খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

শিক্ষার সঙ্গী হবে এআই, ফরিদপুর থেকে শুরু এআই প্রকৌশলের কর্মসূচি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৬ পিএম
শিক্ষার সঙ্গী হবে এআই, ফরিদপুর থেকে শুরু  এআই প্রকৌশলের কর্মসূচি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছে এআই প্রকৌশল নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আর প্রথমদিনেই কম্পিউটার কিংবা স্মার্ট ফোনে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে  তথ্যের সমুদ্র আবিস্কারের অবারিত সুযোগ সম্বলিত এই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে পেরে শিক্ষার্থীদের মাঝেও দারুণ আগ্রহ ও উৎসাহ সৃষ্টি হয়।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফরিদপুরের হালিমা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে এর উদ্বোধন করেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি ল্যাপটপ উপহার দেন। এসময় এআই প্রকৌশলের ফাউন্ডার হাসান আরিফ ও দেওয়ান আদনান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, আগামী প্রজন্ম যাতে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো ভালভাবে রপ্ত করতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এমনভাবে সকল স্কুল-কলেজে এটি শেখাতে পারলে তারা সকলেই উপকৃত হবে।
এআই প্রকৌশলের ফাউন্ডার দেওয়ান আদনান এআই ব্যবহারের কৌশল তথাচ্যাট জিপিটি কিংবা জেমিনির মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কিভাবে প্রশ্ন করলে ভালো উত্তর মিলবে, কি কি কাজে করা যাবে এর ব্যবহার আর এর উপকারি ও ক্ষতির দিকগুলোই বা কি সেসব নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেন।
এআই ব্যবহারের উপকারি দিকের পাশাপাশি নেতিবাচক দিকগুলোও স্মরণ করিয়ে দেওয়ান আদনান এসময় তাদের বলেন, এআই ব্যবহার করে যাই করা হবে, সবই রেকর্ড থাকবে। তাই এটি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি।
তিনি এসময় শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চান- এআই এর কাছে কি ধরনের প্রশ্ন করতে চাও তোমরা? শিক্ষার্থীদের একটি করে প্রশ্ন করতে বললে তাদের কেউ জানতে চায়, ‘পৃথিবীতে এতো দেশভাগ কেনো?’ আরেকজন প্রশ্ন করে, ‘নিউটন গাছ থেকে আপেল পড়তে দেখে কি আবিষ্কার করেছিলেন?’
শুধুমাত্র প্রশ্নোত্তরই নয়, এআই ব্যবহার করে কিভাবে ইংরেজি সহ ভিনদেশী ভাষা শেখা যায় সে বিষয়ও  তুলে ধরা হয় তাদের সামনে।
সুমাইয়া নামে এক ছাত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের শিক্ষা অর্জনের জন্য ব্যাপক সহায়ক একটি অনুষঙ্গ হয়ে উঠতে পারে যদি আমরা তাকে কিভাবে প্রশ্ন করলে ভালো উত্তর পেতে পারি তা রপ্ত করতে পারি।’
পরে দুপুরে ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুরুপ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এআই প্রকৌশলের ফাউন্ডার হাসান আরিফ বলেন, আগামীর বিশ্ব হবে প্রযুক্তি নির্ভর। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা জরুরি। সে উদ্দেশ্য থেকেই আমরা এই চ্যারিটেবল প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। ফরিদপুর থেকে এই কর্মসূচি শুরু হলো আজ।

সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১:০২ পিএম
সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 
ফরিদপুরের সালথায় ঈদুল আজহার দিনে আকাশ মোল্লা (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় নামক একটি জিকা গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকাশ মোল্লা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত হারুন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকাশের মা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ফরিদপুর সদরের তালতলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গতকাল (৬ জুন) শুক্রবার  রাত ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হয় আকাশ। পরে শনিবার ঈদের দিন সালথা’র কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে একটি জিকা গাছের সাথে লাইলনের রশি পেঁচানো আকাশের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আকাশ মাদকাসক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ফরিদপুর রিহ্যাব সেন্টারে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিন মাস পূর্বে বের হয়। গতকাল রাতে ভাড়া বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হওয়ার পর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারুফ হাসান রাসেল বলেন, খবর পেয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১০:১১ এএম
ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুরের একটি মানবিক উদ্যোগে আবারও প্রমাণ হলো-একটি সামান্য সহায়তাও বদলে দিতে পারে একটি মানুষের জীবন। কুরবানির পবিত্র সময়কে সামনে রেখে ধলার মোড়ে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে এক স্বামীহারা নারীর জীবিকার একমাত্র উৎস ‘সকাল টি স্টোর’ নতুনভাবে নির্মাণ ও পূর্ণ মালপত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

দোকানটির টিনের চালা ছিল চৌচির আর ভেতরে ছিল না ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মালামাল। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ওই নারী। বিষয়টি জানতে পেরে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

উৎস-এর স্বেচ্ছাসেবীরা দোকানটি নতুনভাবে নির্মাণ করে, ছাউনির সমস্যা মেরামত করে এবং প্রয়োজনীয় চা-নাস্তার মালামাল সরবরাহ করে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার উপযোগী করে তোলে।
সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন,

“এই ঈদে আমরা শুধু পশু কোরবানি নয়, ত্যাগ ও ভালোবাসার কোরবানিকেই সবচেয়ে বড় করে দেখেছি। একজন মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারা-এটাই আমাদের ঈদের আনন্দ।”

‘সকাল টি স্টোর’ এখন শুধুই একটি দোকান নয়, বরং একজন নারীর আত্মমর্যাদায় ফিরে আসার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।