খুঁজুন
বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৩ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে ৮৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রশিবিরের কুরআন শরীফ উপহার 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:০৪ পিএম
ফরিদপুরে ৮৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রশিবিরের কুরআন শরীফ উপহার 

ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কুরআন শরীফ উপহার দিয়েছেন ছাত্র শিবির।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রশিবিরের আয়োজনে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‌শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলা অর্থসহ কুরআন শরীফ উপহার দেওয়া হয়েছে।

এ সময় ৮৫০ জন শিক্ষার্থীর হাতে ‌পবিত্র কুরআন উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।

ছাত্রশিবিরের দলীয় সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‌শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলা অর্থসহ কুরআন শরীফ উপহার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থীদের কুরআন প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে বাংলা অনুবাদসহ কুরআন শরীফ উপহার দেওয়া হয়।

ইসলামী ছাত্রশিবির সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শাখার সভাপতি মো. ফাহিম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কুরআন উপহার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আব্দুল হালিম।

এ সময় কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ওবায়দুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবির ‌রাজেন্দ্র কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান, সাহিত্য সম্পাদক দিদার হোসাইন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এ মহতি উদ্যোগের জন্য উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে কোরআন উপহার দেওয়ার প্রশংসা করেছেন। বাংলা অর্থসহ কুরআন শরীফ উপহার দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহজেই পড়তে ও বুঝতে পারবেন বলে তারা জানান।

এক প্রতিক্রিয়ায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের ফরিদপুর শহর শাখার সভাপতি মো. আকমল হোসেন বলেন, অতীতে আমাদের এ রকম খোলামেলা জায়গায় কোন কর্মসূচি করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। এরকম শিক্ষার্থী বান্ধব কর্মসূচি আমাদের ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আজকের শিক্ষার্থীদের কুরআন উপহার দেওয়া কর্মসূচি দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ ছিল।

‘কৌতূহলবশত সাইবার অপরাধে জড়াচ্ছে যুবসমাজ’

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪১ পিএম
‘কৌতূহলবশত সাইবার অপরাধে জড়াচ্ছে যুবসমাজ’

বন্ধুদের প্ররোচনায় বা কৌতুহলবশত যুবসমাজ সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। যা থেকে বের হতে না পেরে আত্মহত্যা বা নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে যুবসমাজ। সাইবার ক্রাইমের এমন ভয়াবহ দিক তুলে ধরে ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি এগুলো থেকে প্রতিকার ও সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন অতিথিবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে বাংলাদেশ ইয়াংস্টার সোস্যাল অর্গানাইজেশন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়৷ এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য, লিডারশীপ, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার, তরুণদের সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, বিশেষ অতিথি ছিলেন- সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আব্দুল হালিম ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আল আমিন সরোয়ার।

বক্তারা জানান, দিনদিন সাইবার অপরাধের পরিধি বিস্তৃতিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। স্ক্যামিং, বুলিং, ফিশিং, হ্যাকিং, ডিজিটাল প্রতারণা, অনলাইন জুয়া মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। এ ধরনের অপরাধের কেউ শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনশট বা পোস্টটি সেভ করে নিকটস্থ থানায় অবগত করতে হবে কিংবা বিশ্বস্ত কারো সাথে শেয়ার করতে হবে। এছাড়া অজানা লিংকে প্রবেশ করার বিষয়ে নিষেধ করা হয়। কারণ, এমন এসব লিংকের মাধ্যমে বা ফিশিংয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে হয় বলে সতর্কতা করা হয়। এছাড়া এআইয়ের নেতিবাচক দিক নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

আয়োজিত এ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন তরুণ প্রতিনিধি ও সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী রিয়াজ। তিনি বলেন- সাইবার অপরাধ সংশ্লিষ্ট যারা কার্যক্রম করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাথমিক দিক দিয়ে কৌতুহলবশত ঝুঁকে পড়ে। পরবর্তীতে যেখান থেকে আর বের হতে পারে না। সমাজে অনলাইন জুয়া একই পদ্ধতিতে গেঁথে যাচ্ছে। প্রথমে বন্ধুদের প্ররোচণা কিংবা নিজে কৌতুহল বশীভূত হয়ে অনলাইনে খুব দ্রুত টাকা ইনকামের নেশায় একবার জড়িয়ে পড়ে আর বের হতে না পেরে নিজে তো ধ্বংস হচ্ছে পাশাপাশি পরিবারকেও ধ্বংস করছে। এক পর্যায়ে কোনো না কোনোভাবে ট্রাপে পড়ে যায় সে, তখন পরিবারকে না জানিয়ে বা আইনের আশ্রয় না নিয়ে ট্র্যাপ থেকে বাঁচতে আরও ঘনিষ্ঠতায় চলে যায়। যার কারণে নেশায় জড়িয়ে পড়ে বা আত্মহত্যার করে থাকে।

এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। তিনি সাইবার অপরাধের প্রতিকারের দিক তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন- “সাইবার সুরক্ষার নতুন আদেশ হয়েছে, যেখানে অনলাইন জুয়ার জরিমানা এক কোটি টাকা ও দুই বছরের কারাদণ্ড। যদি কারো মোবাইলে জুয়ার অ্যাপ পাওয়া যায় তাহলে এই ধারা প্রযোজ্য। এছাড়া ফিশিংয়ের মাধ্যমে একজনের তথ্য ব্যবহার করে অন্যজন একজন অপরাধ করে যাচ্ছে বলে পুলিশ সুপার সতর্ক করেন। এক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের অনুরোধ জানান পুলিশ সুপার।

তিনি আরও বলেন- এসব অপরাধের কারণে একবার যদি মামলায় কারও নাম উঠে যায় তাহলে তাহলে নিষ্পত্তি হতে ১৪ থেকে ২০ বছর সময় লেগে যাবে। এই ২০ বছর সময়ের মধ্যে কেউ যদি সরকারি চাকরি পায় তাহলে ভেরিফেকেশনের ক্ষেত্রে সুপারিশ করা যাবে না বলে পুলিশ সুপার জানান।

এছাড়া কর্মশালায় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আল আমিন সরোয়ার। তিনি সকলকে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠার অনুরোধ জানান। এছাড়া লিডারশীপ, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার, তরুণদের সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন- সংস্থাটির সদস্য কাজী জেবা তাহসিন, উপদেষ্টা শামসুদ্দিন করিম ও রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মামুন রহমান।

‘বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখবে’ — শহিদুল ইসলাম বাবুল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৫ পিএম
‘বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখবে’   — শহিদুল ইসলাম বাবুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে, তবে তাকে উৎখাত করতে এক মুহূর্ত সময় লাগবে না। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখবে।’

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা চত্বরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালী উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কৃষ্ণপুর মোড়ে এসে শেষ হয়।

বাবুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুবদল গঠন করেছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চাবুক হিসেবে। যুবদল আজও সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

কৃষক দলের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন , যুব দলের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চাবুকের মত আঘাত করেছে। বিগত আন্দোলনে যুব দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন, সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কাজী বদরুতজামান বদু , সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম কবির মোল্যা, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েজ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক কে এম আবু সাঈদসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং কৃষক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুরে খ্রীস্টান মিশনারীর দুই কর্মী হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০০ পিএম
ফরিদপুরে খ্রীস্টান মিশনারীর দুই কর্মী হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন 

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে খ্রীস্টান মিশনারীর দুই এনজিও কর্মী হত্যা মামলায় চারজনকে যাবাজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে তাদেরকে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

ঘটনার প্রায় ২০ বছর পর মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শফিউদ্দীন।

এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই চার আসামী পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এরপর পলাতক সাজাপ্রাপ্ত ওই চার আসামির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাতে বোয়ালমারী উপজেলার চর ধোপাপাড়া গ্রামে খুন হন তপন রায় মার্ডি (৩০) ও নিকলাল মার্ডি (৩৫) নামের ওই দুই এনজিও কর্মী। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই দুই ব্যক্তি একটি মিশনারী সংস্থার মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন এবং বোয়ালমারীর চর ধোপাপাড়া গ্রামের শিরগ্রামে বিপুল কুমার বাকচীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।

এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ওই চার আসামি হলেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৫৩), বোয়ালমারী উপজেলার গুণবাহা ইউনিয়নের গুণবাহা গ্রামের কামরুল হাসান ওরফে কামরুজ্জামান (৪৫), বোয়ালমারী চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান ওরফে মনির (৪০) ও একই ইউনিয়নের চর ধোপাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ (৬০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে তাদের ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক বিপুল কুমার বাকচী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান মাহমুদ ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ ওই চার ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের স্পেশাল জজ আদালতের সরকার পক্ষের কৌশলী (পিপি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, এ মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, টাকার লোভে তাঁরা ওই দুই ব্যক্তিকে হত্যা করে। এরপর তাঁরা এ মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করে পলাতক হন। বিলম্বে হলেও এ জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সস্তুষ্ট।