খুঁজুন
রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩২

শিক্ষার সঙ্গী হবে এআই, ফরিদপুর থেকে শুরু এআই প্রকৌশলের কর্মসূচি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৬ পিএম
শিক্ষার সঙ্গী হবে এআই, ফরিদপুর থেকে শুরু  এআই প্রকৌশলের কর্মসূচি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছে এআই প্রকৌশল নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আর প্রথমদিনেই কম্পিউটার কিংবা স্মার্ট ফোনে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে  তথ্যের সমুদ্র আবিস্কারের অবারিত সুযোগ সম্বলিত এই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে পেরে শিক্ষার্থীদের মাঝেও দারুণ আগ্রহ ও উৎসাহ সৃষ্টি হয়।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফরিদপুরের হালিমা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে এর উদ্বোধন করেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি ল্যাপটপ উপহার দেন। এসময় এআই প্রকৌশলের ফাউন্ডার হাসান আরিফ ও দেওয়ান আদনান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, আগামী প্রজন্ম যাতে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো ভালভাবে রপ্ত করতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এমনভাবে সকল স্কুল-কলেজে এটি শেখাতে পারলে তারা সকলেই উপকৃত হবে।
এআই প্রকৌশলের ফাউন্ডার দেওয়ান আদনান এআই ব্যবহারের কৌশল তথাচ্যাট জিপিটি কিংবা জেমিনির মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কিভাবে প্রশ্ন করলে ভালো উত্তর মিলবে, কি কি কাজে করা যাবে এর ব্যবহার আর এর উপকারি ও ক্ষতির দিকগুলোই বা কি সেসব নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেন।
এআই ব্যবহারের উপকারি দিকের পাশাপাশি নেতিবাচক দিকগুলোও স্মরণ করিয়ে দেওয়ান আদনান এসময় তাদের বলেন, এআই ব্যবহার করে যাই করা হবে, সবই রেকর্ড থাকবে। তাই এটি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি।
তিনি এসময় শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চান- এআই এর কাছে কি ধরনের প্রশ্ন করতে চাও তোমরা? শিক্ষার্থীদের একটি করে প্রশ্ন করতে বললে তাদের কেউ জানতে চায়, ‘পৃথিবীতে এতো দেশভাগ কেনো?’ আরেকজন প্রশ্ন করে, ‘নিউটন গাছ থেকে আপেল পড়তে দেখে কি আবিষ্কার করেছিলেন?’
শুধুমাত্র প্রশ্নোত্তরই নয়, এআই ব্যবহার করে কিভাবে ইংরেজি সহ ভিনদেশী ভাষা শেখা যায় সে বিষয়ও  তুলে ধরা হয় তাদের সামনে।
সুমাইয়া নামে এক ছাত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের শিক্ষা অর্জনের জন্য ব্যাপক সহায়ক একটি অনুষঙ্গ হয়ে উঠতে পারে যদি আমরা তাকে কিভাবে প্রশ্ন করলে ভালো উত্তর পেতে পারি তা রপ্ত করতে পারি।’
পরে দুপুরে ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুরুপ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এআই প্রকৌশলের ফাউন্ডার হাসান আরিফ বলেন, আগামীর বিশ্ব হবে প্রযুক্তি নির্ভর। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা জরুরি। সে উদ্দেশ্য থেকেই আমরা এই চ্যারিটেবল প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। ফরিদপুর থেকে এই কর্মসূচি শুরু হলো আজ।

সালথায় অভিযানের পর নদ-নদী ছেড়ে তিন ফসলি জমিতে মাটিখেকোদের হানা 

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
সালথায় অভিযানের পর নদ-নদী ছেড়ে তিন ফসলি জমিতে মাটিখেকোদের হানা 

ফরিদপুরের সালথায় প্রশাসনিক অভিযানের পর নদ-নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ হলেও এখন তিন ফসলি জমিকে টার্গেট করেছে মাটিখেকোরা। বর্ষা মৌসুমকে টার্গেট করে উপজেলার সর্বত্রই তিন ফসলি নিচু জমির জলাশয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের ভয়াবহ তৎপরতা বেড়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ফসলি জমিতে সমৃদ্ধ এই উপজেলায় প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার ফলে ভেঙে পড়ছে আশপাশের কৃষিজমি।

