খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

ফরিদপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:০২ পিএম
ফরিদপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ
ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও পরিষদের কয়েকজন সদস্যকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে পাল্টা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম (মজনু)। এতে চেয়ারম্যানসহ ১০ জন সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে।
জানা যায়, চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। গত নির্বাচনে তার কাছে পরাজিত হোন সাবেক চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এবং তার ভাই নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন কোতয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
শহিদুল ইসলাম মজনুর অভিযোগ- নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই এই দুই ভাই নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। ৫ ই আগস্টের পর থেকে তারা ইউনিয়ন পরিষদ দখলে নিতে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, গত ১লা ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের কয়েকজন মেম্বারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন। পরে তাদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। সেখান থেকে ফিরেই মেম্বাররা বিষয়টি আমাকে জানান। পরে আমি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে পংকজ ও রঞ্জন আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। টাকা না দিলে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে বসতে দেবে না। সবশেষ ৩ লাখ টাকার কথা বলছে এই টাকা দিলে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে বসতে দিবেন। এছাড়া পরিষদের বিভিন্ন ফান্ডের ও কাজের টাকা আসলে সেই টাকার ভাগ চেয়েছেন।
দশজন সদস্য স্বাক্ষরিত অভিযোগে দেখা যায়, তারা নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মজনুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করেন।  এ বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসককে পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি ওই মেম্বারদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেন নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ। পরে তার নেতৃত্বে ৩ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের বরাবর চেয়ারম্যানের অনুপস্থিত থাকা ও নানাবিধ অনিয়ম নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তারা। পরের দিন ৪ ফেব্রুয়ারি ওই মেম্বাররা ফের পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
এমন অভিযোগ করে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোসলেম উদ্দিন বলেন, পঙ্কজ বিএনপি নেতা। বর্তমান পরিস্থিতি ভালো না তাই তার ভয়ভীতিতে আমি স্বাক্ষর করেছি। আমার এলাকায় চলাচল করতে হয় তারা বলছে তাদের সাথে না গেলে আমি এলাকায় চলাচল করতে পারবো না। তাই স্বাক্ষর করা ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না।
এছাড়া ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য হাছিনা বেগমও একই অভিযোগ করে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আমাদের ডাকলে আমরা সেখানে যাই। পরে একটি ঘরের ভেতর আটকিয়ে আমাদের ওই কাগজে আমাদের স্বাক্ষর করতে বলেন। সেখানে কি লেখা ছিল, তা পড়তেও দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ দাবি করেন আমার ভাই এবং আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, ইউনিয়নের কোন বিষয় তার জানা নেই।
তিনি বলেন, ৩০ বছর এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম কোন দিন ভয়-ভীতির রাজনীতি করিনি। সব সময় জনগণের স্বার্থ দেখেছি। বর্তমান চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় এলাকার জনগণ নানাভাবে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাই বর্তমান মেম্বারদের অনুরোধে আমি তাদের সাহায্য করেছি। তারা চেয়ারম্যানের অবর্তমানে প্যানেল চেয়ারম্যান করে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ কর্ম চালু রাখতে চান।

বোয়ালমারীতে বালুমহল ইজারা বাণিজ্যের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত-৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
বোয়ালমারীতে বালুমহল ইজারা বাণিজ্যের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত-৩

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বালুমহল ইজারা বাণিজ্যের (নিকো) টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন আহত।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলাধীন মধুমতী নদীর বালুমহল ইজারা দরপত্র বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এ সংঘর্ষ হয় ।

প্রতি বছরের ন্যায় ১৪৩২ সালের ১ বছরের জন্য উপজেলাধীন লঙ্কারচর বালুমহল ইজারার দরপত্র আহ্বান করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়।
এতে প্রায় ১৫ টি দরপত্র বিক্রয় হলেও দরপত্রদাতাদের মাঝে সমঝোতার ভিত্তিতে গোপন নিলাম ডাকের মাধ্যমে ক্রয়বিক্রয় সম্পাদিত হয়। সমঝোতার ভিত্তিতে দরপত্রদাতাদের মাঝে টাকা ভাগাভাগির কথা থাকলেও নিকো-বোর্ড দরপত্র দাতা জুয়েল বিশ্বাসকে পাওনা টাকা না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ নিয়ে বুধবার রাতে বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের সামনে মা ফার্মাসি মার্কেট চত্বরে এক শালিশ বৈঠক বসে পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ, বিএনপি নেতা মহসিন আলম চান, মিরাজ মৃধাসহ স্থানীয়রা। শালিশ বৈঠক শুনানির সময় দরপত্র দাতা আঁধারকোঠা গ্রামের মঈনুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে জামায়াতে কর্মী জুয়েল বিশ্বাসের কোমরে থাকা একটি দেশীয় অস্ত্র দেখে ফেলে লোকজন। এসময় অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে জুয়েল বিশ্বাসের সাথে ধস্তাধস্তি হয় স্থানীয়দের। পরে জুয়েলের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মা ফার্মাসিতে আক্রমণ চালায়। এতে বোয়ালমারী সরকারি কলেজের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রবিন মোল্যা ও মা ফার্মাসির কর্ণধার রিয়াজ মৃধা মারাত্মক আহত হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে কাঠের বাটাম ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঁধারকোঠা গ্রামের একদল যুবক আক্রমণ চালায়। এসময় মা ফার্মাসিতে আশ্রয় নেওয়া রাসেল আহমেদের ছোট ভাই কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রবিন মোল্যার মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে আক্রমণ কারিরা। আক্রমণকারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে আহত হন রিয়াজ মৃধা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রিয়াজ মৃধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিলেও রবিন মোল্যা বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
জুয়েল বিশ্বাস জানান- বালুমহলের নিকোর ৪৫ হাজার টাকা জমা ছিলো রাসেল আহমেদ ও মিরাজ মৃধার নিকট, সে টাকা চাওয়ায় আমাকে মা ফার্মাসিতে ডেকে নেয় রাসেল আহমেদ। সেখানে গেলে তারা টাকা না দিয়ে টালবাহানার আশ্রয় নেয় ও আমার উপর আক্রমণ চালায়। খবর পেয়ে আমার গ্রামের ভাইব্রাদার আমাকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে। সেখানে রাসেল আহমেদের ভাই রবিনকে পেয়ে তাকে মারধর করে।

