খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮ পৌষ, ১৪৩২

সদরপুরে ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

ফরিদপুর অফিস:
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৬:১৭ পিএম
সদরপুরে ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজিৎ ভক্তর বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি, অসদাচরণ ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ঘুষ না দিলে নামজারি আবেদন বাতিলে করা সহ হয়রানির অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়েও সঠিক সময়ে কাজ না করে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে একাধিক ভুক্তভোগীর।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জাকেরের ডাঙ্গী গ্রামের আজগর চোকদার।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সে জরিপের ডাঙ্গী মৌজার ১৯৭৫ নং খতিয়ানের তার জমির কর অনলাইনে দাখিল করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। এরপর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সুজিৎ ভক্ত উক্ত খতিয়ানের কর বাবদ তার নিকট ১৮ হাজার টাকা দাবি করেন। সে এতটাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইউপি ভূমি কর্মকর্তা সুজিৎ কমিয়ে রাখার আশ্বাস দিয়ে ১২ হাজার টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে সে আবারও অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে সে তার ভাতিজাকে সাথে গিয়ে যাওয়ার পর ১০ হাজার টাকার একটি রশিদ হাতে দেন সুজিৎ।

এরপর সে রশিদে দেখতে পায় ৩৩৮৯ টাকা অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছে বলে রশিদে উল্লেখ আছে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত যে টাকা নিয়েছে সেই টাকা ফেরত চাওয়ার জন্য ভাতিজাকে সাথে ইউপি ভূমি অফিসে গেলে তহশিলদার সুজিৎ ভক্ত তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ও কর পরিশোধের রশিদ বাতিলের হুমকি দেন। এসব কারণে তিনি প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন।
আজগর চোকদার বলেন, এই কর্মকর্তার কাছে সেবার জন্য গেলে সবাইকে হয়রানি করেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, সরকার যে কয় টাকা বেতন দেয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। টাকা না দিলে আমি কোনো কাজ করবো না। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী এবং যারা তার কাছে গিয়ে হয়রানির শিকার হন, সবার দাবি তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজিৎ ভক্ত বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করছে। সেবা নিতে আসা আজগর চোকদার যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। তিনি নিজে অনলাইনে আবেদন করে নিজেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ করেছেন। এরপর ওনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আমি ঢাকায় ট্রেনিয়ে আছি, বিস্তারিত অফিসে গিয়ে কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।

ফরিদপুর জিলা স্কুলে শুরু হচ্ছে ১৮৫ বছরের গৌরবময় পুনর্মিলনী উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৩৯ পিএম
ফরিদপুর জিলা স্কুলে শুরু হচ্ছে ১৮৫ বছরের গৌরবময় পুনর্মিলনী উৎসব

ফরিদপুরের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর জিলা স্কুল আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু করছে গৌরবময় ১৮৫তম বর্ষ উদযাপন ও পুনর্মিলনী। দুইদিনব্যাপী এই উৎসব শিক্ষার্থীদের জন্য হবে স্মরণীয়, বিনোদনমূলক এবং বর্ণাঢ্য।

প্রথমদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর অনুষ্ঠিত হবে শপথবাক্য পাঠ, ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো আনন্দ শোভাযাত্রা, যা ঘোড়ারগাড়িসহ শহর প্রদক্ষিণ করবে। দুপুরে স্কুল উন্নয়ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা এবং স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে আরও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় আতশবাজি ও স্কুলের ইতিহাস তুলে ধরা তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে দিনটি শেষ হবে।

দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে অনুষ্ঠিত হবে মিনি ম্যারাথন, শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব এবং সংগীতানুষ্ঠান। বিকেলে আরও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় র‌্যাফেল ড্র, এবং রাত সাড়ে ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুনর্মিলনী সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুদিনব্যাপী উৎসবের সমাপ্তি হবে।

ফরিদপুর জিলা স্কুল ১৮৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতে সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কালের পরিক্রমায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আন্দোলন ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আজও এটি জেলা ও দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যতম সেরা বিদ্যালয় হিসেবে স্বকীয় ভাবমূর্তি বজায় রেখেছে।

উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, “আমাদের প্রাণের বিদ্যালয়ের সমৃদ্ধ অতীত ও ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা এবং শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করানোই এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।”

