খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

মুদ্রাস্ফীতির জন্য কারা দায়ী

কাজী জীশান হাসান
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৮ এএম
মুদ্রাস্ফীতির জন্য কারা দায়ী

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ভোক্তারা চরম মূল্যস্ফীতির শিকার হয়েছে। বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বারবার কথিত ‘সিন্ডিকেটকে’ দোষারোপ করেছেন মুরগি, ডিম এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন বেশ কয়েকটি বড় পোলট্রি কোম্পানিকে জরিমানা করার নির্দেশ দেয়। যদিও হাইকোর্ট সেই আদেশ স্থগিত করেছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিম ও মুরগির সর্বোচ্চ মূল্যসীমা নির্ধারণ করে। কিন্তু যে কোনো শিল্পে দাম বেঁধে দেওয়া হলে নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হয় এবং বিপরীত ফল বয়ে আনতে পারে। কারণ, পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির অভাবে সরবরাহ কমে যায়, ফলে দাম উচ্চ পর্যায়েই থেকে যায়।

এই সার্বিক পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ হয়নি। অথচ মূল্যস্ফীতি একটি সুপরিচিত অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, যার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। সেগুলো বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। মূল্যস্ফীতির প্রথম কারণ হতে পারে ঘাটতি ৷ যখন কোনো পণ্যের সরবরাহ কমে যায়, তখন ভোক্তারা সেটি পাওয়ার জন্য বেশি মূল্য দিতে বাধ্য হয়, ফলে বাজারমূল্য বৃদ্ধি পায়। অর্থনীতিবিদরা একে ‘সরবরাহজনিত ধাক্কা’ (supply shock) বলে থাকেন । ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য ও জ্বালানির রপ্তানি বাধ্যগ্রস্ত হয়, যার ফলে বিশ্ববাজারে এই পণ্যগুলোর সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে ভুট্টা ও সয়াবিনের দাম বেড়ে যায়; যা পোলট্রি, মাছ ও গবাদি পশুর খাদ্যের ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে । তাই ২০২২ সালে পোলট্রি খাদ্যব্যয় বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ সিন্ডিকেট নয়, বরং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সরবরাহসংকট । দ্বিতীয় কারণটি অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা। যখন সরকার মাত্রাতিরিক্ত মুদ্রা ছাপায়, তখন সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। অতিরিক্ত টাকা ছাপানো হলে টাকার মূল্য কমে যায় এবং পণ্যের মূল্য স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়।

উদাহরণস্বরূপ, যদি বাজারে থাকা টাকার পরিমাণ হঠাৎ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, তাহলে একটি ৮ টাকার ডিমের দাম ১২ টাকায় উঠে যেতে পারে। এটিকে বলা হয় monetary inflation বা মুদ্রাস্ফীতি, যা কোনো সিন্ডিকেটের কারণে হয় না, বরং এটি অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার ফল। সাধারণত, সরকার রাজস্ব আয়ের তুলনায় বেশি ব্যয় করলে এবং সেই ঘাটতি (যাকে বাজেট ঘাটতি বলা হয়) পুষিয়ে নিতে মাত্রাতিরিক্ত টাকা ছাপালে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ প্রকাশিত Monthly Economic Trends (অক্টোবর ২০২৪) থেকে জানা যায় যে, ২০২০ সালের জুন মাসে দেশে প্রচলিত মুদ্রার (Currency in Circulation) পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮ হাজার ৯৪ কোটি টাকা এবং ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রচলিত মুদ্রার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকায়। মাত্র তিন বছরে বাজারে প্রচলিত মুদ্রার পরিমাণ ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ৮ টাকার ডিমের দাম ১২ টাকায় ওঠা স্বাভাবিক। একইভাবে চাল, সবজি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও এই সময়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থাৎ সার্বিক মূল্যস্ফীতির মূল কারণ ছিল অতিরিক্ত টাকা ছাপানো, যা সাধারণ জনগণকে গরিব
করেছে।

প্রশ্ন হলো- বিগত সরকার কেন অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিল? এর উত্তর খুবই স্পষ্ট। বিগত সরকারের সময় ব্যাংক খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে রক্ষার জন্য সরকার নির্বিচারে টাকা ছাপিয়েছে। যদি এটি না করা হতো, তাহলে এসব ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যেত, যার ফলে লাখ লাখ পরিবার তাদের সঞ্চয় হারাত এবং দেশের অর্থনীতি দীর্ঘ মেয়াদে মন্দার কবলে পড়ত। যেসব রাজনীতিবিদ ব্যাংক খাতের এই দুরবস্থার জন্য দায়ী, তারা কখনোই স্বীকার করবেন না যে তারা অর্থনীতির এমন ক্ষতি করেছেন। বরং তারা মূল্যস্ফীতির জন্য অন্য কাউকে দোষারোপ করার সহজ উপায় খুঁজেছেন।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা পোলট্রি শিল্পকে সেই বলির পাঠা বানিয়েছে। ডিম ও ব্রয়লার মুরগি সাধারণ মানুষের প্রধান প্রাণিজ প্রোটিন, তাই এই খাতকে দোষারোপ করা সহজ হয়েছে। প্রতিযোগিতা কমিশনের কর্মকর্তারাও মন্ত্রীদের পথ অনুসরণ করেছেন। এর ফলে পোলট্রি খাতে একপ্রকার ‘ব্যবসায় বিরোধী’ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো, এই সংকট কীভাবে সমাধান করা হবে? অর্থনৈতিক তত্ত্ব অনুসারে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি করতে হয়, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে করেছে। তবে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করার জন্য টাকা ছাপানোও বন্ধ করতে হবে৷ পোলট্রি খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রতিযোগিতা কমিশনের অন্যায্য মামলা প্রত্যাহার করা উচিত৷ একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যসীমা বাড়ানো বা পুরোপুরি তুলে দেওয়া দরকার, যাতে এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ে। বিনিয়োগ বাড়লে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, এবং অর্থনীতির সরবরাহ ও চাহিদার স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী দাম কমে আসবে৷ এটি যে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপের চেয়ে বেশি কার্যকর এবং টেকসই সমাধান হবে।

লেখক: পরিচালক, কাজী ফার্মস লিমিটেড

ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে লিয়াকত মোল্যা (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাদিরদী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাগুরা জেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সংকোচ খালী এলাকার তিন ব্যবসায়ী কয়েকটি গরু বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। তারা মহম্মদপুর-বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্ত ব্রীজ পার হয়ে ফরিদপুর জেলার কাদিরদী বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ থেকে গরু লাফ দিলে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা লিয়াকত মোল্যাসহ দুই ব্যবসায়ী আহত হয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকত মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অপর ব্যবসায়ী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ জানান, মাগুরা সদর থেকে গরু বোঝাইকৃত পিকআপটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিল। গরুর গাড়িটি কাদিরদী বাজারে আসলেই একটি গরু লাফ দিলে গাড়ীটি উল্টে ব্যবসায়ীরা চাপা পড়ে। সেখান থেকে আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পেরেছি লিয়াকত নামে ব্যবসায়ী মারা গেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অবগত নই। এমনকি ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।

ফরিদপুরে তাল পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:২৮ পিএম
ফরিদপুরে তাল পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু 
ফরিদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইমন শেখ (১৪) নামে  এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ইমন শেখ কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ফারুক শেখের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জেলা সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের মো. ফারুক শেখের ছেলে ইমন শেখ তাল পাড়ার উদ্দ্যেশ্য বাঁশ নিয়ে বাড়ির পাশে তাল গাছে উঠে। গাছে ওঠার পর বাঁশ দিয়ে খুচিয়ে তাল পাড়ছিল। এ সময় ওই গাছের পাশ দিয়ে যাওয়া উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের লাইনে তারে ইমনের হাতে থাকা বাঁশ স্পর্শ করলে  বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে গিয়ে সে মারাত্মক ভাবে আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা ইমনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজরসহ চার সহযোগী গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:২৩ পিএম
ফরিদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজরসহ চার সহযোগী গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর গোলাম হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
মঙ্গলবার (৩ জুন) গভীর রাতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
বুধবার (০৪ জুন) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, মেজর হায়দারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফরহাদ হোসেনসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু মোল্ল্যা অভিযোগ করে বলেন, অভিযানের সময় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে ফরহাদ হোসেন ‘মেজরের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে’ বলে গুজব ছড়ান। এতে আশপাশের এলাকা থেকে মানুষজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে পুলিশ সাইরেন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানায়—এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব, ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এলাকাবাসীর সহায়তায় ফরহাদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মেজর হায়দারকেও নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
এর আগে উপজেলার ডাংগি ইউনিয়নে বৈষম্য বিরোধী এক নারী নেত্রীকে ঘিরে উত্তেজনার সময় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ চলাকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উগ্র আচরণ ও অশোভন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন মেজর হায়দার। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, “রাজু মোল্লা নামের এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগ দিলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (০৩ মে) সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে তাদের।”