এ বিষয়ে পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ বলেন – জামায়াতে ইসলামীর ক্যাডার জুয়েল বিশ্বাস আমার নিকট চাঁদা দাবি করে । এ বিষয়ে জানতে মহসিন আলম চান ও মিরাজ মৃধা তাকে ডাকলে সে পরিকল্পনা করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রস্তুত রেখে কোমরে অস্ত্র নিয়ে আসে। লোকজন তা দেখে কেড়ে নিলে আগে থেকে ওতপেতে থাকা তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায়, জীবন রক্ষার্থে আমি পালিয়ে গেলেও আমার ছোট ভাই মা ফার্মাসিতে আশ্রয় নেয়। সেখানে ঢুকে সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে।

বিএনপি নেতা মিরাজ মৃধা বলেন – রাসেলের সাথে জুয়েল বিশ্বাসের দেনাপাওনা নিয়ে ফোনে কথা-কাটাকাটি হয়, পরে সমঝোতার জন্য আমার ফার্মাসিতে আসে জুয়েল। কথা বলার সময় তার কোমরে একটি ধারলো অস্ত্র দেখে লোকজন তা কেড়ে নেয়। এসময় সে পালিয়ে গিয়ে কিছু সময় পর ২৫/৩০ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল নিয়ে আমার ফার্মাসিতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার বড় ভাই ও ছাত্রদলের কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি রবিন মোল্যার উপর হামলা চালায় এতে মারাত্মক আহত দু’জন । আক্রমণকারীরা ফার্মাসিতে ভাঙচুর ও লুটপাটও চালায় । এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

‘ফরিদপুরে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে বৃদ্ধ খুন’ থানায় হত্যা মামলা, তিনজন আটক

ফরিদপুর ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫২ এএম
‘ফরিদপুরে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে বৃদ্ধ খুন’ থানায় হত্যা মামলা, তিনজন আটক
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে মো. আব্দুল হালিম মোল্লা (৬১) নামে এক বৃদ্ধের জিহ্বা কর্তনের ঘটন্য়া দুইদিনের মাথায় চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র মেয়ে রিনা বেগম (৩৭) বাদি হয়ে বুধবার সকালে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ আব্দুল হালিম মোল্যা মারা যান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
নিহত আব্দুল হালিম মোল্লা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম বাজারে নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি পাড়াগ্রামের মৃত আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে। নিহত ব্যক্তির একটি মাত্র মেয়ে রিনা বেগমের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এবং স্ত্রী মারা যাওয়ায় তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো. আব্দুল হালিম মোল্লা (৬১) তার মা তছিরণ নেছা ওরফে ছুটু বিবিকে (৭৫) নিজের ধার দেওয়া টাকা আদায়ের কথা বলে গত ১২ এপ্রিল বিকেলে আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাড়াগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে বের হন। পরেরদিন ১৩ এপ্রিল সকালে পাড়াগ্রামের লাল্টুর পরিত্যক্ত জমিতে ওই গ্রামের নুর ইসলাম (৫৮) নামে এক ব্যক্তি আব্দুল হালিম মোল্যাকে জিব্বা কাটাসহ জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ডাক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হালিম মোল্যাকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বাবলুর সহায়তায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আলফাডাঙ্গা হাসপাতাল থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালের দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে নিহতের একমাত্র মেয়ে রিনা বেগম (৩৭) বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-০৯। মামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই এলাকার তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার দিন আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদ হোসেন জানান, বৃদ্ধ আব্দুল হালিম মোল্যাকে জিব্বা কাটা অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি গুরুতর জখম ছিলেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়েই ওইদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল হালিম মোল্যার মেয়ে রিনা বেগম বাদি হয়ে থানায় আজ হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। বাদি কারো নাম উল্লেখ করেননি। মামলার পর ঘটনাস্থল এলাকার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। হত্যার রহস্য উৎঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আশা করি দ্রুতই প্রকৃত আসামিদের আমরা গ্রেপ্তার করতে পারবো।

ফরিদপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৫ এএম
ফরিদপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান
নানা অনিয়মের অভিযোগে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল।
অভিযানকালে সিটিজেন চার্টার না থাকাসহ নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় কিছু রেকর্ডপত্র জব্দ করা হয়। সেগুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর পাঠানো হবে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-সহকারি পরিচালক মো. কামরুল হাসান জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চরভদ্রাসন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সিটিজেন চার্টার পাওয়া যায়নি। এছাড়া অনিয়মের কিছু রেকর্ডপত্র জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর পাঠানো হবে।