সদস্য সচিব ওয়াহিদ মিয়া কুটি যোগ করেন, “এ আয়োজনে আমরা কোনও প্রধান বা বিশেষ অতিথি রাখিনি। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরাই প্রধান অতিথি।”

উৎসবের সফল আয়োজনের জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। এছাড়া ১৮টি উপকমিটি বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করবে।

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি উৎসব শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য মিলনক্ষেত্র হিসেবে সামনে এসেছে।

বোয়ালমারীর দস্যুতা মামলার আসামি মনির শিকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:০১ পিএম
বোয়ালমারীর দস্যুতা মামলার আসামি মনির শিকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় সংঘটিত একটি চাঞ্চল্যকর দস্যুতা মামলার অন্যতম আসামি মো. মনির শিকদার (৪৫)–কে রাজধানীর আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

র‍্যাব জানায়, বোয়ালমারীর কালিয়ান্ড এলাকার বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেনের বাড়িতে গত ১ ডিসেম্বর রাতের ঘটনায় এ দস্যুতা সংঘটিত হয়। রাতের খাবার শেষে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে তিনজন মুখোশধারী দস্যু ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। তারা পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে স্টিলের বাক্স ভেঙে নগদ সাত লক্ষ টাকা ও আনুমানিক দশ লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ২ ডিসেম্বর বোয়ালমারী থানায় দস্যুতা আইনে (পেনাল কোড ৩৯২ ধারা) একটি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে র‍্যাবের সহায়তা চাওয়া হয়।

এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর এলাকায় অভিযান চালায় র‍্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্প ও র‍্যাব-৪, সিপিসি-২ নবীনগর ক্যাম্পের যৌথ দল। অভিযানে মামলার অন্যতম আসামি মো. মনির শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার তারিকুল ইসলাম বলেন, “দস্যুতা ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে র‍্যাব সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

ফরিদপুরে ক্লুলেস অটোরিকশা চালক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন, গ্রেপ্তার দুই আসামি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:৫৫ পিএম
ফরিদপুরে ক্লুলেস অটোরিকশা চালক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন, গ্রেপ্তার দুই আসামি

ফরিদপুরের কলাবাগানের ক্লুলেস সেই অটোরিকশা চালক হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর সকালে ফরিদপুর শহরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাদপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে টিপু শেখ (৪০) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় ভাই সিদ্দিক শেখ বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলার পর পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলামের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস তদন্ত দল মাঠে নামে। তদন্তকালে প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে রজিব খান (৪১) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি মান্নান হাওলাদারকে (৩২) আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আসামি রাজিব খান ও নিহত টিপু দুজনেই একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি নিহত টিপু জীবিকা নির্বাহের জন্য অটোরিকশা চালাতেন। ঘটনার দিন গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে নেশা করার প্রলোভন দেখিয়ে কাজ শেষে রাজবাড়ী সড়কের মোড়ে নিহত টিপুর সঙ্গে দেখা করেন আসামি রাজিব।

সে সময় আসামি রাজিবের কাছে একটি পুরাতন চাকু ও গাড়ির লোহার একটি পাতি ছিল। পরে তারা নিহত টিপুর রিকশায় করে ফরিদপুরের চাঁদপুর গ্রামের একটি নির্জন স্থানে পুকুরপাড়ের কলাবাগানে যান। সেখানে তারা গাঁজা ও সিগারেট সেবন করেন।

একপর্যায়ে আসামি রাজিব হঠাৎ করে লোহার পাতি দিয়ে নিহত টিপুর মাথায় সজোরে আঘাত করেন। টিপু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মাথা ও মুখে আরও চার থেকে পাঁচবার আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

ঘটনার পর ব্যবহৃত চাকু ও লোহার পাতি পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন আসামি রাজিব। এরপর নিহত টিপুর মরদেহ কলাবাগানে ফেলে রেখে তার রিকশাটি নিয়ে ফরিদপুর শহরের র‌্যাফেলস ইন মোড়ে যান। সেখানে তিনি মান্নান হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির কাছে লুট করা রিকশাটি বিক্রির জন্য দেন। পরদিন রিকশা বিক্রির বাবদ মান্নান হাওলাদার আসামি রাজিবকে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করেন।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ফরিদপুরের সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে টিপু সুলতান নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার একদিন পর নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ।