খুঁজুন
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র, ১৪৩২

মুদ্রাস্ফীতির জন্য কারা দায়ী

কাজী জীশান হাসান
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৮ এএম
মুদ্রাস্ফীতির জন্য কারা দায়ী

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ভোক্তারা চরম মূল্যস্ফীতির শিকার হয়েছে। বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বারবার কথিত ‘সিন্ডিকেটকে’ দোষারোপ করেছেন মুরগি, ডিম এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন বেশ কয়েকটি বড় পোলট্রি কোম্পানিকে জরিমানা করার নির্দেশ দেয়। যদিও হাইকোর্ট সেই আদেশ স্থগিত করেছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিম ও মুরগির সর্বোচ্চ মূল্যসীমা নির্ধারণ করে। কিন্তু যে কোনো শিল্পে দাম বেঁধে দেওয়া হলে নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হয় এবং বিপরীত ফল বয়ে আনতে পারে। কারণ, পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির অভাবে সরবরাহ কমে যায়, ফলে দাম উচ্চ পর্যায়েই থেকে যায়।

এই সার্বিক পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ হয়নি। অথচ মূল্যস্ফীতি একটি সুপরিচিত অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, যার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। সেগুলো বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। মূল্যস্ফীতির প্রথম কারণ হতে পারে ঘাটতি ৷ যখন কোনো পণ্যের সরবরাহ কমে যায়, তখন ভোক্তারা সেটি পাওয়ার জন্য বেশি মূল্য দিতে বাধ্য হয়, ফলে বাজারমূল্য বৃদ্ধি পায়। অর্থনীতিবিদরা একে ‘সরবরাহজনিত ধাক্কা’ (supply shock) বলে থাকেন । ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য ও জ্বালানির রপ্তানি বাধ্যগ্রস্ত হয়, যার ফলে বিশ্ববাজারে এই পণ্যগুলোর সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে ভুট্টা ও সয়াবিনের দাম বেড়ে যায়; যা পোলট্রি, মাছ ও গবাদি পশুর খাদ্যের ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে । তাই ২০২২ সালে পোলট্রি খাদ্যব্যয় বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ সিন্ডিকেট নয়, বরং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সরবরাহসংকট । দ্বিতীয় কারণটি অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা। যখন সরকার মাত্রাতিরিক্ত মুদ্রা ছাপায়, তখন সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। অতিরিক্ত টাকা ছাপানো হলে টাকার মূল্য কমে যায় এবং পণ্যের মূল্য স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়।

উদাহরণস্বরূপ, যদি বাজারে থাকা টাকার পরিমাণ হঠাৎ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, তাহলে একটি ৮ টাকার ডিমের দাম ১২ টাকায় উঠে যেতে পারে। এটিকে বলা হয় monetary inflation বা মুদ্রাস্ফীতি, যা কোনো সিন্ডিকেটের কারণে হয় না, বরং এটি অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার ফল। সাধারণত, সরকার রাজস্ব আয়ের তুলনায় বেশি ব্যয় করলে এবং সেই ঘাটতি (যাকে বাজেট ঘাটতি বলা হয়) পুষিয়ে নিতে মাত্রাতিরিক্ত টাকা ছাপালে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ প্রকাশিত Monthly Economic Trends (অক্টোবর ২০২৪) থেকে জানা যায় যে, ২০২০ সালের জুন মাসে দেশে প্রচলিত মুদ্রার (Currency in Circulation) পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮ হাজার ৯৪ কোটি টাকা এবং ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রচলিত মুদ্রার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকায়। মাত্র তিন বছরে বাজারে প্রচলিত মুদ্রার পরিমাণ ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ৮ টাকার ডিমের দাম ১২ টাকায় ওঠা স্বাভাবিক। একইভাবে চাল, সবজি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও এই সময়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থাৎ সার্বিক মূল্যস্ফীতির মূল কারণ ছিল অতিরিক্ত টাকা ছাপানো, যা সাধারণ জনগণকে গরিব
করেছে।