অন্যদিকে ড্রেজারের বিকট শব্দে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাভাবিক জীবনযাপনও ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চলা এই অবৈধ ড্রেজিং কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কুষ্টিয়ার চকে ফসলি জমির জলাশয়ে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন নামে এক মাটি ব্যবসায়ী বড় একটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে বালু উত্তোলন করছে। পাশেই রিয়াজ হোসেন নামে আরেক বালু ব্যবসায়ী একটি ড্রেজার স্থাপন করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া বিলের ফসলি জমিতে মিজান নামে এক মাটি ব্যবাসায়ী ও আগুলদিয়া দীঘের বিলে ফসলি জমিতে মাহমুদ নামে আরেক মাটি ব্যবসায়ী ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। তাছাড়াও উপজেলার বিভিন্নস্থানে তিন ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলার মধ্যে দেলোয়ার, মিজান ও মাহমুদসহ একাধিক চিহ্নিত মাটি ও বালু ব্যবসায়ী রয়েছে। এটাই তাদের পেশা। তারা নদ-নদী, খাল-বিল ও তিন ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তাদের ভয়াল থাবার শিকার হয় নিরিহ সাধারণ কৃষক। স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় জমির অংশ ভেঙে যাচ্ছে। ফলে তাদের ফসল চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আটঘর ইউনিয়নের কৃষক জব্বার মোল্যা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার দাদা-পরদাদার আমলের কৃষিজমি এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিছু বললে হুমকি দেওয়া হয়। আমরা অসহায়। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

বালু ও মাটি ব্যবসায়ী মাহমুদ, মিজান ও দেলোয়ার বলেন, আমরা সকলকে ম্যানেজ করেই মাটি ব্যবসা করি। এতে কৃষিজমির ক্ষতি হলেও আমাদের কিছু করার নেই। কারণ জমির মালিকরা যদি না বুঝে, তাহলে আমাদের কি করার আছে। জমির মালিকরা তো আমাদের কাছে মাটি বিক্রি করে। আমরা এই মাটি ইট ভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, তিন ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেহুত অভিযোগ আসছে, তাই দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন উপজেলার মধ্যেদিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন নদ-নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। পরে নদ-নদী থেকে বালু উত্তোলনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরপর থেকে মাটিখেকোরা তিন ফসলি জমি ধ্বংসে মেতে উঠেছে।

ফরিদপুরের গ্রামের বাড়িতে শায়িত হলো ছোট্ট রাইসা মনি, শোকে স্তব্ধ বাবা-মা

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩২ পিএম
ফরিদপুরের গ্রামের বাড়িতে শায়িত হলো ছোট্ট রাইসা মনি, শোকে স্তব্ধ বাবা-মা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে শায়িত হলো মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ১১ বছরের রাইসা মনি। শোকে স্তব্ধ মা-বাবা। শোকে বিহ্বল আত্মীয়-স্বজন ও পুরো এলাকাবাসী। শোকে পাথর পুরো পরিবার। সোমবার থেকে অনবরত চোখের পানি ঝরছে বাবা-মায়ের।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল নয়টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া ঈদগাহ ময়দানে নামাজের জানাজা শেষে বাজড়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

তিন সন্তানের মধ্যে এক সন্তানের মৃত্যুতে শোকে কাতর শাহাবুল-মিম দম্পতি। রাইসা মনির জন্মের দুই বছর আগে তাদের কোলজুড়ে আসে তার বড় বোন সিনথিয়া (১৩) ও সব ছোট ছেলে রাফসান শেখ (৪)।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাইসা মনির বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলে-মেয়েকে ভালো স্কুলে পড়ানোর। উচ্চশিক্ষায় সু-শিক্ষিত করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন। সেই লক্ষ্যে ভর্তি করেছিলেন উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। রাইসা মনি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বড় বোন সিনথিয়া।

স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ওবায়দুর রহমান বলেন, রাইসা মনির অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকার মানুষ শোকে বিহ্বল। তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর হৃদয়-বিদারক দৃশ্যর অবতারণা হয়। এমন কোন মানুষ নেই তার জন্য কাঁদেনি।

রাইসা মনির বাবা শাহাবুল শেখ বলেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের পরদিন ২২ জুলাই ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা। পরে নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করে আমার মেয়ের রাইসা মনি মরদেহ শনাক্ত করার পর আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই মেয়ের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফ‌রিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আসি। বাড়িতে পৌঁছাতে ভোর হয়ে যায়। শুক্রবার দাফন সকাল নয়টায় স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজের জানাজা শেষে বাজড়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে বিধ্বস্ত হয়। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৯ জন।

ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৩:০৫ পিএম
ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০
ফরিদপুরে দুটি বাসের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে ফরিদপুরের করিমপুরের আবুল হোসেন পেট্রল পাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, রয়েল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে লোকাল একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ১০-১২ জন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।