড় পদ গুলোতে স্থান পায়। কমিটি নিয়ে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র অন্তোকোন্দল চলতে থাকে। এ কমিটি গঠনের পরেরদিন থেকে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল চালিয়ে যাচ্ছিল ভিপি ঝুনু অনুসারীরা। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিল্পবী ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বোয়ালমারী পৌর বাজারে দুই পক্ষ আলাদা জায়গায় সমাবেশ করে। সমাবেশ করে মিছিল করে আসার সময় মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী ওয়াবদা মোড়ে মুখোমুখি অবস্থানে পৌছিলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাংচুর ও একাংশের বিএনপির কার্যালয়সহ ১০-১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৪০-৫০ জন কমবেশী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনার পরেরদিন শনিবার দিবাগত রাতে ২২৬ জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। দুই মামলায় ৬৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তবে আজ রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন, বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে বোয়ালমারী থানায় দুইটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

ফরিদপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আ’লীগের তিন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৮ এএম
ফরিদপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আ’লীগের তিন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় ইউপি সদস্যসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃতদের ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম।

এর আগে শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের চরচাঁদড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ মোল্যা (৬৭), গোপালপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি চর চান্দরা গ্রামের বাসিন্দা কাজী রুবেল (৩৫) এবং টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিন মোল্যা (৩৫)।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার বাসিন্দা নিনমজুর ইদ্রিস সর্দারের ছেলে বিএনপির সমর্থক লাভলু সর্দার। মামলাটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের আসামি করা হয়। এ মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ওই তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভাঙ্গায় খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবীতে খেলাফত মজলিসের জনসভা

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৪৫ এএম
ভাঙ্গায় খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবীতে খেলাফত মজলিসের জনসভা

ফরিদপুরের ভাঙ্গার চান্দ্রা ইউনিয়নের উদ্যোগে খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দ্রা গ্রামে দক্ষিণ চরচান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে সংগঠনটির ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে ও ভাঙ্গা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি হাফেজ মাহবুবুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- দলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা।

প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবু নাসির আইয়ুবী বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান ফরিদী, ভাঙ্গা উপজেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, পৌর কমিটির সভাপতি হাফেজ নূর মোহাম্মদ বাচ্চু মোল্লা, সদরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী, চরভদ্রাসন উপজেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মো. জাকারিয়া, ভাঙ্গা উপজেলা খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সাবেক এমপি সাহেব এই চরাঞ্চলে এসেছিলেন বলে এখানকার মানুষের ভাগ্যের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিল। যদি ইসলামী দল ক্ষমতায় আসে, এ আসনে যদি সমস্ত ইসলামী দলের পক্ষ থেকে এমপি হয় তাহলে এদেশের মানুষের ভাগ্যকে চলমান অবস্থা ও পূর্বের অবস্থা বহাল রাখবে ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘বিগত এক বছরের বেশী সময় ধরে এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করেছি এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে দাওয়াত দিয়েছি। আজ আমার এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এসেছি, আমার অঞ্চলের মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে আমার বুক ভরে গেছে। আমি আশা করি আগামী দিনে এ অঞ্চলের মানুষ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কর্মী হয়ে তিন থানা মিলে, তথা এ আসনের সমস্ত জায়গায় তারা বিচরণ করে মানুষের ঘুমন্ত হৃদয়কে জাগ্রত করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে রিক্সা প্রতীকের যেভাবে জয় জয় আসে তারা সেভাবেই কাজ করে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি আমার এই ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসনের সমস্ত জনগণ বিগত সতেরো বছরে বার বার তারা ভোট দিয়ে যাদেরকে নির্বাচিত করেছে তাদের কাছ থেকে যতটুকু ভালোবাসা, যতটুকু চাহিদা তারা প্রাপ্ত হয়েছে তার চেয়ে ইনশাআল্লাহ শতভাগ বেশী তারা পাবে যদি ইসলামী দল ক্ষমতায় আসে। সাধারণ কিছু মানুষ মনে করে ইসলামী দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের জন্য চাপ হয়ে যাবে। আসলে এটা ভুল ধারণা। ইসলাম ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে এসেছে, ইসলাম সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে এসেছে, ইসলাম এদেশ থেকে অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম উৎখাত করতে এসেছে। বিগত একটি বছরে বিভিন্ন দল
তাদের নীতি – আদর্শে যে কার্যক্রম চালিয়েছে তাতে ইসলামী দলের কোন বিকল্প নেই। কারণ ইসলামী দলের এমন কোন বদনাম ছড়ায়নি তারা কোথাও টেন্ডারবাজি করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, পাথর দিয়ে থেতলে মানুষ হত্যা করেছে। ইসলামী দলের যে সকল নেতা আগামীতে নির্বাচন করতে যাচ্ছে তারা মানুষের সেবা ও কল্যাণ নিয়ে ভাবে। তারা আল্লাহকে ভয় পায়। তারা কোন দিন মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারে না, তারা মানুষকে পুলিশ দ্বারা হয়রানি করতে পারে না, তারা মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে জানে না।’

তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি আপনাদের উদাত্ত আহ্বান জানাবো এ আসনের সমস্ত জনগণ ও আমার এলাকার সমস্ত জনগণকে, যাতে আমি আগামী নির্বাচনে আপনাদের ভোট দ্বারা নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে সংসদে গিয়ে আপনাদের জন্য কাজ করে যেতে পারি, সুন্দর একটি সমাজ উপহার দিতে পারি, এদেশ থেকে মাদক, সন্ত্রাস উৎখাত করে সুন্দর একটি দেশ আপনাদের উপহার দিতে পারি এবং সুন্দর মডেল ফরিদপুর ৪ উপহার দিতে পারি।’