প্রশ্ন হলো- বিগত সরকার কেন অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিল? এর উত্তর খুবই স্পষ্ট। বিগত সরকারের সময় ব্যাংক খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে রক্ষার জন্য সরকার নির্বিচারে টাকা ছাপিয়েছে। যদি এটি না করা হতো, তাহলে এসব ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যেত, যার ফলে লাখ লাখ পরিবার তাদের সঞ্চয় হারাত এবং দেশের অর্থনীতি দীর্ঘ মেয়াদে মন্দার কবলে পড়ত। যেসব রাজনীতিবিদ ব্যাংক খাতের এই দুরবস্থার জন্য দায়ী, তারা কখনোই স্বীকার করবেন না যে তারা অর্থনীতির এমন ক্ষতি করেছেন। বরং তারা মূল্যস্ফীতির জন্য অন্য কাউকে দোষারোপ করার সহজ উপায় খুঁজেছেন।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা পোলট্রি শিল্পকে সেই বলির পাঠা বানিয়েছে। ডিম ও ব্রয়লার মুরগি সাধারণ মানুষের প্রধান প্রাণিজ প্রোটিন, তাই এই খাতকে দোষারোপ করা সহজ হয়েছে। প্রতিযোগিতা কমিশনের কর্মকর্তারাও মন্ত্রীদের পথ অনুসরণ করেছেন। এর ফলে পোলট্রি খাতে একপ্রকার ‘ব্যবসায় বিরোধী’ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো, এই সংকট কীভাবে সমাধান করা হবে? অর্থনৈতিক তত্ত্ব অনুসারে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি করতে হয়, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে করেছে। তবে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করার জন্য টাকা ছাপানোও বন্ধ করতে হবে৷ পোলট্রি খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রতিযোগিতা কমিশনের অন্যায্য মামলা প্রত্যাহার করা উচিত৷ একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যসীমা বাড়ানো বা পুরোপুরি তুলে দেওয়া দরকার, যাতে এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ে। বিনিয়োগ বাড়লে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, এবং অর্থনীতির সরবরাহ ও চাহিদার স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী দাম কমে আসবে৷ এটি যে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপের চেয়ে বেশি কার্যকর এবং টেকসই সমাধান হবে।

লেখক: পরিচালক, কাজী ফার্মস লিমিটেড

ফরিদপুরে পশু হাসপাতালে জনবল সংকট, ব্যাহত সেবা কার্যক্রম

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০৮ এএম
ফরিদপুরে পশু হাসপাতালে জনবল সংকট, ব্যাহত সেবা কার্যক্রম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে চলছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানের ১১টি পদের মধ্যে ছয়টি শূন্য। এর মধ্যে আবার তিনবছরের জন্য অন্যত্র প্রশিক্ষণে রয়েছেন একজন। বর্তমানে এই কার্যালয়ে কাগজে-কলমে পাঁচজন থাকলেও বাস্তবে কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। ফলে অল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে উপজেলার একমাত্র সরকারি পশু হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা চরম ব্যাহত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২১টি গ্রামের লাখো মানুষের ৫৮ হাজার ৭৭৬টি গবাদি পশু ও দুই লাখ ৯০ হাজার ৫০১টির বেশি হাঁস মুরগীসহ বিভিন্ন প্রাণি রয়েছে। তাই প্রতিদিন অনেক গবাদি পশু পালনকারী সেবা ও পরামর্শ নিতে আসেন প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। কিন্তু ভেটোরিনারি সার্জনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে আসা লোকদের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তেমনি হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে। ফলে খামার মালিকরা বিভিন্ন গবাদি পশুর অপারেশনের জন্য ছুটছেন বেসরকারি চিকিৎসকের কাছে। এতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি উপজেলায় একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন ভেটেরোনারি সার্জন, একজন উপজেলা লাইফ স্টক অ্যাসিসটেন্ট (ইউএলএ), তিনজন ভেটেরেনারি ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট (ডিএফএ), একজন কম্পাউন্ডার, একজন ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট (এফএ/এআই), একজন অফিস সহকারী, একজন ড্রেসার ও একজন অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদ রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে বর্তমানে একজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন উপজেলা লাইফ স্টক অ্যাসিসটেন্ট, একজন ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট, একজন ড্রেসার ও একজন অফিস সহায়ক আছেন। অর্থাৎ ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্থলে পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারি আছেন। ছয়টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। এদিকে এই পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আবার ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট তিন বছরের জন্য অন্যত্র প্রশিক্ষণে রয়েছেন। ফলে বর্তমানে এই কার্যালয়ে মাত্র চারজন কর্মরত আছেন।

দপ্তর থেকে জানা গেছে, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পশুপাখিকে টিকাদান, চিকিৎসাদান, মাঠ পরিদর্শন, খামারিদের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি বিতরণ, পশুপাখির সুস্থতার সনদ দেওয়া, উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ, খামার নিবন্ধন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি সেবাদানের কাজগুলো এই দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়। কিন্তু জনবলসংকট থাকায় বাকিদেরই সব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে পশু পালনকারীরা চাহিদামতো সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

উপজেলার জাটিগ্রামের কৃষক মাহাবুর মোল্যা জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে একজন ডাক্তার দিয়ে চলছে এ হাসপাতাল। চিকিৎসার জন্য গবাদি পশু নিয়ে আসলে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। হাসপাতালে অনেক ভিড় থাকে। এ হাসপাতালে আরেকজন ডাক্তারের খুবই প্রয়োজন।’

উপজেলা ডেইরি এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম নজরুল ইসলাম জানান, ‘হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে যথাসময়ে সেবা দিতে পারছে না। আমরা চাই দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করা হোক।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন বলেন, ‘ভেটেরিনারি সার্জনসহ ছয়টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষক বিভিন্ন গবাদিপশু নিয়ে আসেন চিকিৎসাসেবা নিতে। আমাকে দৈনন্দিন অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে হয়। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে হয়। সরকারি বিভিন্ন সভায় যেতে হয়। প্রতিদিন আমাকে একাই সব সামলাতে হচ্ছে। জনবল সংকটের মধ্যেও সেবা প্রদানে কোনো ধরনের গাফিলতি হচ্ছে না। তবে কাজ করতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জেলার মাসিক সভায় বারবার অবহিত করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শূন্য পদে পদায়ন না হওয়ায় প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট অন্য যারা আছেন, তাদের সহযোগিতায় সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যেসব পদে লোক নেই, সেসব পদে লোকবল দেওয়া হলে আমাদের সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১২ পিএম
চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে চরভদ্রাসন থানা চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন।

থানাটির এস,আই রফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এসআই ফরহাদ হোসেন, এসআই মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপি’র সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মোল্যা, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান সিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য এজিএম বাদল আমীন, সদস্য মো. মঞ্জুরুল হক মৃধা, মো. কুদ্দুস আলী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ সোলায়মান, সমাজ সেবক মো. মোস্তফা কবীর ও ছাত্রনেতা পিএম কামরুল হাসান প্রমুখ।

এছাড়া শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ফরিদপুরের চরভদ্রাসন শেষ সীমানা পাটপাশা সহ উপজেলার গুরত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে পুলিশ টহল জোরদারের পাশাপশি চরাঞ্চলের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নদীপথে পুলিশ বোড দিয়ে টহলের জোর দাবী জানান।

এছাড়া চরভদ্রাসন উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি বল্যবিবাহ ও মাদক নির্মূলে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানানো হয়।

ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে অসুস্থ গরু জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর সময় গরু ফেলে পালিয়ে যায় কসাই।

শনিবার (১৬ আগস্ট) মাধবপুর গ্রামের এহসানুল হক কলি তার একটি গর্ভবতী গাভী গরু অসুস্থ হলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: শওকত আলীকে জানান।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলা ১১ টার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে গরুটি সিজার করে বাচ্চাটি বের করেন। বের করার কিছুক্ষণের মধ্যে বাচ্চাটি মারা যায়। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এহসানুল হক কলি মধুখালী উপজেলার এক কসাইয়ের নিকট ৩৫ হাজার টাকায় ওই অসুস্থ গরুটি বিক্রি করে দেন। কসাই গরু জবাই করে ছাড়ানোর সময় সাংবাদিক এসেছে এমন কথা শুনে গরু ফেলে পালিয়ে চলে যায়।

এহসানুল হক কলি বলেন, গরুটি ফুড পয়জন হয়েছিল তাই বিক্রি করে দিয়েছি।

কসাইদের না পাওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী বলেন, গাভী গরুটি অসুস্থ ছিল যেহেতু তার পেটের বাচ্চা ৯ মাস বয়স হয়েছিল তাই সিজার করে বাচ্চাটি বের করা হয়েছিল। পরে বাচ্চাটি মারা যায়। তবে ওই অসুস্থ গরুটি জবাই করে তারা নিজেরা মাংস খেতে পারে। ওই মাংস বাজারে বিক্রি করা নিষিদ্ধ।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে এহসানুল হক কলির বাড়িতে গিয়ে গরুটি দেখেশুনে বলে এসেছি মাংস যদি খেতে চান নিজেরা খেতে পারেন। এক টুকরা মাংস বাহিরে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।